কিছু মানুষ ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে স্বপ্ন দেখে। কিছু মানুষ স্বপ্নটা সত্যি করার জন্য ঘুম থেকে জেগে উঠে। জীবন আপনার কাছে সেভাবেই ধরা দিবে আপনি যেরকম থাকবেন।
“VIVA” শব্দটা আমি প্রথম শুনি যখন আমার বয়স ৬ (প্রায় ৭) বছর। গবর্নমেন্ট ল্যাবরেটরি হাই স্কুলে ক্লাস ওয়ান ভর্তি পরীক্ষায় রিটেন (লিখিত) অংশ হওয়ার পর জানা গেলো এখন ভাইভা হবে।
তা ভাইভা জিনিসটা যে কী আমি তখন ঠিক বুঝলাম না! আমাকে বলা হল তুমি এর আগে যা কিছু পারতা সেটা খাতায় লিখে দিয়ে এসেছ। এখন তোমাকে চিন্তা ভাবনা করে মুখ দিয়ে বলতে বলতে হবে। সাথে সাথেই আমি বুঝে গেলাম আমার আশেপাশের মানুষ যারা ভাইভা, ভাইভা বলছে আসলে ভুল বলছে। শব্দটা হওয়া উচিত VEBE (ভেবে)। আমার আব্বা আম্মা এত বোকা কেনো - জিনিসটা নিয়ে আমি বেশ বিরক্ত হলাম।
গভঃ ল্যাব স্কুল এ টিকাটা তখন বেশ বড় ব্যাপার। আমাদের বেইলি রোডে তখন রাজিব ভাই নামক এক বড় ভাই ছিলেন। (রাজিব ভাই HSC তে 12th স্ট্যান্ড করা ছাত্র ছিলেন, বুয়েট, ইলেক্ট্রিকালে পড়ার সময় তিনি বাস দুর্ঘটনায়, ১৯৯৬ সালে, মারা যান )। রাজিব ভাই আমাকে এসে বললেন, কিরে তুই নাকি গভঃ ল্যাব এ টিকসিস? আমি বললাম, জ্বি রাজিব ভাই। লিখিত পরিক্ষায় টিকসি তবে এখন আমার VEBE পরীক্ষা বাকি আছে।
কলোনীতে থাকার কিছু সমস্যা আছে। যেটা একজন জানবে সেটা নিউক্লিয়ার রিএকশনের মাধ্যমে সবার কাছে চলে যাবে। সবাই আমাকে দেখলেই বলত, কী খবর? তোমার VEBE পরীক্ষা কবে ? মজার ব্যাপার হল গভঃ ল্যাব ভর্তি পরীক্ষায় এ কোনো ভাইভা হয়নায়। ভাইভা এর দিন সবাইকে ভর্তি করে নেওয়া হয়। (১৯৯১ সালের ফেব্রুয়ারির কথা)।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থ বিজ্ঞান বিভা আসার পর প্রথম অফিসিয়াল যে পরীক্ষাটা হয় সেটাও ভাইভা। প্র্যাক্টিকাল ভাইভা। ফিজিক্স পরার দুইটা নিয়ম আছে, হয় অংশুমান-এর (আমাদের 1st boy) মত খুব বেশি পড়তে হবে, আর না হয় আমার মত কোনো পড়ালেখা করার দরকার নাই। কারন মাঝামাঝি যারা থাকে তারা সারা জীবন কনফিউসড থাকে যে ফিজিক্স পরে আসলে হবে টা কী? যাই হোক ফার্স্ট ইয়ার এর ল্যাব এর যে দুইজন টিচার ছিলেন তারা হলেন নওরীন ম্যাডাম এবং আহমেদ শফী স্যার। স্বাভাবিকভাবেই যেদিন আমার ভাইভা ছিল সেদিন কোনোরকম পড়ালেখা ছাড়াই ফেয়ার খাতা নিয়ে হাজির হলাম।
