আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

পথেঘাটের সচেতনতা

আল বিদা

এক ঝটকায় শিশু হামিম চলে গেল। তার মা আহত। আশা করি দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবেন তিনি। হয়ত এই শোকও কাটিয়ে উঠবেন একদিন। দিন যেতে থাকবে স্বাভাবিক গতিতে।

তবে সেই কথা বলার জন্য পোস্ট লিখছি না। এই বাচ্চাটির মৃত্যু কিছুতেই মেনে নিতে পারছি না। আমার এক ছোট কাজিনও ঐ স্কুলে পড়ে। আমার মনে হচ্ছে আমার ঐ ভাইটাও তো এমন এক্সিডেন্ট করতে পারত। কথা হচ্ছে, মা তার বাচ্চাকে নিয়ে কোথায় দাড়িয়েছিলেন? বাচ্চাটি তার কোন পাশে ছিল? মা বলছেন তার জীবনের বিনিময়ে হলেও বাচ্চাকে তিনি বাচাতে চান।

এমনটাই সব মায়ের আকুতি। তবুও কথা থাকে। এক্সিডেন্ট হতেই পারে। কিন্তু এ থেকে আমাদের সচেতন হতে হবে। প্রায়ই আমরা ছোট বাচ্চাসহ নিয়ম না মেনে রাস্তা পার হই বা যেখানে সেখান দিয়ে হাটি।

আমরা ভুলে যাই এ থেকে শিশুটি শিখছে। যেদিন সে একা রাস্তায় থাকবে সেদিন সে কিভাবে হাটবে? তার রাস্তায় কতটুকু নিরাপত্তা থাকবে? আমাদের মেনে নিতে হবে রাস্তায় শুধুমাত্র গাড়ী থাকার কথা। আমাদের থাকার কথা না। আমাদের সুবিধা করে দেয়ার জন্য ট্রাফিক পুলিশ এবং গাড়ীচালক দয়া করে হেটে রাস্তা পার হতে দেয়। তাই রাস্তা ব্যবহারের সময় আমাদের তাদের দিকেই গুরুত্ব দিতে হবে।

গাড়ী থামলে আমরা চলব, আমরা চললে গাড়ী থামবে এমন ভাবনাটা বোকামী। আমরা অনেক সময় রাস্তা পার হবার সময় হেলে দুলে রাস্তা পার হই। কারন আমরা জানি আমাদের দেখে গাড়ী থামবেই। ড্রাইভার ২/৪ টা গালি দিয়ে হলেও গাড়ী থামান। ধরা যাক, গাড়ী থামল না, ড্রাইভার দেখল না বা দেখেও গাড়ী কনট্রোল করতে পারল না।

সে কারনে এক্সিডেন্ট হল এবং যথারীতি জনতা সানন্দে গাড়ী ভাঙচুর করল। এমনকি ড্রাইভারকে ধরে ধোলাই দিয়ে পুলিশেও দিল। সবই করা হল কিন্তু যার এক্সিডেন্ট হল তাকে কি তার আগের অবস্থা ফিরিয়ে দেয়া যাবে - তা সে যত সামান্যই ব্যথা পাক? আমরা আরেকটু সচেতন হই। আর কিছু না হোক আমাদের সন্তানদের নিরাপত্তার জন্য একটু নিয়ম মেনে চলি।



এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.