আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কি চমৎকার করে বলৎকার অথবা আবালের রাজু আরোহন!

কাজল আব্দুল্লাহ্ এর ব্লগ

Click This Link আজ ফেইসবুক খুলেই মেজাজটা খারাপ হয়ে গেলো, একটি এ্যালবামের লিংকে ক্লিক করেই দেখি পহেলা বৈশাখে রাজু ভাস্কর্যের উপর এক দঙ্গল আবাল (আক্ষরিক অর্থেই) ক্যামেরা নিয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে। এদের মধ্যে অধিকতর আবালটি একটি ভাস্কর্য্যের মাথার উপর পা দিয়ে লর্ড কর্ণেওয়ালিস ভঙ্গিতে দাঁড়িয়ে আছে। আচ্ছা, এটি যখন ঘটে তখন ক্যাম্পাসের কারো চোখেই কি এটি পড়েনি??? পড়েছে তো অবশ্যই, কিন্তু তাহলে আমরা এর প্রতিবাদ করিনি কেন? আবালগুলোকে কানে ধরে নামিয়ে দেইনি কেন? নাকি আমাদের অনুভূতিগুলিই দিন দিন ক্ষয়ে যাচ্ছে? পহেলা বৈশাখকে কেন্দ্র করে সমগ্র ঢাকা শহর ঐদিন ক্যাম্পাসে ভীড় করবে এটিই স্বাভাবিক। কিন্তু ক্যাম্পাসে আসার আগে অন্তত এটুকু কমন সেন্স থাকা সবার অন্তত জানা উচিত যে, ক্যাম্পাসের ভাস্কর্যগুলি নিছক কোন মূর্তি নয়, এটি ক্যাম্পাসের বহু ইতিহাসের, ঐতিহ্যের স্বাক্ষী, প্রতীক এবং ধারক। এই চেতনা ধারণ করার মতো কষ্ট করা কষ্টকর হলে এগুলির প্রতি অন্তত শ্রদ্ধা নিবেদন তো করা যায়।

এজন্য আমরা ক্যাম্পাসের শিক্ষার্থীরাও দায় এড়াতে পারিনা। রাজু ভাস্কর্য্যের মাথার উপর পা দিয়ে থাকা লর্ড কর্ণেওয়ালিসকে আমরা কেন তখনই নামিয়ে দেই নি? আমাদের উদাসীনতার কারণেই (নাকি কতৃপক্ষের উদাসীনতা? কর্তপক্ষকে আর কত দোষ দেব, এরা তো কোন দায়িত্বই ঠিকভাবে পালন করে না, সবকিছুতেই ছাত্রদের হস্তক্ষেপ করতে হয়, আর এমন স্পর্শকাতর ব্যাপারে কতৃপক্ষের ঘাড়ে দায় চাপিয়ে আমরা দায়িত্ব এড়াতে পারি না) অনিয়মগুলিই এখন রেগুলার নিয়ম হয়ে দাঁড়িয়েছে। শহীদ মিনারের বেদীতে জুতা পরে ওঠার প্রতিবাদ না করতে করতে শহীদ মিনারে জুতা পরে ওঠা রীতিমতো রীতি হয়ে দাঁড়িয়েছে (২১শে ফেব্রুয়ারি বাদে!)। এখনতো প্রতিবাদ করতে গেলো উল্টো কথা শুনতে হয়! রাজু সন্ত্রাসবিরোধী ভাস্কর্যকে তো বেশ ঘটা করে অবমাননা করা শুরু করেছি। বাকী আছে স্বাধীনতা সংগ্রাম, অপরাজেয় বাংলা....।

বাহ! কি চমৎকার করে বলৎকার করা হচ্ছে আমাদের বিভিন্ন ঐতিহ্যের ধারক এবং প্রতীকগুলিকে আর আমরা? আমরা সেটি দেখেও অবলীলায় পাশ কাটিয়ে চলে যাচ্ছি, ছুটছি নিজের ধান্দায়! পুনশ্চ: আমি মনেপ্রাণে বিশ্বাস করি এই আবালগুলার একটাও ঢাবি ক্যাম্পাসের নয়, কারণ ক্যাম্পাসের একজন অতি বিকারগ্রস্ত শিক্ষার্থীও এই ধৃষ্টতা দেখাতে সাহস করবে না। আচ্ছা এরা যদি ক্যাম্পাসের হয়ে থাকে, তাহলে? ধিক আমাদের। । ।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।