ভাগ্য সুপ্রসন্ন কারন তখনও আহমেদ শফী স্যার এসে হাজির হননাই। নওরীন ম্যাডাম আমাকে প্রথমে কি প্রশ্ন করেছিলেন আমার মনে নাই তবে প্রশ্নটা ছিল অনেকটা এরকম, What is “X”? আমিও জবাব দিলাম, অয়ালালা কুলালালা হালালা X. নওরীন ম্যাডাম চোখ বড় বড় করে বুঝার চেস্টা করছিলেন আমি আসলে কি বলতে চাচ্ছি! উনি তারপর বললেন, রাসয়াত বল “What is Y”? আমিও জবাব দিলাম, লালা উলা ডুলা কালা Y. আসলে এরকম করার মানে হল আমি কি বলতে চাচ্ছি সেটা জানি ম্যাডাম কোনো ভাবেই না বুঝেন কিন্তু ম্যাডাম জানি আবার মনে করেন আমি আসলে পারি, কাজেই ম্যাডাম যেটা জানতে চাচ্ছেন সেই শব্দটা যেন থাকে। তবে ম্যাডামের তখন হতভম্ব অবস্থা, আমাকে কি বলবেন সেটাই মনে হয় বুঝে পেলেননা। আল্লাহ যখন আমার ভাগ্য লিখেন তখন খুব ভাল মুড এ ছিলেন না। তাই আমার ভাগ্য বেশি সুপ্রসন্ন কখনই থাকেনা।
হঠাৎ করেই তাই আহমেদ শফী স্যার চলে এলেন। নওরীন ম্যাডাম এর সাথে কুশল বিনিময় করে তিনি আমাকে প্রশ্ন করলেন, “ What is Z? “ আমিও জবাব দিলাম, রালা জালা গালা লালা Z. আহমেদ শফী খুব থান্ডা মেজাজে তার সামনে রাখা গরম চায়ের কাপ এ চুমুক দিলেন। তারপর বললেন , তুমি কি এমন কিছু নাও যেটা তোমাকে stimulate করে? আমি বললাম , না স্যার কি বলেন!? স্যার বললেন, না সিরিয়াসলি বল, এমন কিছু যেটাতে excited হয়ে যাও? ড্রাগস টাগস? ………
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগে আসার পর প্রথম অফিসিয়াল যে পরীক্ষাটা হয় সেটাও ভাইভা। প্র্যাক্টিকাল ভাইভা। ফিজিক্স পরার দুইটা নিয়ম আছে, হয় অংশুমান-এর (আমাদের 1st boy) মত খুব বেশি পড়তে হবে, আর না হয় আমার মত কোনো পড়ালেখা করার দরকার নাই।
কারন মাঝামাঝি যারা থাকে তারা সারা জীবন কনফিউসড থাকে যে ফিজিক্স পরে আসলে হবে টা কী? যাই হোক ফার্স্ট ইয়ার এর ল্যাব এর যে দুইজন টিচার ছিলেন তারা হলেন নওরীন ম্যাডাম এবং আহমেদ শফী স্যার। স্বাভাবিকভাবেই যেদিন আমার ভাইভা ছিল সেদিন কোনোরকম পড়ালেখা ছাড়াই ফেয়ার খাতা নিয়ে হাজির হলাম। ভাগ্য সুপ্রসন্ন কারন তখনও আহমেদ শফী স্যার এসে হাজির হননাই। নওরীন ম্যাডাম আমাকে প্রথমে কি প্রশ্ন করেছিলেন আমার মনে নাই তবে প্রশ্নটা ছিল অনেকটা এরকম, What is “X”? আমিও জবাব দিলাম, "অয়ালালা কুলালালা হালালা X"। নওরীন ম্যাডাম চোখ বড় বড় করে বুঝার চেস্টা করছিলেন আমি আসলে কি বলতে চাচ্ছি! উনি তারপর বললেন, রাসয়াত বল “What is Y”? আমিও জবাব দিলাম, লালা উলা ডুলা কালা Y. আসলে এরকম করার মানে হল আমি কি বলতে চাচ্ছি সেটা জানি ম্যাডাম কোনো ভাবেই না বুঝেন কিন্তু ম্যাডাম জানি আবার মনে করেন আমি আসলে পারি, কাজেই ম্যাডাম যেটা জানতে চাচ্ছেন সেই শব্দটা যেন থাকে।
