বগুড়ার দুপচাঁচিয়া উপজেলার চামরুল ইউনিয়নের উত্তর সাজাপুর গ্রামের কায়সার ও তার স্ত্রী কিডনি বিক্রি করে বেঁচে থাকতে চান। দৈন্য ঘোচাতে চান। এক সময় ভ্যান চালিয়ে সংসার চলত তাদের। সহায়সম্পদহীন কায়সার ৩ মেয়ে ও ১ ছেলেকে নিয়ে খেয়ে-না খেয়ে দিন কাটাতেন। এরই মধ্যে ৩ মেয়েকে অনেক কষ্টে বিয়ে দেন।

একমাত্র ছেলে আকরাম হোসেন বিয়ে করে পৃথক সংসার বাঁধে। বর্তমানে ছেলে ইটভাটায় কাজ করে। বয়সের ভারে বৃদ্ধ কায়সার আর ভ্যান চালাতে পারেন না। স্ত্রী আবেদা খাতুনকে নিয়ে সুতা কিনে জাল তৈরি করে তা বাজারে বিক্রি করেন। এতে যা আয় হয়, তা দিয়ে স্বামী-স্ত্রী দু’বেলা দু’মুঠো ভাত ঠিকমত জোগাড় করতে পারেন না।

তাই জাল বুনেও তাদের অভাব দূর হয় না। বর্তমানে তিনি দেনাগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন। পেটের ক্ষুধা ও দেনায় তিনি এখন অন্ধকার দেখছেন। বাধ্য হয়ে তারা স্থির করেছেন দু’জনেই একটি করে কিডনি বিক্রি করে যা পাবেন তা দিয়ে দেনা শোধ ও যে ক’দিন বাঁচবেন কোনো রকমে চলার জন্য সম্বল হিসেবে কিছু করবেন। সমাজের হৃদয়বান ও বিত্তশালীদের কাছে স্বামী-স্ত্রী দু’জনই কিডনি বিক্রির ব্যাপারে সহযোগিতার জন্য আকুল আবেদন জানিয়েছেন।

যোগাযোগের ঠিকানা : ০১৭২৯৬৩৩৩৪৯।
।