আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

জেনে নিন কেন আমরা বাংলাদেশীরা নিকৃষ্ট এক জাতি? ধারাবাহিক বঙ্গদেশীয় কথন- ২

যে সকল ছাগু আর ভাদা আসে আশপাশ, জীনের বাদশা তাদের পিছে দেয় মুলি বাঁশ।

১ম পর্বে যাবার জন্য এইখানে ক্লিক করেন এরপরে আরও যা শুনলাম তা আরও ভয়ংকর, তারা বেশ কয়েকটা ট্রানজিট রুট পার হয়ে এই জায়গায় এসে পৌছেছে, এর ভেতর মেয়েটা একবার রেপডও হয়েছে এবং তা এইসব দুর্বৃত্তদেরই কাজ। বেশ কয়েকবার তারা পুলিশের কাছে গিয়ে অভিযোগ করার পরও পুলিশ তা আমলে নেয়নি। বরং উল্টা তাদেরকে বেশ কয়েকদিন জেলে পুরে রেখেছিল কাগজপত্র না থাকার অপরাধে। ডিপোর্ট করার জন্য সর্বোচ্চ যা চেস্টা করা যায় সবকিছু করেছে কিন্তু তাদের সাথে পাসপোর্ট না থাকার কারনে তা সম্ভব হচ্ছিলনা।

তাই তাদের ছেড়ে দিয়েছে, আর তারাও ভবঘুরে জীবনে ফিরে গেছে। কিন্তু এর ভেতর এই রেসিষ্ট গ্রুপটার এই নতুন আপদ। তারা যেই আশা আর উন্নত জীবনের আশায় ইউরোপ পাড়ি দিয়েছিল তা ইতিমধ্যেই ভঙ্গ হয়েছে। তাই তারা এই দেশে আর থাকতে চায় না এবং দেশে ফিরে যেতে যায়। সবকিছু শুনে কিছুতেই আমি চোখের পানি ধরে রাখতে পারলাম না।

কখন যে চোখ দুইটা ঝাপসা হয়ে গেল তা নিজেও বুঝতে পারলাম না। শেষ পর্যন্ত আমি অনেক দৌড়াদোড়ি করে বাংলাদেশী কম্যুনিটির মধ্যে যারা এই দেশে ভালভাবে সেটেলড তাদের সাথে যোগাযোগ করে তাদের সাহায্য করতে বললাম। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত, তাদের ডিপোর্ট হবার সব প্রক্রিয়া চুড়ান্ত হচ্ছিল। এইভাবে আমরা বাংলাদেশীরা সব দেশ থেকে হয় ডিপোর্টেড আর রোহিঙ্গারা আমাদের দেশে হয় সাদরে ইমপোর্টেড। এইটা শুধু ইউরোপে না আমেরিকা, কানাডা আর অস্ট্রেলিয়াতে এই ডিপোর্টের হার আরও অনেক বেশী।

এই সবই প্রমান করে যে, তারা তাদের দেশে কোন ধরনের ইলিগ্যাল ইমিগ্রান্টদের জায়গা দিবেনা। যে কোন মূল্যে তাদের দেশ থেকে বের করে দিবে। প্রায় সব দেশের অভিবাসন আইন এমন কড়া যে একচুল এদিক ওদিক হবার জো নাই। এই মহাবিশ্বে এমন কোন দেশ নাই যেইখানে আপনি অবৈধভাবে কাগজপত্র ছাড়া ঢুকে একটা মূহুর্তও শান্তিতে থাকতে পারবেন। সামান্য থাকার জায়গা খুজেঁ পেতে যেখানে আমাদের হিমশিম খেতে হয় সেইখানে আমরা আর কি প্রভাব বিস্তার করতে পারি।