তবে ম্যাডামের তখন হতভম্ব অবস্থা, আমাকে কি বলবেন সেটাই মনে হয় বুঝে পেলেননা। আল্লাহ যখন আমার ভাগ্য লিখেন তখন খুব ভাল মুড এ ছিলেন না। তাই আমার ভাগ্য বেশি সুপ্রসন্ন কখনই থাকেনা। হঠাৎ করেই তাই আহমেদ শফী স্যার চলে এলেন। নওরীন ম্যাডাম এর সাথে কুশল বিনিময় করে তিনি আমাকে প্রশ্ন করলেন, “ What is Z? “ আমিও জবাব দিলাম, রালা জালা গালা লালা Z।
আহমেদ শফী স্যার খুব ঠান্ডা মেজাজে তার সামনে রাখা গরম চায়ের কাপে (আমার ধারনা চা ততক্ষনে ঠান্ডা হয়ে গিয়েছিল) চুমুক দিলেন। তারপর বললেন , তুমি কি এমন কিছু নাও যেটা তোমাকে stimulate করে? আমি বললাম , না স্যার কি বলেন!? স্যার বললেন, না সিরিয়াসলি বল, এমন কিছু যেটাতে excited হয়ে যাও? ড্রাগস টাগস? ………
সেকেন্ড ইয়ার প্র্যাকটিকাল ভাইভাটা নিয়ে আরও বেশি চিন্তায় পরলাম। কারন যখন সেকেন্ড ইয়ারে উঠলাম, তখন শুনলাম ভাইভা নাকি হয়না ডাইরেক্ট রিটেন হয়। পরে অবশ্য জানলাম সেটা আমাদের C গ্রুপে হয় না, শামীমা ম্যাডাম সেটা B গ্রুপ এ করান। আমিও হাফ ছেড়ে বাঁচলাম।
থলের বেড়ালটা বের হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা ছিল। তবে সেকেন্ড ইয়ারও খুব সহজ ব্যাপার ছিলনা। সেকেন্ড ইয়ার এর ল্যাব টিচার ছিলেন কামরুল স্যার এবং কবীর স্যার – দুই বাঘা বাঘা টিচার। আমার মনে হইলো উনাদের সামনে ভাইভা দেওয়াটা হবে অনেকটা বাউন্সি গ্রীন পিচে কার্টলী এমব্রোস আর কোর্টনী ওয়ালসকে (ওয়েস্ট ইন্ডিজের সেই বিখ্যাত বোলিং জুটি) মোকাবিলা করার মত। তনে উনাদের সামনে ভাইভা দাওয়ার একটা সুবিধা আছে।
এমব্রোস-ওয়ালস এর মতই বেশির ভাগ সময় উনারা বাউন্সার দেন। So what you have to do is “leave the ball”. ব্যাপারটা একটু পরিষ্কার করে বলা যাক, ভাগ্যক্রমে আমার ভাইভা এর দিন ক্যামরুল স্যার ছিলেননা। তিনি তখন ইটালীতে তে ছিলেন। ইটালী নামক দেশটার উপর কৃতজ্ঞতায় মনটা ভরে গেলো। কবীর স্যার হলেন আমার মতই জীবনে কোনোদিন দ্বিতীয় না হওয়া ছাত্র।
পার্থক্য খালি আমি কোনদিনও ফার্স্ট হইনি আর উনি সব সময় হয়েছেন। অনেকেই এক বাক্যে স্বীকার করে নিবে কবীর স্যার ঢাবি পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের অন্যতম সেরা শিক্ষক এবং ভাইভা এর সময় তিনি প্রশ্নের জবাবটা দিয়ে দেন। তার প্রশ্ন অনেকটা এরকম- তিন অক্ষরে নাম তার পানিতে থাকে, মাঝখানের অক্ষর বাদ দিলে আকাশেতে উড়ে। এরপরও যদি কেউ সেই প্রশ্নের জবাব দিতে না পারে তাহলে স্যার বলে দিবেন ঐ মাছটার পেটি খাইতে খুবই মজার। তারপরেও কেউ না পারলে তিনি বলবেন, চিতল মাছের নাম শুননাই? আমার ভাইভা নেওয়ার আগে নিসা,আনিকা আর রবিনের ভাইভা ছিল।
