আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ফাল্গুন এবং বসন্তের নামকরনের ইতিহাস

বাংলাকে ভালবেসে...

একদা কোন এক যুগে এই বঙ্গদেশে ফাল নামীয় এক রাজা দেশ শাসন করিতেন । তিনি বেশ অত্যাচারি শাসক ছিলেন বিধায় কেউই তাহার গুন গাইত না । ইহা রাজা মহোদয়ের কর্ণকুহরে আসিলে তার মন ব্যথিত হইয়া উঠিল । তিনি উদাস বদনে বসিয়া ভাবিতে লাগিলেন কীভাবে তাহার প্রজারা তাহার গুণগান গাইবে । পরদিন রাজদরবারে রাজা ফরমান জারি করিতে বলিলেন যে প্রজা তাহার সবচেয়ে বেশি গুণ গাইবে, রাজা তার নিজ কন্যা বিবাহ দান পূর্বক তাহার অর্ধেক সম্পত্তি উপহার দিবেন ।

মুহূর্তে ইহা রাজ্যের সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ল । সকলে বলাবলি করিতে লাগিল কে হবে সেই ভাগ্যবান । অবশেষে বহুল প্রতিক্ষিত সেই দিন ঘনিয়ে এলো, চারিদিকে উৎসবমুখর পরিবেশ । প্রজারা রাজ ময়দানে জড়ো হইল, রাজা হাতির পিঠে চড়িয়া হাজির হইলেন । ডঙ্কা বাজিয়া উঠিল, প্রতিযোগিতা শুরু হইল ।

সারাদিন অজস্র প্রজা গুণগান গাহিল, অন্ত নামক জনৈক প্রজা বিজয়ী ঘোষিত হইল । পুরস্কার ঘোষনার সময় রাজা অন্তকে অপেক্ষা করিতে বলিয়া বসিতে বলিলেন - ''বস অন্ত'' । কিন্তু রাজা পুরস্কার বুঝাইয়া দিলেন না, অর্থাৎ প্রতারণা করিলেন, অন্ত বসিয়াই থাকিল । রাজার এহেন কর্ম দেখিয়া মনের দুঃখে রাজ্য হইতে শীত বিদায় নিল, গাছে গাছে কোকিল কুহূ-কুহূ কণ্ঠে প্রতিবাদী হইয়া উঠিল, রেগেমেগে কৃষ্ণচূড়া অগ্নিবর্ণ ধারন করিল । ইতিহাস ঘেটে জানা যায় সেই দিনটি ছিল বর্তমান বাংলা-পঞ্জিকার একটি মাসের প্রথম দিন ।

রাজা ফাল আর গুণ গাওয়ার এর সেই কাহিনী থেকে লোকমুখে সেই মাসের নাম হয়ে যায় ''ফাল্গুন'', আর রাজা যে অন্তকে বলেছিলেন - ''বস অন্ত', তারপর থেকেই এ কালের নাম হয়ে যায় ''বসন্ত'' । এখনও বসন্ত এলে মনের দুঃখে রাজ্য হইতে শীত বিদায় নেয়, গাছে গাছে কোকিল কুহূ-কুহূ কণ্ঠে প্রতিবাদী হইয়া উঠে, রেগেমেগে কৃষ্ণচূড়া অগ্নিবর্ণ ধারন করে । (ফান পোস্ট) সবাইকে পহেলা ফাল্গুনের শুভেচ্ছা । । সূত্রঃ বিশিষ্ট ইতিহাসবিদ আমি ।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।