যেইখানে আমাদের অপরাধ করার নূন্যতম সুযোগটুকু পর্যন্ত নাই সেইখানে আমাদের বাংলাদেশীদেরকে নানাভাবে কষ্ট দেয়া হয়। একজন বাংলাদেশী যদি ইলিগ্যাল ইমিগ্রেন্ট হয় তাহলে তার সাথে কুকুর বেড়ালের চেয়েও খারাপ আচরন করা হয়। এদিকে রোহিঙ্গাদের অবস্থাটা দেখুন কি সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা অথবা অন্য যে কোন কারনে হোক আমাদের দেশে তারা টেকনাফ সীমান্ত দিয়ে ঢুকতে পারলেই খালি হয় বাকিটা তারা নিজেরাই ব্যবস্থা করে নেয় আমাদের মত একটি নিকৃষ্ট জাতির খামখেয়ালের দোষে। কক্সবাজার,চকরিয়া,ঊখিয়া,পেকুয়া,বান্দরবন,খাগড়াছড়ি,লামাতে বসবাসকারী কোন স্থানীয় চট্টগ্রামের লোককে জিজ্ঞেস করুন,রোহিঙ্গারা কেমন ভাবে আমাদের দেশে চোরের মত ঢুকে আর তারপর তারা কি করে ? জবাবে তারা আপনাকে রোহিঙ্গাদের সহমর্মী মনে করে তেড়ে আসতে পারে কারন একটাই এইসব এলাকার লোকজন রোহিঙ্গাদের আগ্রাসন আর অত্যাচারে ত্যক্ত বিরক্ত আর হাপিয়ে উঠেছে। হেন কোন আকাম কুকাম নাই যার সাথে রোহিঙ্গারা জড়িত না।

আমি যেইসব রোহিঙ্গা রিফিউজি ক্যাম্পে আছে তাদের কথা বলছি না, তারা বেশিরভাগই নিবন্ধিত আর চলাফেরাও সীমিত। আমি সেইসব রোহিঙ্গার কথা বলছি যাদের একটি বড় অংশ আমাদের বাংলাদেশীদের মূল জনগোষ্ঠীদের সাথে মিশে গেছে। চুরি, ডাকাতি, রাহাজানি, খুন, ছিনতাই, দেহ ব্যবসা, ধর্ষন, অস্ত্র চোরাকারবার আর ব্যবসা, মাদক ব্যবসা, নাইট কোচে ডাকাতি, জায়গা জমিন দখল, পাহাড় দখল করে কেটে সাফ করা, বন জঙ্গল দখল করে গাছ পালা কেটে উজাড় করা এসব তো আছেই কিন্তু রোহিঙ্গাদের সমন্ধে যে অভিযোগটা সবচেয়ে ভয়ংকর তা হল তারা আমাদের বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ আর সার্বভৌমত্বের জন্য সবচেয়ে বড় হুমকি স্বরূপ। এক বিপুল সংখ্যক রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী আমাদের দেশে ঢুকেছে বহাল তবিয়তে তারপর এই দেশের কিছু জারজ সন্তানদের সহযোগিতায় ভোটার আইডি কার্ড বানিয়েছে, জন্ম নিবন্ধন, জাতীয়তা সনদপত্র এইসবও বানায়, তারপর বানায় মহামূল্যবান পাসপোর্ট আর তারপরই এইসব রোহিঙ্গারা বাংলাদেশী ট্যাগধারী হয়ে এই দেশ থেকে পাড়ি দেয় অন্য দেশে। বিশ্বাস করুন বা নাই করুন শুধুমাত্র এই প্রক্রিয়ায় রোহিঙ্গাদের এক বিশাল জনগোষ্ঠী আমাদের দেশ থেকে অন্য দেশে পাড়ি দিয়েছে যার বিন্দু বিসর্গও আমাদের জানা নেই।

শুধুমাত্র আমাদের দেশের এয়ারপোর্টগুলোতে ইমিগ্রেশনে বিপুল সংখ্যক রোহিঙ্গা ধরা পড়ার পর আমরা পত্র-পত্রিকা মারফত জানতে পারি। তারপরও আমাদের মত একটা নিকৃষ্ট জাতির কর্তাব্যক্তিদের টনক নড়ে না। বিশ্বাস করুন বা নাই করুন,এইসব প্যারাসাইট রোহিঙ্গারা বাংলাদেশী পাসপোর্টধারী হয়ে কানাডা, অস্ট্রেলিয়া আর আমেরিকাতেও ইতিমধ্যে পাড়ি দিয়েছে তার শক্ত প্রমাণও এই সিরিজের কোন এক লেখাতে দেয়া হবে। অপেক্ষায় থাকুন। এবার প্রথমেই আসি এইসব পরজীবী রোহিঙ্গারা আমাদের দেশে কিভাবে জায়গা করে নেয় সে ব্যাপারে।