পুরা এক ঘন্টা ধরে অনুষ্ঠিত হওয়া সেই ভাইভাতে কবির স্যার এর গলা শুনা গেল ৫৯ মিনিট ৩০ সেকেন্ড, বাকি ৩০ সেকেন্ড ধরে নিসা,আনিকা আর রবিন বলল, "ইয়েস স্যার। "
সেকেন্ড ইয়ার এর কোর্স ভাইভা ছিল আরও মজার। আগেরদিন বাংলাদেশ-ভারত বিশ্বকাপের খেলা ছিল। বাংলাদেশ জিতল। সকাল ৯ টায় ভাইভা খেলা শেষ হয়েছে ভোর ৪ টায়, তার মধ্যে আবার বাংলাদেশ জিতায় তো আনন্দ উৎসব করে যখন ভাইভা দিতে গেলাম চোখের পাতা একবারও মিলানো হয় নায়, কোর্স কো-অর্ডিনেটর ছিলেন খালেক স্যার, তিনি শুরুতেই জিজ্জেস করলেন , "অপটিক্স কার বই পড়েছ?"……… সত্যি কথা বলতে কি ফিজিক্স-এর দুই-একটা প্রশ্নের জবাব যে জানতাম না, তা না,, কিন্তু অপটিক্স পরীক্ষা হয়েছে জানুয়ারী-এর এর ১৯ তারিখ, আর কোর্স ভাইভা মার্চ এর ১৮ তারিখ……. হাজার চেস্টা করেও, নিজের মাথাকে ঝাকি দিয়েও, Optics বইয়ের লেখকের এর নাম মনে করতে পারলাম না……. কি যে যন্ত্রনা….. ৫ মিনিট ধরে স্যার আর নাসরীন ম্যাডাম আমার মুখের দিক তাকায় আছে আর হুমায়ুন আহমেদ ছাড়া পৃথিবীর কোনো লেখকের নামই আমার মনে নাই…. তারপর সবাইকে হতবাক করে দিয়ে আমি বললাম … ব্রিজলাল….. এটা ভেবে বললাম কারন এই লেখকের নামে ফিজিক্স এর দুনিয়ার সব বই আছে।
ভাইভা থেকে বের হওয়ার পর মনে পরল ঐ বই যে লিখেছে তার নাম হেক্ট (Hecht)।
থার্ড ইয়ারে শুরু হল নতুন মুসিব্বত। ভাইভা নাকি হবে ৩ টা। এই জ্বালা কার সহ্য হয়!! তার মধ্যে ভাইভা নিবেন আবার সেই খালেক স্যার। খালেক স্যার ল্যাব রিপোর্টের দাড়ি, কমা, সেমি-কোলন সব গুতায় গুতায়, অনুবীক্ষন যন্ত্র দিয়ে পড়েন।
প্রথম ভাইভা এর দিন তিনি আমাকে দেখে এমন খুশি হলেন অনেকটা বিড়াল টম ইদুর জেরী কে বিপদে ফালানোর পর যে মজাটা পায়। আমার নাম রাসয়াত রহমান, শুনে তিনি বললেন এই নাম রাখসি কান!! আমি বললাম আমি তো রাখিনাই আব্বা-আম্মা রেখেছেন! তিনি বললেন আমার নাকি নামটা চেঞ্জ করা উচিত ছিল কারন নামটা শিখা খুব কষ্টকর। যাই হোক ২ ঘন্টা ধরে ভাইভা দিলাম। গ্রাফের এক্স এক্সিসটা টা ওয়াই এক্সিসে নিলে কি হত, গ্রাফটা এখানে শেষ না করে দিয়ে এক্স এক্সিস গাবতলী আর ওয়াই এক্সিস যাত্রাবাড়ী নিলে কি হত, ওয়াই এক্সিস নাই করে দিয়ে নতুন এক্সিস এম এক্সিস বানালে কি হত, মাথার উপর পাঙ্খা এসি কারেন্ট না ডিসি কারেন্ট!! সে বড় খারাপ সময়। ২ ঘন্টা ভাইভা দেওয়ার পর স্যার বললেন, রাসয়াত রহমান, থাক জানি কই? হলে না বাসায়? আমি ৩২ তা দাঁত দেখায় বললাম, স্যার বাসায়।
স্যার বললেন, বাসা কই? আমি বললাম সিদ্ধেশরী। স্যার বললেন, সেইখানেও কি এরকম উলটা-বাল্টা কথা বল?
