এক সময় বই ছিল আমার নিত্য সঙ্গী , অনেক রাত জেগে বালিশ নিয়ে উপুর হয়ে বই পড়তে পড়তে বুক ব্যাথা হয়ে যেত । পড়া শেষ হতো না । আজো বইয়ের কথা মনে হলে আমার বুকে ব্যাথা হয়, তাদের মলাটে ধুলোর আস্তর জমেছে বলে । বইয়ের পোকা থেকে এখন আমি ইন্টারনেটের পোকা ।
পাখি দেখতে শ্রমঙ্গলের বাইক্কার বিলে যাব যাব করেও সময় করে উঠতে পারছিলাম না, শেষ পর্যন্ত ফেব্রুয়ারী মাসের ১৩ তারিখে সময় করে উঠতে পারলাম ।
এক বন্ধুকে নিয়ে চলে গেলাম পাখিদের অভয়াশ্রমে । অবশ্য শীত ততদিনে যাই যাই করছে, আর শীতের চলে যাওয়া মানেই তো পাখিদেরও চলে যাওয়া । শীত এবং বাইক্কা বিলের পানি কমে গেলেও আমাদের হতাশ হতে হয়নি, পাখিরা তখনো চলে যাওয়া শুরু করেনি । আজ তারই ফটোব্লগ আপনাদের সামনে তুলে ধরার চেষ্টা...............
শ্রীমঙ্গল শহর থেকে কিছুটা পাকা রাস্তা থকলেও বাইক্কার বিলে যাওয়ার শেষ ছয় কিলোমিটার আপনাকে যেতে হবে এমন ধুলি-ধূসরিত কাঁচা রাস্তা দিয়ে ।
চোখে পড়বে এমন দৃশ্য অহরহ.....
এমন বসত বাড়িগুলো আপনার মন কেড়ে নিবে এটা বলা যায় অবলিলায়
ওই আমাদের ছেলেরা সব, ভাবনা যে সে ওদের পিঠে
বাইক্কার বিলে ঢোকার মুখেই পাবেন এমন শুনশান হিজল না কি যেন বন, সেই সাথে কানে আসবে হাজারো চেনা অচেনা পাখির কলরব ।
কলমী ফুলেরা জানাবে স্বাগত......
মূল স্পটে এমন পাখির ঝাঁক দেখে মনে হবে, এমন দেশটি কোথাও খুঁজে পাবে নাকো তুমি...............
পানিতে তামাটে রঙের যা দেখা যাচ্ছে সবই কিন্তু পাখি !!
কালিম পাখি
বাইক্কার বিলকে অনেকে পদ্ম বিল কেন বলে এখানে চোখ বুলালেই বুঝা যায় ।
সাদা-কালো বকটার বিশালতা সত্যিই অবাক হওয়ার মতো ।
যেদিকে তাকাবেন শুধুই পাখির রাজত্ব
পাখি পর্যবেক্ষণ টাওয়ার
বিলে পাখিদের প্রহরীদের বাসস্থানটা কিন্তু অনেকটা পাখিদেরই মতো ।
স্থলে জলপদ্ম
আগামী শীতে আবারো যাওয়ার প্রতিজ্ঞা নিয়ে এক সময় গিরে আসা........
[img|]
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।