টেকনাফ ও আমাদের দেশের অন্যান্য সীমান্ত পথ দিয়ে আমদের দেশে ঢুকার পর অন্যান্য দেশের ইলিগ্যাল ইমিগ্রেন্টদের মত এইসব পরজীবী রোহিঙ্গাদের দরকার হয় একটা থাকার জায়গা। এক্ষেত্রে তারা অতি চমৎকার একটা স্ট্রাটেজি অনুসরন করে। এটা যে কোন কক্সবাজার আর পার্বত্য এলাকায় বসবাসকারী চট্টগ্রামের স্থানীয় বাসিন্দাদের জিজ্ঞেস করলেই জানতে পারবেন। আমি শুধুমাত্র একটি আদিবাসী চাকমা যুবকের সাথে আমার কথোপকথনের বিষয়বস্তুটুকু আপনাদের বলতে পারি। যা আমি শুনেছিলাম তা রীতিমত ভয়ংকর এবং মাথা ঘুরিয়ে দেবার মত।

বছর খানিক আগে কক্সবাজার সপরিবারে বেড়াতে গিয়েছিলাম, যেই হোটেলে উঠলাম সেই হোটেলের এক স্মার্ট চাকমা সার্ভিস বয়ের সাথে পরিচয়। প্রায় প্রত্যেকদিন দেখা হবার কারনে এক ধরনের আন্তরিকতা গড়ে ঊঠল। প্রায় সময় এই মনখোলা হাসির চাকমা ছেলেটিকে নিয়ে বিচে হাটতে যেতাম আর নানান ধরনের আলাপচারিতায় মেতে উঠতাম। এই নির্মল হাসির আদিবাসী যুবকটির সাথে কথা বলে আমি দারুন মজা পেতাম। একদিন কথা প্রসঙ্গে তার পরিবারের কথা জিজ্ঞেস করলাম।

পরিবার বলতে এক বৃদ্ধ মা আর এক বোন। কিন্তু এর বেশী কিছু বলতে রাজি হলনা, আমি স্পষ্ট বুঝতে পারছিলাম সে আমার থেকে কিছু একটা লুকাচ্ছে। আমি এরপর জিজ্ঞেস করলাম, কোথায় থাকে? প্রথমে বলতে না চাইলেও পরে বলল, আগে তারা খাগড়াছড়িতে এক ছায়া সুনিবিড় পাহাড়ে বাস করত কিন্তু এখন তারা কক্সবাজার বিমানবন্দরের আশেপাশে থাকে। তার আগের বাড়ি ঘরের কথা বলতে বলতে দেখলাম তার চোখ স্বপ্নালু হয়ে উঠল কিন্তু কি কারনে তারা আগের এমন সুখের জায়গা ছেড়ে কক্সবাজার পাড়ি দিয়েছে তা কিছুতেই বলতে চাইল না। অনেকক্ষন ধরে অনুরোধ করার পরও যখন বলল না তখন হাল ছেড়ে দিলাম।

বুঝলাম ডাল মে কুচ কালা হে। পরদিন সকালে আবার দেখা হল, এইবার কেন জানিনা সে নিজেই আমাকে ডেকে নিয়ে বিচে যাবার জন্য অনুরোধ করল। বিচে যাবার পর আমরা আবার কথায় মেতে উঠলাম কিন্তু আমি ভুলে একবারও পূর্বের প্রসঙ্গ টেনে আনলাম না। কিন্তু এইবার সে নিজেই বলতে শুরু করল, প্রথমেই সে আমাকে বলল আমার চলাফেরা দেখে সে নাকি যেইসব এনজিও রোহিঙ্গাদের সাহায্য করে তার কর্মকর্তাদের মত মনে হয়েছিল তাই আমাকে কিছু বলতে চায়নি। আমি আপনমনে হেসে উঠলাম এবং অভয় দিয়ে বললাম যে আমি সেই রকম কিছু না।

