আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

রবীন্দ্রকাব্যে কুরআনের আলো

আিম েক আিম জািন না।

রবীন্দ্রনাথ হিন্দু ছিলেন না। ছিলেন উদার একেশ্বরবাদী। মূর্তিপূজা করেন নি কখনো। যাঁরা "রাজর্ষী" পড়েছেন, জানেন দেবদেবীর বিরুদ্ধে তাঁর বিদ্রোহের কথা।

বাদ দিলুম রাজর্ষীর গল্প। অন্তত "বলাকা" তো পড়েছেন? বলাকার প্রথম কবিতায়ই আছে : 'শিকলদেবীর ওই যে পুজোবেদী/ চিরকাল কি রইবে খাঁড়া?/ পাগলামো! তুই আয় রে দুয়ার ভেদি...' আমি যা বলতে চাচ্ছি, ভূমিকা হিসেবে -- রবীন্দ্রনাথ প্রথাগত ধার্মিক ছিলেন না। তবু তিনি ছিলেন এক ও নিরাকার ঈশ্বরের উপাসক। এসব কথা খুবই পুরনো মনে হবে রবীন্দ্রভক্তদের কাছে, সবাই জানি। অতএব শিরোনামের বিষয়ে আসি।

প্রসঙ্গত : আমি প্রমাণ করতে চাই না যে রবীন্দ্রনাথ ইসলামী আদর্শে মুগ্ধ গদগদ হয়ে নিচে উদ্ধৃত কুরআনের অংশটুকু অনুবাদ করেছিলেন, কোনো রবীন্দ্রনাথ মুসলমান হয়ে গেলেও ইসলাম কিংবা মুসলিম জাতি বর্তে যেতো, এমন হীনমন্ম্যতা আমার নেই। হয়তো কাকতালীয়ভাবে মিলে গেছে। এই মিলে যাওয়ায় আমি আনন্দ পাচ্ছি এবং এ আনন্দই আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করছি। অতএব খামাখা মৌলবাদের গন্ধ খুঁজে কেউ পণ্ডশ্রম করবেন না। পৃথিবীর বড় বড় ধর্ম ও ধর্মগ্রন্থগুলো নিয়ে রবীন্দ্রনাথ উৎসাহী ছিলেন।

নিভৃতে পাঠ করেছিলেন বাইবেল, কুরআন, গীতা ইত্যাদি। নিবিষ্ট চোখে তাকালে আমরা দেখবো তাঁর গীতাঞ্জলিসহ সর্বত্র ছড়িয়ে আছে পবিত্র কুরআনের অপার্থিব আবহ। বিশ্বসাহিত্যে এ ছিলো এক নতুন ভাবধারা, নোবেল সম্মাননাপত্রে যার উল্লেখ রয়েছে। ফলে ইয়েটসের মতো বহু বিশ্বখ্যাত কবি রবীন্দ্রনাথের ভক্ত হয়ে পড়েছিলেন। রবীন্দ্রসাহিত্যে কুরআনের প্রভাব নিয়ে পৃথক গবেষণা হতে পারে।

আমি এখানে একটি কবিতাংশ উদ্ধৃত করছি, যা মহাগ্রন্থ কুরআনের সূরা 'ত্বা-হা'র হুবহু ভাবানুবাদ। আপনি নিজেই মিলিয়ে দেখুন। প্রথমে পড়ুন ত্বা-হা'র ২৫-২৮ আয়াতগুলো : ক্বা-লা রাব্বিশ্রাহলী সাদরী, ওয়া ইয়াস্সির লী আমরী, ওয়াহলুল উক্বদাতান মিন লিসানী, ইয়াফক্বাহু ক্বাওলী। (অনুবাদ দয়া করে মিলিয়ে নিন। ) রবীন্দ্রনাথের কাব্যানুবাদ : প্রভু আমার হৃদয়দুয়ারখানি এইবেলা দাও খুলে, প্রাণের বীণায় তোমার প্রেমের বাণী নিভৃতে দাও তুলে।

ছন্দ জাগাও পঙক্তিগুলোয় ক্লান্তি ঝরুক পথের ধুলোয় ভেঙে দিয়ে বন্ধ বলয় সব পিছুটান ভুলে, জীবনতরী লও হে আমার টানি অরূপ তোমার কূলে।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।