আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

রক্ত খেকো ড্রাকুলা-- ছাত্রলীগ



গত কাল ঢাবি তে দীর্ঘ সময় বিরতীর পর আবারো লাশ পড়লো । এফ রহমান হলের বিবাধমান ২ টি গ্রুপের সংঘর্ষের কারনে ঝরে পড়লো আবু বকর । ইসলামের ইতিহাস ৩য় বর্ষের আবু বকর তার ক্লাসের ফাস্ট ক্লাস ২য় রেজাল্ট ছিল্ । কিন্তু রাজনীতির বলি হতে হলো তাকে । সরকার ক্ষমতার আসার পর হতে ছাত্রলীগ গুন্ডাদের বেপরোয়া আচরনে দেশের শিক্ষা ব্যাবস্ঞা নাজেহাল অবস্থা ।

জাতি ছাত্রলেগের অবিশাপ তেকে মুক্তি চায় । Click This Link ছাত্রলীগের বাধায় ভর্তি কার্যক্রম বন্ধ ঢাকা কলেজ কর্তৃপক্ষ অসহায় ‘ঢাকা কলেজের প্রথম বর্ষ সম্মানে (শিক্ষাবর্ষ ২০০৯-১০) ভর্তিচ্ছু ছাত্রদের জানানো যাচ্ছে যে অনিবার্য কারণবশত অদ্য ০২/০২/২০১০ তারিখে ও ০৩/০২/২০১০ তারিখের মানবিক, বিজ্ঞান ও ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগের ভর্তি কার্যক্রম স্থগিত করা হলো। ভর্তিচ্ছু ছাত্রদের সাক্ষাত্কারের তারিখ আগামীকাল বেলা দুইটার পরে জানানো হবে। ’ গতকাল মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টায় ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষের কার্যালয়ের সামনে এই বিজ্ঞপ্তি ঝোলানো হয়। এ নিয়ে তৃতীয়বারের মতো এমন বিজ্ঞপ্তি দেখলেন ভর্তি হতে আসা শিক্ষার্থীরা।

কলেজের শিক্ষকেরা জানিয়েছেন, তাঁরা ছাত্র নামধারী ছাত্রলীগের নেতাদের কাছে অসহায়। তাঁদের বাধার মুখে কলেজটির ভর্তি কার্যক্রম কোনোভাবেই চালু করা যাচ্ছে না। একজন শিক্ষক বলেন, ‘ছাত্র নামধারী একটি দল ৫০০ আসন দাবি করে ভর্তি কার্যক্রম বন্ধ করে দিতে পারে, সেটি ভাবতেও কষ্ট হয়। ’ ঢাকা কলেজে ভর্তির কার্যক্রম বন্ধের বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি গতকাল রাতে প্রথম আলোকে বলেন, ছাত্রলীগ বা ছাত্রদল নয়, যারাই বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করবে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে বলা হয়েছে। বলার পরও কেন ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘দেখি, কেন ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না।

’ কলেজের অধ্যক্ষ সিরাজউদ্দিন আহমেদ গতকাল দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে তাঁর কার্যালয় থেকে বিষণ্ন মুখে বেরিয়ে যাচ্ছিলেন। ভর্তি কার্যক্রমের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘পারছি না। অনেক চেষ্টা করেও স্বাভাবিক ভর্তি কার্যক্রম শুরু করতে পারছি না। একটি পক্ষ বাধা দিয়েই যাচ্ছে। সরকার সব রকম সহায়তা করলেও এই পক্ষটির কারণে ভর্তি কার্যক্রম চালু করা যাচ্ছে না।

’ ঢাকা-১২ আসনের সাংসদ ফজলে নূর তাপস প্রথম আলোকে বলেন, ‘ঢাকা কলেজের ঘটনা জানার পর আমি কলেজের অধ্যক্ষ ও ছাত্রলীগের নেতাসহ সবার সঙ্গে কথা বলেছি। ছাত্রলীগের নেতাদের আমি বলে দিয়েছি, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম অনুযায়ী কলেজ স্বাভাবিকভাবে ভর্তি কার্যক্রম চালাবে। এর পরে কেউ বাধা সৃষ্টি করলে তা বরদাশত করা হবে না। ’ গতকাল ঢাকা কলেজের ৯ নম্বর গ্যালারিতে ভর্তিচ্ছুদের সাক্ষাত্কার নেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সেই কক্ষ সকাল থেকেই ছাত্রলীগের নেতাদের দখলে ছিল।

