আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

প্রসংগ : ইডেন ঘটনা !

"কাদম্বিনী মরিয়া প্রমাণ করিল সে মরিয়া গেছে.। "

দেহ ব্যবসা সমগ্র বিশ্বে স্বীকৃত একটা বিষয়। কোন্‌ দেশের আইন এটা নিয়ে কি বল্‌লো না বল্‌লো তা দিয়ে কিছু আসে যায়না। বাস্তবতা এই পেশাকে স্বীকার করে নিয়েছে সুপ্রাচীন কাল থেকে। আমাদের বাংলাদেশেও কান্দুপট্টি কিংবা দৌলদিয়ার সামান্তারালে অভিজাত পাড়ায় অভিজাত সমাজে অভিজাত পরিবেশে এই ব্যবসা হরদম চলছে।

এসব সকলের জানা থাকলেও অধিকাংশ মানুষ তা নিয়ে মাথা ঘামানোর প্রয়োজন বোধ করেনা। কিন্তু আমরা তখনি শংকিত হয়ে উঠি যখন দেখি আমাদের বিদ্যালয়ের পরিবেশ জড়িয়ে যাচ্ছে এই কালীমা লিপ্ত অধ্যায়ের সাথে। কারন বিদ্যালয়, মসজিদ, মন্দির, গীর্জা এসব স্থান গুলোকে পবিত্র জ্ঞান করা আমাদের আবহমান কালের মানসিকতা। অতি সম্প্রতি ইডেনে ঘটে যাওয়া ঘটনা "টক অব দ্যা কান্ট্রি" হয়ে যাওয়ার এটাই একমাত্র কারণ। ইডেনে যা ঘটেছে তা একটা জাতির জন্য অনেক বড় দূঃসংবাদ এতে কোন সন্দেহ নেই।

দল-মত নির্বিশেষে সকলের নৈতিক দায়িত্ব এমন ঘটনার নিন্দা জানানো এবং প্রতিরোধ করা। যারা ইডেনের ঘটনার জন্ম দিয়েছে কিংবা যারা তাদের কে প্রশ্রয় দিয়েছে তাদের নিন্দা জানাই। কিন্তু তাই বলে ইডেনের ঘটনা কে জেনারালাইজ করার কোন যৌক্তিক কারণ নাই। ইডেনের গুটি কয়েক মেয়ের অন্যায়ের দায়ভার যদি সমগ্র বাংলাদেশের সকল প্রতিষ্ঠানের মেয়েদের উপর চাপিয়ে দেওয়া হয় তাহলে সেটা হবে গুরুতর অন্যয় এবং অবিচার। এটাও ভাবতে হবে যে ইডেনের যে মেয়েগুলি এসব কাজে জড়িত তাদের অনেকে পরিস্থিতির শিকার।

আর তাদের কে যারা এটা করতে বাধ্য করেছে তারা আমাদেরই তথাকথিত নাক সিটকানো ভদ্র সমাজের কেউ না কেউ। ওরা স্রেফ এদেশের কলুষিত রাজনীতির নষ্ট ফসল। ঘৃনা করতে হয় তো নির্দিষ্টভাবে তাদেরকেই ঘৃণা করতে হবে। কাজেই ইডেনের মেয়ে বলে কাউকে কিংবা ইডেন নামক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কে তৃতীয় নয়নে দেখার কোন অবকাশ নেই। যদি দেখা হয় তবে সেটা হবে স্থূল বুদ্ধির পরিচয়।

আধুনিক সময়ে এসে আকাশ সংস্কৃতি,মোবাইল ফোন ও ইন্টারনেটের অপব্যবহার জনিত কারনে আমাদের তরুন/তরুনীদের একটা উল্লেখযোগ্য অংশ বিপথগামী এবং মূল্যবোধ বিচ্যূত এই কথা অস্বীকার করার উপায় নেই। তাই বলে এই চিত্র ৫৫ হাজার বর্গমাইলের সামগ্রিকতা নয়। সমগ্র বাংলাদেশ এখনো মায়া,মমতা ,নীতি,আদর্শ ও মূল্যবোধ হৃদয়ে ধারণ করা সহজ সরল মানুষের মহা মিলন ক্ষেত্র। কাজেই আসুন বাংলাদেশের সব ছাত্রী বা মেয়ে কলুষিত এই ভ্রান্ত ধারণা যাদের আছে তারা এমন ধারণা থেকে বেরিয়ে আসি.,,,অন্যকে বেরিয়ে আসতে সাহায্য করি। ইডেনের ঘটনার ন্যায্য প্রতিবাদের মধ্য দিয়ে এই ঘটনার যারা কুশীলব তাদের শাস্তি নিশ্চিত করি।

সর্বোপরি এমন ঘটনার যাতে ভবিষ্যতে পুনরাবৃত্তি না ঘটে সে ব্যাপারে সজাগ থাকি। বাংলাদেশের রমনীরা তথা আমাদের মায়েরা,আমাদের বোনেরা বিশ্বের শ্রেষ্ঠতম রমনী এই বাণী ঘোষিত হোক দিক্বিদিক।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।