একমুখাপেক্ষি না হয়ে যা কিছু ভাল তা গ্রহন করা উচিৎ...
মডারেটরের সাথে সাধারনতো কারো কোনো শত্রুতা থাকে না। তবে মডারেটর যদি নিজেই ব্লগে লিখে থাকেন এবং বিভিন্ন পোষ্টে নিজেই মন্তব্য করে থাকেন তবে একসময় হয়তো কোনো কোনো ব্লগারের সাথে তিনি রেষারেষিতে জড়িয়ে যেতে পারেন। যার সাথে মডারেটরের রেষারেষি হয়ে যাবে তিনি হয়তো কিছু ক্ষেত্রে কিছু কিছু অর্জন থেকে বঞ্চিত হবেন। যেমনঃ নির্বাচিতো হওয়ার মতো একটি পোষ্ট লেখার পরও হয়তো মডারেটরের সাথে রেষারেষি থাকার কারনে সেই পোষ্টটি নির্বাচিতো পোষ্ট হওয়া থেকে বঞ্চিত হবে।
সুতরাং মডারেটর হিসেবে কাকে নির্বাচিতো করা হবে?
১. এমন একজনকেই মডারেটর হিসেবে নির্বাচিতো করা দরকার যিনি ব্লগে লেখালেখি করেন না।
২. যিনি কোনো লেখায় মন্তব্য করেন না।
৩. যার নিজস্ব কোনো নেটওয়ার্ক নেই।
৪. যিনি নিরপেক্ষ সিদ্ধান্ত নেয়ার মতো যোগ্যতা রাখেন।
কেনো মডারেটর ব্লগে লিখবেন না?
১. যদি মডারেটর নিজেই লেখেন তবে নির্বাচিতো পোষ্টের ক্ষেত্রে তিনি তার পোষ্টকেই বেশী প্রাধান্য দিবেন। ফলে তার বেশীরভাগ পোষ্টই নির্বাচিতো হতে দেখা যাবে।
২. তিনি যদি বিভিন্ন ব্লগারের ব্লগে মন্তব্য করেন তবে তিনি একসময় না একসময় অবশ্যই রেষারেষিতে জড়াবেন অথবা এর বীপরীতটাও হতে পারে। ফলে সেই ব্লগারের প্রতি সবসময়ই একটা নেগেটিভ/পজেটিভ মনোভাব তার ভেতরে বিরাজ করবে।
৩. লেখালেখি করতে করতে একসময় তার নিজস্ব একটা নেটওয়ার্ক তৈরী হয়ে যাবে। ফলে তার নিজস্ব নেটওয়ার্কের প্রতি পজিটিভ মনোভাবের কারনে ব্লগে নিরপেক্ষতা থাকবে না এবং দেখা যাবে যে তার পরিচিতো একজন ব্লগার ব্লগে অন্যায় করলেও মডারেটর তাকে কিছুই বলছেন না। হয়তো সেই ব্লগার অকথ্য ভাষায় গালিগালাজও করছে এবং বিভিন্ন ব্লগারও তার উপর ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছে।
কিন্তু মডারেটর কিছুই বলছে না! কেনোনা, মডারেটরের প্রানের বন্ধু যে সেই ব্লগার!!
মডারেটরে স্বচ্ছতা আনার জন্য ব্লগে তার নিয়মিতো লেখালেখি করা কখনই ঠিক নয় এবং তার নিজস্ব নেটওয়ার্কও তৈরী করা উচিৎ নয়।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।