সে আমাকে নির্দ্বিধায় সব কিছু বলতে পারে আর আমার দ্বারা তার কোন ক্ষতিও হবেনা। প্রথমেই সে আমাকে জড়িয়ে ধরে ঝরঝর করে কেঁদে উঠল। তারপর বলতে লাগল তার জীবনের করুন এক কাহিনী। এই আদিবাসী যুবক আর তার পরিবার কোন একসময় খাগড়াছড়িতে ছবির মত সুন্দর এক পাহাড়ে বাস করত। জুম চাষ করে আর তাঁতের কাপড় বুনে তাদের দিন ভালভাবেই কেটে যেত।

খাওয়া পরার কোন অভাবই ছিল না তাদের। তার বাবার ছিল তাঁতের কাপড়ের দোকান। সেই দোকানে বাহারি রঙের আদিবাসী পোশাক কেনার জন্য বাংলাদেশের দূর-দুরান্ত থেকে ব্যবসায়ীরা ছুটে আসত। বেশ ভালভাবেই তাদের সেই কাপড়ের ব্যবসা চলত। কিন্তু এক রোহিঙ্গা পরিবারকে আশ্রয় দেয়ার খেসারত পরে তাদের চরমভাবে দিতে হল।

দেখলাম এই কথা বলতে বলতে সদা হাসিমুখ আর উচ্ছল এই যুবকের মুখখানা ঘৃণায় বিষিয়ে উঠল আর অশ্রাব্য সব গালি দিয়ে এইসব পরগাছা রোহিঙ্গাদের ছাল চামড়া পর্যন্ত তুলে ফেলার উপক্রম করল। আদিবাসী এই যুবকের ভাষ্য মতে তারা পাহাড়ী বাঙ্গালীরা দীর্ঘদিন ধরেই শান্তিতে সহাবস্থান করছিল। কিন্তু মায়ানমারের ক্রমাগত দাঙ্গার কারনে বানের জলের মত রোহিঙ্গারা আমাদের দেশে টেকনাফ সীমান্ত দিয়ে ঢুকার পর পরিস্থিতি পলকেই বদলে গেল। রোহিঙ্গারা আমাদের দেশে ঢুকার পর কোন কারনে কক্সবাজারে থাকার জায়গা করতে না পারলে প্রথমেই চলে আসে খাগড়াছড়ি আর বান্দরবনের পাহাড়ে বসবাসকারী আদিবাসী জনগোষ্ঠীদের মাঝে, তারপর তাদের সাথে শুরু করে ইমোশনাল গেম প্লে। ঠিক সেই রকম এক রোহিঙ্গা পরিবার একদিন তাদের বাড়ির সামনে এসে একটু থাকার জায়গা চাইতে থাকে।

রোহিঙ্গা পরিবারটিতে ছিল এক মহিলা আর সাথে তার কোলের এক বাচ্চা আর এক মেয়ে। প্রথম দিকে, এই আদিবাসী যুবকের বাবা তাদের এই স্থান ছেড়ে চলে যেতে বলে বেশ কড়া ভাষায়। কিন্তু সেই রোহিঙ্গা মহিলাটি নাছোড়বান্দার মত ইনিয়ে বিনিয়ে কাঁদতে থাকে। বার বার হাতে পায়ে ধরে বলতে থাকে তাদের একটু থাকার জায়গা দেবার জন্য। শুরু থেকেই বলতে থাকে, তাদের নাকি শুধু থাকার জায়গা দিলে হবে খাওয়া পড়ার জন্য কিছু না দিলেও চলবে।

