আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

নির্বাচনের বছরে এডিপি বাড়ছে এক-তৃতীয়াংশ

আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকারের এই মেয়াদের শেষ বাজেটে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) জন্য খরচ চলতি অর্থ বছরের তুলনায় প্রায় তিনভাগের একভাগ বাড়ছে।
সরকারি কর্মকর্তারা বলছেন, ৭৪ হাজার কোটি টাকার এডিপিতে বিদ্যুৎ ও যোগাযোগ খাত উন্নয়নে খরচ বাড়াচ্ছে সরকার।
এডিপিতে থাকছে বৃহত্তম অবকাঠামো প্রকল্প পদ্মা সেতু।
নতুন এডিপি বাস্তবায়নে বিদেশ থেকে প্রকল্প সাহায্য হিসেবে আসবে ২৪ হাজার ৫৩৬ কোটি টাকা। স্থানীয় মুদ্রা খরচ ধরা হয়েছে ৪৯ হাজার ৪৩২ কোটি টাকা।


মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের (এনইসি) বৈঠকে নতুন এডিপি অনুমোদন দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এ কে খন্দকার।
শনিবার রাতে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, “এবারই প্রথম স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানসমূহের জন্য বরাদ্দ এডিপিতে অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে। সে কারণেই নতুন এডিপি’র আকার একটু বেশি মনে হতে পারে। ”
স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের বরাদ্দসহ নতুন এডিপিতে চলতি এডিপি’র চেয়ে বরাদ্দ বাড়ছে ৩৪ দশমিক ৫ শতাংশ। আর স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের বরাদ্দ ছাড়া আগামী এডিপি’র বরাদ্দ বাড়ছে ১৯ দশমিক ৭৬ শতাংশ।


মঙ্গলবারের এনইসি বৈঠকে উত্থাপনের জন্য পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় থেকে যে কার্যপত্র তৈরি করা হয়েছে তাতে দেখা যায়, ২০১৩-১৪ অর্থবছরের এডিপি’র মোট প্রকল্পের সংখ্যা এক হাজার ৪৭টি। এর মধ্যে নতুন প্রকল্প ৫০টি।
৯৯৭টি পুরনো প্রকল্প। অর্থ্যাৎ এই প্রকল্পগুলো চলতি ২০১২-১৩ অর্থবছরের এডিপি থেকে নতুন এডিপিতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
কার্যপত্রের তথ্য অনুযায়ী, মঙ্গলবারের এনইসি বৈঠকে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে আগামী ২০১৩-১৪ অর্থবছরের জন্য ৭৩ হাজার ৯৬৮ কোটি টাকার এডিপি অনুমোদনের প্রস্তাব করা হবে।


যাতে স্বায়ত্তশাসিত বিভিন্ন সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নের জন্য আট হাজার ৯৮ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে।
সরকারের শেষ সময়ে জনতুষ্টির জন্য উন্নয়ন বাজেটের আকার বেশি হচ্ছে কিনা- এ প্রশ্নের উত্তরে এ কে খন্দকার বলেন, “মোটেও না। স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের বাইরে অন্যান্যবার যে হারে উন্নয়ন বাজেটের বরাদ্দ বাড়ে এবারও সে হারেই বাড়ানো হচ্ছে। ”
চলতি অর্থবছরের বাজেটে মূল এডিপির আকার ধরা হয়েছিল ৫৫ হাজার কোটি টাকা। সংশোধিত বাজেটে তা কমিয়ে ৫২ হাজার ৩৬৬ কোটি টাকায় নামিয়ে আনা হবে।


এনইসি বৈঠকে চলতি অর্থবছরের সংশোধিত এই এডিপিও অনুমোদন দেয়া হবে।
সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের প্রথম নয় মাসে (জুলাই-মার্চ) এডিপি বাস্তবায়নের হার ৪৯ শতাংশ। গত অর্থবছরের একই সময়ে এ হার ছিলো ৪৫ শতাংশ।
আর ২০১১-১২ অর্থবছরে এডিপি বাস্তবায়নের হার ছিল ৯৪ শতাংশ।
অতীতে দেখা গেছে, যে কোনো সরকারের শেষ বছরে এডিপি বাস্তবায়নের হার অন্য যে কোনো বছরের চেয়ে বেশি হয়ে থাকে।


পাঁচ বছরের চিত্র
গত পাঁচ বছরের এডিপি বাস্তবায়নের অগ্রগতি পর্যালোচনায় দেখা যায়, ২০০৬-০৭ অর্থবছরে মূল এডিপির আকার ছিল ২৬ হাজার কোটি টাকা। সংশোধিত বাজেটে তা কমিয়ে ২১ হাজার ৬০০ কোটি টাকায় নামিয়ে আনা হয়।
২০০৭-০৮ অর্থবছরে মূল এডিপির আকার ছিল ২৬ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। সংশোধিত বাজেটে তা কমিয়ে ২২ হাজার ৫০০ কোটি টাকায় নামিয়ে আনা হয়।
২০০৮-০৯ অর্থবছরে মূল এডিপির আকার ছিল ২৫ হাজার ৬০০ কোটি টাকা।

সংশোধিত বাজেটে তা কমিয়ে ২৩ হাজার কোটি টাকায় নামিয়ে আনা হয়।
২০০৯-১০ অর্থবছরে ৩০ হাজার ৫০০ কোটি টাকার এডিপি কাঁটছাট করে নামিয়ে আনা হয় ২৮ হাজার ৫০০ কোটি টাকায়।
২০১০-১১ অর্থবছরে মূল এডিপি ছিল ৩৮ হাজার ৫০০ কোটি টাকা, সংশোধন করে কমিয়ে আনা হয় ৩৫ হাজার ৮৮০ কোটি টাকায়।

সোর্স: http://bangla.bdnews24.com     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.