পাকিস্তানের প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী বেনজির ভুট্টো ২০০৭ সালে দেশে ফেরার আগে মুশাররফের সঙ্গে টেলিফোনে আলাপ করেছিলেন। তাদের আলাপকালে বাক-বিতন্ডা হয়েছিল। এ সময় শত্র“ভাবাপন্ন আচরণ করেছিলেন সাবেক প্রেসিডেন্ট পারভেজ মুশাররফ। প্রয়াত এই নেত্রীর ঘনিষ্ট মিত্র মার্ক সেইগেল এক টেলিভিশন সাক্ষাতকারে একথা জানান। তার দাবি, মুশাররফের সঙ্গে কথপোকথনের সময় তিনি বেনজিরের সঙ্গেই ছিলেন।
সেইগেল বলেন, মুশাররফ খুবই কর্কশভাবে কথা বলছিলেন। বেনজির দেশে আসেন এটা মুশাররফ কখনো চাননি। কিন্তু বেনজির তাকে স্পষ্ট জানিয়েছিলেন তিনি মাতৃভূমিতে ফিরবেন। এছাড়াও মুশাররফ বেনজিরকে একটি চুক্তির আহবান জানিয়েছিলেন। চুক্তিমতে, বেনজির রাজনীতি থেকে সরে দাড়ালে মুশাররফ তার স্বামী আসিফ আলি জারদারিকে জেল থেকে মুক্ত করে মন্ত্রী করবেন।
উল্লেখ্য, সেসময় জারদারি কারাবন্দি ছিলেন। কিন্তু তিনি এই চুক্তি কোনো অবস্থাতেই মানবেন না বলে বেনজির জানিয়েছিলেন। এদিকে, পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) মহাসচিব জাহাঙ্গির বাদার বলেছেন, বেনজির হত্যাকাে র জন্য দায়ী মুশাররফ ও অন্যান্যদের শিগগিরই বিচারের আওয়াতায় আনা হবে। জাতিসংঘের তদন্ত প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তি করেই এই পদক্ষেপ নেবে পিপিপি সরকার। শনিবার এক সংবাদ সম্মেলনে একথা বলেন তিনি।
পিটিআই/ জিও (আমাদের সময়)
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।