সকালে ভর্তি কার্যক্রম শুরুর আগেই ঢাকা কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ছগির আহমেদ ও সাধারণ সম্পাদক আরিফুজ্জামানের সমর্থকেরা অধ্যক্ষের কার্যালয়ের সামনে গিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন। এ সময় তাঁরা শিক্ষকদের গালাগাল দিয়ে বলেন, কোটা পূরণ না করে আর যেখানেই হোক, ঢাকা কলেজে ভর্তি কার্যক্রম শুরু করা যাবে না। এ সময় শিক্ষকেরা বোঝানোর চেষ্টা করলে তাঁরা আরও উত্তেজিত হয়ে ওঠেন। এ সময় কয়েকজন শিক্ষক লাঞ্ছিত হন। তাঁদের বাধার মুখে আবারও বন্ধ হয়ে যায় ভর্তি কার্যক্রম।

ছাত্রলীগ কলেজ শাখার সভাপতি ছগির আহমেদ বলেন, ছাত্রলীগের কেউ বিক্ষোভ বা মিছিল করেননি। সাধারণ ছাত্ররা বিক্ষোভ করেছিলেন। ছাত্রলীগের নেতারা তাঁদের বুঝিয়ে শান্ত করেছেন। রংপুর থেকে বিজ্ঞান বিভাগে ভর্তি হতে আসা রিজু হোসাইন বলেন, এ নিয়ে তৃতীয়বারের মতো তিনি ঘুরে গেলেন, কিন্তু ভর্তি হতে পারছেন না। আদৌ ভর্তি হতে পারবেন কি না, তাও জানেন না তিনি।

আরেক ভর্তিচ্ছু অর্ণব চৌধুরী বলেন, রাজশাহী থেকে এসেছেন। এক আত্মীয়ের বাসায় উঠেছেন। ভর্তি কার্যক্রম শেষ না হওয়ায় ভোগান্তিতে আছেন। ঢাকা কলেজের শিক্ষক পরিষদ গতকাল জরুরি বৈঠক করে। বৈঠক শেষে এক বিবৃতিতে বলা হয়, ভর্তি কার্যক্রম চলাকালে ছাত্র নামধারী কতিপয় উচ্ছৃঙ্খল দুষ্কৃতকারী কলেজের কক্ষ ভাঙচুর করে।

তারা ভর্তিচ্ছুদের মারধর করে এবং শিক্ষকদের লাঞ্ছিত করে। এ ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে হবে। শিক্ষক পরিষদ আজ বুধবার দুপুরে প্রতিবাদ সভা করবে। ঢাকা কলেজের একটি সূত্র জানায়, কলেজ ছাত্রলীগের শীর্ষস্থানীয় নেতারা এবার ভর্তি প্রক্রিয়া শুরুর পরপরই ৫০০ আসন দাবি করেন। কলেজ কর্তৃপক্ষ বিষয়টি না মেনে ভর্তি কার্যক্রম শুরু করে।

এতে গত শনিবার ছাত্রলীগের কিছু নেতা ভর্তি হতে আসা শিক্ষার্থীদের অস্ত্রের মুখে বাধা দেন। পরে তাঁরা কলেজে ভাঙচুর করেন। এ কারণে সেদিনের মতো ভর্তি কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। এরপর রোববার আবারও ভর্তি কার্যক্রম শুরু হয়। কিন্তু ছাত্রলীগের নেতারা আবারও একই দাবি জানিয়ে অধ্যক্ষসহ সবাইকে হুমকি দেন।

আবারও ভর্তির প্রক্রিয়া বন্ধ হয়ে যায়। অধ্যক্ষ সিরাজউদ্দিন জানান, ঢাকা কলেজে সম্মানে মোট সাড়ে তিন হাজার আসন। তিন হাজার ৮০০ জনের ফল প্রকাশ করা হয়েছে। কিন্তু ভর্তিচ্ছু নামধারী কয়েকজন সব ভর্তি পরীক্ষার্থীর ফল প্রকাশ করতে বলছেন অযৌক্তিকভাবে। এ ক্ষেত্রে কলেজের কিছু করার নেই।

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্দেশনা অনুসারে ভর্তি করা হচ্ছে। ঢাকা কলেজের একাধিক ছাত্র জানান, ভর্তি পরীক্ষার ফলাফলে মেধা তালিকায় স্থান না পাওয়া অনেক শিক্ষার্থীকে ভর্তি করানোর কথা বলে টাকা নিচ্ছেন ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতা। তাঁরাই কোটা দাবি করে ভর্তি কার্যক্রমে বাধার সৃষ্টি করছেন। অভিযোগের বিষয়ে জানতে ছগির আহমেদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘যে প্রক্রিয়ায় এবার ভর্তি কার্যক্রম চলছে, সেটি ঠিক নয়। সাধারণ ছাত্ররা বিষয়টি নিয়ে বিক্ষোভ করছে।

ছাত্রলীগ বিষয়টি অধ্যক্ষকে জানিয়েছে। ’ Click This Link

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.