এই আমি খুব খারাপ ! অন্যায় করে যে ,আর অন্যায় সহে যে দুজনেই সমান অপরাধী !
আমি অপরাধী হতে চাই না । শুধু একটা কথাই বলব ২৬শে মার্চ পর্যন্ত এই আন্দোলন চালিয়ে নেওয়া হোক । ২৬শে মার্চে জামাত-শিবির ও ধর্ম ভিত্তিক রাজনীতি আইন করে নিষিদ্ধ করার আল্টিমেটাম দেওয়া আছে । দরকার হলে আইন মন্ত্রণালয় ঘেরাও কর্ম সুচী করা হোক আর কঠিন ,কঠিন কর্মসুচি ঘোষণা করা হোক । জামাত-শিবিরের হরতালের দিন সমাবেশ ডাকা হোক ।
আমরা সাথে ছিলাম ,থাকব ।
এখন দেখা যাবে যুদ্ধ ক্ষেত্রে কে ,কে থাকে ? আমাদের উপস্থিতিই আমাদের শক্তি । এখন দেখব কোন কোন মন্ত্রী আমাদের এখানে এসে সংহতি প্রকাশ করে । মুখে বলে জামাত-শিবিরের রাজনীতি বন্ধ করার কথা কিন্তু গোপনে যেন তারা নিজেরাই জামাত-শিবিরের হাতে জিম্মি ।
আমরা ঘর থেকে বেরোলাম , স্লোগান দিলাম , দুইজন শহীদ হল ।
আমাদের একটাই স্বার্থ আমরা যেন পাপমুক্ত দেশে বসবাস করতে পারি । কতটা দেশ দ্রোহী হলে একটা রাজনৈতিক দলের মানুষ নিজের দেশের পতাকা পুরতে পারে । এখন যদি শহীদ মুক্তি যোদ্ধারা বেচে থাকত তাহলে তারা ভাবত এই দেশ স্বাধীন করেছি ,কিন্তু এই দেশের মানুষ তা কাজে লাগাতে পারে নাই ।
আমাদের এখন একটা জিনিস দরকার মনোবল । আমরা যারা আন্দোলনে জড়িয়ে গেছি তারা যেন পালিয়ে না যাই ।
পরাজিত সৈনিক মরেও শান্তি পায় না । আমাদের আন্দোলনের শেষের অবস্থা দেখে আমার মনে হয়েছিল ধীরে ধীরে এ যেন নেতিয়ে পড়েছে । কাল যদি আবার বলা হয় আমাদের আন্দোলন থেকে ওমুক দিন মহাসমাবেশ ডাকা হয়েছে আপনারা সময়মত এসে পরবেন । তাহলে ঐদিন রাত থেকেই জামাত-শিবির তাদের তান্ডব আবার চালাবে । এবং এরকম হতে দেওয়া ঠিক হবে না ।
আমাদের দাবী না মেনে নেওয়া পর্যন্ত আন্দোলন টিকিয়ে রাখতে হবেই এর কোন বিকল্প নেই । দরকার হলে বিজয় দিবস পর্যন্ত চলবে ।
কিন্তু পিছিয়ে আসলেই সব শেষ হয়ে যাবে । ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।