আদিবাসী যুবকের বাবা তারপরও তার নিজের সিধান্তে অনড় থাকে কিন্তু যুবকের মা সেই রোহিঙ্গা মহিলার মায়াকান্না শুনে খুব দ্রুতই দ্রবীভূত হয়ে যায় বিশেষ করে কোলের বাচ্চাটাকে দেখে, নিতান্ত মানবিক কারনে তারা সেই রোহিঙ্গা মহিলাটাকে আশ্রয় দেয়। চাকমাদের পরিবারে কর্ত্রী মহিলাদের কথায় শেষ কথা ,তাই যুবকের বাবাটিও বিশেষ উচ্চ-বাচ্য করল না। নিতান্ত বাধ্য হয়ে তাদের পরিবারের একজন করে নেয়। এইভাবেই মাসখানেক চলছিল, পুরো রোহিঙ্গা পরিবারটি তাদের সাথে খাওয়া দাওয়া করত, তাদের ঘরেই থাকত আর মাঝে মাঝে চাকমা পরিবারটির কাজে সাহায্য করত কিন্তু তারপরও শুরু হল কিয়ামত। একদিন সেই রোহিঙ্গা মহিলাটি প্রস্তাব করল চাকমা পরিবারটি যে বিশাল জায়গা জুড়ে জুম চাষ করে তার এককোণে তাদের একটি ঘর তুলে দিতে।

প্রথমেই এমন প্রস্তাবে চাকমা পরিবারটি ভিমরি খেল। বলাবাহুল্য এই কয়েকদিনে রোহিঙ্গা মহিলাটি তাদের পরিবারে বেশ ভালভাবেই বিশ্বাসযোগ্যতা অর্জন করেছিল এবং এইটাও জানত তার এমন মামা বাড়ীর আবদারে পরিবারটি অমত করবে না। সবাই এককথায় রাজি হয়ে গেল কারন এই অনাহুত অতিথির জন্য তাদের পরিবারে বেশ সমস্যা হচ্ছিল বিশেষ করে থাকার ব্যাপারে। তাই যুবকের বাবা ও অন্যান্যরা ঘর বানিয়ে তাড়াতাড়ি ওই রোহিঙ্গা মহিলাটির থাকার ব্যবস্থা করে দিল। ঠিক এই ব্যাপারটি পরে তাদের জন্য চরম দুর্ভোগের কারন হয়ে দাড়িয়েছিল।

কারন তারা ঘুনাক্ষরেও টের পায়নি এরপর তাদের উপর কি নরক যন্ত্রনা নেমে আসবে। এরপর সেই মহিলাটি সেই ঘরে গিয়ে উঠল কিন্তু খাওয়া দাওয়া করত তাদের সাথে। কিন্তু তাদের পরিবার থেকে অন্য জায়গায় যাবার পর পরই সেই রোহিঙ্গা মহিলাটির আসল রুপ তারা টের পেল। মহিলাটি যেইখানে এতদিন ধরে বাইরে খুব একটা যাওয়া আসা করত না তার হঠাৎ করেই বাইরে আনাগোনা বেড়ে গেল এবং নিত্যনতুন মানুষ জনের আমদানি হতে লাগল। তার ভেতর সবাই ছিল কমবেশী রোহিঙ্গা আর পরিচিত সব মাদক ব্যবসায়ী।

তাদের পরিচয় জিজ্ঞেস করতেই ধূর্ত রোহিঙ্গা মহিলাটি এক গল্প ফেঁদে বসল। যেইসব রোহিঙ্গারা নাকি তার কাছে আসে তারা নাকি তার আত্নীয়-স্বজন আর সেই মহিলা নাকি তাদের সহায়তায় কি এক ব্যবসা করার জন্য জোর প্রচেষ্টা চালাচ্ছে এর বেশী কিছুনা। চাকমারা সহজাত ভাবেই নির্বিরোধী আর শান্তিপ্রিয় হয়। তাই সেই রোহিঙ্গা মহিলার কথায় বিশেষ কিছু বলল না। ঠিক এই জায়গাটায় চাকমা পরিবারটি চরম ভুলটি করল।

কারন অনেক পরে তারা জানতে পেরেছিল রোহিঙ্গা মহিলাটি সাথে করে বিপুল সংখ্যক মরণঘাতী নেশা ইয়াবা নিয়ে এসেছিল এবং এই দেশীয় এজেন্টদের সাথে যোগাযোগ করে তা বিক্রি করত। কিন্তু যতদিনে তারা জেনেছিল, ততদিনে অনেক দেরি হয়ে গিয়েছিল। সর্বনাশ যা হবার তা হয়ে গেছে। এরপর চাকমা পরিবারটিতে যা ঘটল তা সিনেমাকেও হার মানায়। (চলবে) --------------------------------------------------------------------


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.