আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ক্রনিক (বা দীর্ঘস্থায়ী) ব্রঙ্কাইটিস এবং এমফিসেমা (শ্বাসকষ্ট সংক্রান্ত রোগ)

পরিমান মতো বিশুদ্ধ পানি পান করুন
লক্ষণ ও উপসর্গঃ ক্রনিক ব্রঙ্কাইটিস ১. এই রোগের শুরুটা হয় “ধুমপায়ীর কাশি” বা স্মোকার’স কফ নামে পরিচিত প্রতিদিন সকালের কাশি থেকে; দেখা যায় প্রতিদিন সকালেই কাশির সাথে শ্লেষ্মা বেড়িয়ে আসছে। ২. এই রোগ যতই বাড়তে থাকে ততই কাশি আরও বেশি অবিরাম হয়ে উঠতে শুরু করে এবং আক্রান্ত ব্যক্তি অল্পতেই হাপিয়ে ওঠে অর্থাৎ তার শ্বাস বা দম কমে যায়। ৩. এই রোগের চুরান্ত পর্যায়ে কাশি এবং শ্বাস নেবার সময় বুকের মধ্যে শন শন শব্দটা প্রায় অবিরাম পর্যায়ে চলে যায়। এমফিসেমা: প্রথমদিকে হয়তো কোন লক্ষণই দেখা যাবে না। রোগের পরবর্তীতে পর্যায়ে যে লক্ষণ বা উপসর্গগুলো দেখা যায়: ১. ক্রমাগত, শুষ্ক কাশি| ২. দম কমে যাওয়া ৩. অল্পতেই হাপিয়ে ওঠা ৪. প্রথম দিকে কায়িক পরিশ্রমের কারণে, পরবর্তীতে যেকোন শারীরিক সক্রিয়তাতেই হাপিয়ে ওঠার ব্যাপারটা লক্ষ্যণিয় হয়ে ওঠে।

৫. পরবর্তী পর্যায়ে বুক উঁচু হয়ে ওঠে কিংবা ফুসফুসে বাতাস আটকে থাকার জন্যে ব্যারেলের মতো আকৃতি হয়ে ওঠে। ৬. ওজন কমে যাওয়া| ৭. ফুসফুসের রোগে আক্রান্ত হওয়া। কী করা উচিত ১. আপনি যদি ধুমপায়ী হন সেক্ষেত্রে অনতিবিলম্বে ধুমপানের অভ্যাস ত্যাগ করুন; ধুমপানই হলো এমফিসেমা এবং ক্রনিক ব্রঙ্কাইটিসের এখন পর্যন্ত আবিস্কৃত কারণগুলোর মধ্যে প্রধান কারণ। তবে আশার কথা হলো এই যে - এই রোগ হয়ে যাবার পরও যদি ধুমপান ছেড়ে দেয়া হয়, সেক্ষেত্রে আপনার ফুসফুস ইতিমধ্যে সাধিত ক্ষয়-ক্ষতি সারিয়ে সুস্থ হয়ে উঠতে শুরু করে। ২. প্রতি বছর ইনফ্লুয়েঞ্জার প্রতিষেধক নিন এবং নিউমোনিয়ার টিকা নিন।

৩. ধুলো বা ধুমা দিয়ে পরিবেষ্টিত স্থান এড়িয়ে চলুন এবং অধিক মাত্রায় দূষিত বাতাসে না গিয়ে সম্ভব হলে ঘরে অবস্থান করুন। ৪. পরিস্কার বাতাসে ব্যয়াম বা শরিরচর্চা করুন - খুব বেশি নয় কিন্তু নিয়মিত করতে হবে। ৫. নিজের যত্ন নিন, আর আপনার ফুসফুসে যদি কোন রোগ দেখা যায়, অনতিবিলম্বে চিকিৎসার ব্যবস্থা নিন। কখন ডাক্তার দেখাবেন ১. আপনার যদি দীর্ঘস্থায়ী এবং মৃদু কাশির প্রবণতা থাকে এবং যদি একমাস সময়ের মধ্যেও কাশির সমস্যা দূর না হয়। ২. সামান্য শ্রমেই যদি আপনি সবসময় হাপিয়ে ওঠেন যেমন, সিড়ি দিয়ে বেশ কিছু ধাপ উঠেই যদি আপনার দম ফুরিয়ে যায়।

কীভাবে প্রতিরোধ করবেন ১. ধুমপান করবেন না| ২. ব্রঙ্কাইটিসের লক্ষণ দেখার সাথে সাথে প্রতিকার মূলক চিকিৎসা ব্যবস্থা গ্রহণ করুন। ধুমপান ত্যাগের বিষয়টিকে সহজ করে তোলার জন্যে কিছু কৌশল
 


এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।