আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কচলানো সাংকেতিক জ্ঞান বিতরন এবং তিতা ইত্যাদি



অনেকদিন পর ইত্যাদি দেখলাম। হানিফ সংকেত এখনো বহাল তবিয়তে ইত্যাদি চালিয়ে যাচ্ছেন। দেখে ভালো লাগলো। এখনো হাতের উপর হাত রেখে, অন্তঃমিল লাগানো বাক্যে পরিপূর্ণ করে বিনোদনের সেরা অনুষ্ঠান বানিয়ে যাচ্ছেন। আমাদের মিডিয়ায় যেহেতু পিঠ চাপড়ানো কালচারের অভ্যস্থতা আছে নিশ্চয় পত্রপত্রিকার বিনোদন পাতায় ইত্যাদি নিয়ে ব্যাপক পজেটিভ নিউজ আসবে।

বিটিভিতে জমজমাট ইত্যাদি। কিন্তু, ইত্যাদি আসলে দেখায় কী ? ধরে ধরে একেক সমস্যার স্যটায়ার করা হয় প্রতিটি অনুষ্ঠানে। মানুষের অসততাকে চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়। অত্যন্ত ভালো দিক। আজ বাংলাদেশের নাটকের বর্তমান হাল নিয়ে পঁচানো হলো।

পঁচানো হলো রিয়েলিটি শো'গুলোকে। কী কারনে পঁচানো হলো জানিনা। কিন্তু কী খারাপ আছে সেই শো'গুলোতে? ভিক্ষুকদের জন্য একটা প্রতিযোগীতার আয়োজনের কথা বলে পরোক্ষভাবে নির্মাণের তারকা, তিন চাকার তারকাকে বোঝানো হলো। আমি জানিনা সেই অনুষ্ঠানগুলো খারাপ কোথায়? সেই অনুষ্ঠানগুলোও তো কম জনপ্রিয়ও না। পঁচানো হলো রিয়েলিটি শো'য়ের বিচারকদের।

আমার নিজের কাছেও বিচারকদের অ্যাটিচুড ভালো লাগেনা। তারপরও তারা ছাড়া আর কে আছেন? গানের বিচারকদের বিচার করার ক্ষমতা নিয়ে পঁচানো হলো এবং কিছুক্ষণ পর একজন বিচারকের গান-ই শোনানো হলো ব্যাপক বিশেষণ সহযোগে। আশ্চর্য স্ববিরোধীতা। হ ুমায়ূন আহমেদ একটা কথা বলেন, সবার থলেতেই একটা বেড়াল আছে। হানিফ সংকেত নিজের থলেতে বেড়াল রেখেও যেভাবে মানুষের থলে খুলে বেড়াল দেখানোর চেষ্টা করছেন তা হাস্যকর।

পড়ছিলাম, আগামী প্রকাশনী থেকে বের হওয়া লুৎফর রহমান রিটনের 'যত্রতত্র কয়েকছত্র'। পৃষ্ঠা ১১০। জানলাম, হানিফ সংকেত তার ক্যাসেটে লুৎফর রহমান রিটনের লেখা গান ব্যাবহার করে নাম দেননি। বলেছেন, প্রডিউসার দেয়নি। রিটন, প্রডিউসরের সাথে কথা বললেন।

প্রডিসর জানালো, আমি তো ভাই আসমান থেইকা পড়লাম। ওইটা যে আপনার লেখা আমি জানমু ক্যামনে। হানিফ সংকেত কাগজে যা লিখে দিয়েছেন তা-ই ছাপা হয়েছে। চাইলে কাগজ দেখাতো পারি। এক বইতে রিটনের ছড়া নিয়েছেন তার এক লেখায় ব্যাবহারের জন্য, সেখানেও নাম দেননি।

আর সবচেয়ে মজা পেলাম, হানিফ সংকেতের ইত্যাদির চেয়ে জনপ্রিয় যেটা তা হচ্ছে ইত্যাদির টাইটের সং, কেউ কেউ অবিরাম চুপি চুপি...। যেটাও লুৎফর রহমান রিটনের লেখা। এই দীর্ঘ ইত্যাদিসময়ে প্রথমদিকে দুয়েকবার ব্যবহার করলেও আর সেটা স্ক্রীণে প্রকাশ করেননি। কোনো সৃষ্টিশীল মানুষ তার সন্মানী পান আর না পান সন্মাণটা পেতেই পারেন। যেটা হানিফ সংকেত এড়িয়ে যাচ্ছেন দিনের পর দিন।

অথচ ইত্যাদির পরতে পরতে ছড়িয়ে আছে এই সব সন্মান প্রদানসহ নানা জ্ঞানের কথা। ইত্যাদি দীর্ঘজীবী হোক। অনেক কিছু শেখার আছে। শিখতে চাই।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।