থার্ড ইয়ারের সেকেন্ড ভাইভা এর দিন আবার আসলাম। স্যার বললেন, নাম জানি কি? আমি গর্ব সহকারে বললাম, রাসয়াত রহমান। স্যার বললেন, অহ…. এখনো চেঞ্জ করনাই!! আবার ২ ঘন্টা আমার উপর সাইক্লোন সিডর চলে গেলো। জেনার ডায়োড নামক মানসিক যন্ত্রনাময় একখান ডায়োড আছে যার সম্পর্কে আমি যাই বলিনা কেন, কোনটাই স্যার এর মনে ধরেনা! ভাইভা শেষ হয়ার পর তিনি আমাকে চলে যেতে বললেন এবং তারপর তিনি তফাজ্জল স্যার কে বললেন, “তোফাজ্জল!! ডু ইউ নো হোয়াট ইজ জেনার ডায়োড? আই এম কনফিউজড।
”
এরপর ল্যাব এর শেষ এর দিকে কি একটা সাইন করাতে স্যার এর কাছে গেলাম, তখন ছি পেলাচ পেলাচ নামক প্রোগ্রামিং এর ব্যাপক অবস্থা। দাস্তগীর স্যারের ভয়ে বাঘে মহিষে ইন্দুরে এক ঘাটে জল খায়। খালেক স্যার আমাকে বললেন, “এই দেখি দাস্তগীর তোমাদের কি প্রোগ্রামিং করায়? সাইন ওমেগা টি {Sin(wt)} এর প্রোগ্রাম লিখ, টি ভ্যালু ইনপুট, ওমেগা কন্সটান্ট” আমি মহা-নিরানন্দে লিখলাম,
< include iostream >
< using namespace std>
স্যার বললেন এই দাড়াও দাড়াও, 'ইউজিং নেম-স্পেস এসটিডি' মানে কি? এইটা কেনো দিলা?এর জবাব যে কি হয় কে জানে!! আমি বললাম স্যার, সুরা পরতে গেলে যেমন বিসমিল্লাহ বলা লাগে, প্রোগ্রামিং করতে গেলে তেমন 'ইউজিং নেম-স্পেস এসটিডি' লেখা লাগে। তোফাজ্জল স্যার বিরাট অট্টহাসি দিলেন, খালেক স্যার কে বললেন, আপনাকে বুঝানর জন্য এর থেকে ভাল জবাব আর নাই।
ফোর্থ ইয়ার নিয়ে কেন জানি তেমন একটা টেনশনে ছিলাম না।
ততোদিনে সব সয়ে গেছে। ভাইভা নিলেন ড মুহম্মদ ইব্রাহিম স্যার। উনাকে দেখলেই তো আমার বিটিভি এর বিজ্ঞান বিষয়ক অনুষ্ঠানের কথা মনে পরে যেখানে তিনি পারলে লাল বাতি আর না পারলে সবুজ বাতি জ্বালাতে বলতেন। এখানে অবশ্য তেমন ব্যবস্থা ছিল না। উনার ভাই প্রফেসর ইঊনুস এর মত নোবেল প্রাইজ না পেলেও আমার ভাইভা নেওয়ার আগেরদিন তিনি কি জানি একটা আন্তর্জাতিক পুরষ্কার পেলেন।
আমার ভাইভা নেওয়ার সময় তিনি বেশ হাশি-খুশি অবস্থায় ছিলেন। উনি অবশ্য বেশিরভাগ সময়-ই হাশি-খুশি অবস্থাতেই থাকেন।
মাস্টারস এর ভাইভা ৩-৪ দিন আগে দিলাম। আমি প্রাকটিকাল খাতা এক থেকে নয় সাজায় নিয়ে গেলাম স্যার নয় নম্বরটা দিয়ে ভাইভা শুরু করলেন। সব কিছুই অর্ধেক অর্ধেক করে পারি।
ঐখানে গিয়ে বলতে পারলাম আরও অর্ধেক। ল্যাণ্ড জি ফ্যাক্টর আর পোলারাইজিং এংগল নিয়ে ব্যাপক গবেষনার ফল হইল সেটা নিয়ে আগের ব্যাচ কে সব জিজ্ঞেস করাই আমাদের আর কিছু জিজ্ঞেস করেননাই। লাইফ এ আরও ২০-৩০ টা ভাইভা না দিলে হচ্ছেনা।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।