আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

রসুলুল্লাহর (সাঃ ) এর চরিত্ত ও স্বভাব ২



রসুলে আকরাম (সাঃ ) এর চরিত্ত বিশ্ববিশ্রুত আল্লাহ কোরআনে তার চরিত্তের এভাবে প্রশংসা করেছেন " নিশ্তিতই আপনি মহান চরিত্তের অধিকারি " রসুলুল্লাহর (সাঃ ) এর চরিত্ত ও স্বভাব সম্পর্কে কিছু হাদিস হযরত আয়েশা (রাঃ) বলেন রসুলুল্লাহর (সাঃ ) না স্বভাবগতভাবে অশ্লীলভাষী ছিলেন না স্বেচ্ছাপ্রনোদিত হয়ে অশ্লীল কথা বলতেন এবং না বাজারে চীৎকার করে কথা বলতেন । তিনি অনিষ্টের বদলে অনিষ্ট করতেন না বরং মাফ করে দিতেন এবং এ প্রসঙ্গে আলোচনাও করতেন না । ব্যাখ্যা কতক লোক স্বভাবগত ভাবে অশ্লীলভাষী ও অনর্থক মস্করায় অভ্যস্ত হয়ে থাকে । আবার কেউ কেউ স্বেচ্ছাপ্রনোদিত হয়ে মজলিসের ধারা বজায় রাখার জন্য অশ্লীল কথা বলে। হযরত আয়েশা (রাঃ) উভয় প্রকার অশ্লীলতা অস্বীকার করেছেন ।

বাজারে যাওয়ায় দোষ নেই কিন্তু সেখানে গিয়ে হৈ হুল্লোর করা গাম্ভীর্যের পরীপন্থী । অনিষ্টের বদলে অনিষ্ট না করা সম্পর্কিত ঘটনাবলি দিয়ে রসুলুল্লাহর (সাঃ ) এর সমগ্র জীবন-চরিত ভরপুর । হেন কষ্ট নেই কাফেররা (বিধর্মীরা ) দেয়নি । ওহুদ যুদ্ধে রসুলুল্লাহর (সাঃ ) সাথে যে পরিমান খারাপ করা হয়েছিল তা দেখে সাহাবায়ে কেরামগন অনুরোধ করছিলেন বদদোয়া করার জন্য কিন্তু তিনি দোয়া করেন এভাবে " হে আল্লাহ, আমার কওমকে হেদায়াত করো। এরা মূর্খতায় নিমজ্জিত " হযরত আয়েশা (রাঃ) বলেন আমি রসুলুল্লাহর (সাঃ ) কে কখনও নিজের জন্য কারও জুলুমের প্রতিশোধ নিতে দেখি নি ।

তবে আল্লাহর নিষেধ , হারাম কোনো কাজ কেউ করলে (এতে মানুষের কোনো হক থাকলে ) তার চেয়ে অধিক রাগ আর কারো হতোনা। রসুলকে যখন ২ বিষয় বেছে নেবার এখতিয়ার দেয়া হতো, তখন তিনি সর্বদা সহজ বিষয়টি বেছে নিতেন। ব্যাখ্যা ওহুদ যুদ্ধে ওতবা রসুলুল্লাহর (সাঃ )এর প্রস্তর নিক্ষেপ করার কারনে তখন দন্ত মোবারক শহীদ হয়ে যায় । সাহাবায়ে কেরামগন বলেন এই ইতরের জন্য বদদোয়া করুন কিন্তু তিনি দোয়া করেন এভাবে"হে আল্লাহ, আমার কওমকে সৎ পথ প্রদর্শ করো, এরা অগ্গ " । রসুলুল্লাহর (সাঃ ) কোনো সময়ই ধ্বংসের জন্য দোয়া করেন নি বরং তাদের হয়ে আল্লাহর কাছে সাহায্য প্রাথী হয়েছেন, মাফ চেয়েছেন , তায়েফের ময়দান যার অনন্য উদাহরণ ।

রসুলুল্লাহর (সাঃ ) এর চরিত্ত ও স্বভাব ০১ পরবর্তী ব্লগ রসুলুল্লাহর (সাঃ ) এর বিছানা

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।