রসুলে আকরাম (সাঃ ) এর চরিত্ত বিশ্ববিশ্রুত আল্লাহ কোরআনে তার চরিত্তের এভাবে প্রশংসা করেছেন " নিশ্তিতই আপনি মহান চরিত্তের অধিকারি "
রসুলুল্লাহর (সাঃ ) এর চরিত্ত ও স্বভাব সম্পর্কে কিছু হাদিস
হযরত আনাস (রাঃ) বলেন আমি রসুলুল্লাহর (সাঃ ) এর ১০ বছর খেদমত করেছি । তিনি আমাকে কখনও কোনো কাজের জন্য উহু শব্দটি পর্যন্ত বলেননি।
কোন কাজ করার কারনেও বলেননি কেন করলে ও কোন কাজ না করার কারনে বলেননি কেন করোনি
ব্যাখ্যা কোন কাজের জন্য রসুলুল্লাহর (সাঃ ) এর উহু শব্দটি না বলা চারিত্তিক পরাকাষ্ঠাও পরিপূর্ন বিনয়ের কারনে ছিল ।
তিনি আনাসের না করাকে তার নিজের কর্ম বল মনে করতেন না, বরং আল্লাহর পক্ষ হতে মনে করতেন তাতেই খুশি থাকতেন ।
রসুলুল্লাহর (সাঃ ) বলতেন আল্লাহ যা চান তাই হয়।
রাবেয়া বসরির প্রসিদ্ধ উক্তি এই হে আল্লাহ যদি তুমি আমাকে খন্ড বিখন্ড করে ফেল তবে এতে আমার মহব্বতের কিছু বৃদ্ধি হবে
হযরত আনাস (রাঃ) বলেন রসুলুল্লাহর (সাঃ ) এর কাছে এক ব্যাক্তি হলুদ রং এর জামা পরে বসে ছিলো । রসুলুল্লাহর (সাঃ ) এর অভ্যাস ছিলো অপ্রিয়বিষয় মুখে মুখে নিষেধ করতেন না , তাই চুপ কর ছিলেন । লোকটি চলে গেলে, তখন তিনি উপস্হিত সাহাবায়ে কেরামকে বললেন তোমরা ঐ লোকঢিকে হলুদ রং এর জামা পরতে বারন করে দিলে ভালো হইতো ।
ব্যাখ্যা আমি উম্মতের প্রতি রসুলুল্লাহর (সাঃ ) এর এটা ছিলো চরম স্নেহ ও অনুকম্পা । তিনি প্রায়ই এমন বিষয় সম্পর্কে মুখোমুখি নিষেধ করতেন না এই আশংকায় যে,লোকটি অস্বীকার করে বসে কিংবা তার আপত্তির কারন হয়ে যায়।
যেসব বিষয়ে এই আশংকা করতেন না সে সব বিষয়ে তখন সরাসরি মানা করে দিতেন ।
চলবে
রসুলুল্লাহর (সাঃ ) এর চরিত্ত ও স্বভাব ২
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।