আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ইতিহাস বিকৃতি ও মিথ্যার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আরেকটি ডক্টরেট ডিগ্রি দেয়ার জোর দাবী জানাচ্ছি।

মুক্তিযুদ্ধ আমাদের অহংকার, ধর্মান্ধতা ও দলান্ধতা মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পরিপন্থী। ইতিহাস বিকৃতি ও মিথ্যার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আরেকটি ডক্টরেট ডিগ্রি দেয়ার জোর দাবী জানাচ্ছি। কাজী নজরুল ইসলামের ‘চল চল চল’ বাংলাদেশের রণ সঙ্গীত হিসেবে গ্রহণের বিষয়টি তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, “জয় বাংলা স্লোগানও কবি নজরুলের। ” প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের নিউজ লিংক Click This Link ‘জয় বাংলা’ স্লোগানের গোড়ার কথা “জাতীয় স্লোগান হিসেবে ‘জয় বাংলা’ স্লোগানটি নির্ধারিত হয় ‘নিউক্লিয়াস’ এর সিদ্ধান্ত অনুযায়ী। সিরাজুল আলম খান ও আব্দুর রাজ্জাক ২ বছর জেল খাটার পর ১৯৬৪ সালে বেরিয়ে এসে ‘নিউক্লিয়াস’কে ‘স্বাধীন বাংলা বিপ্লবী পরিষদ’ নামে পরিচালিত করেন।

তখন থেকে ‘বিপ্লবী বাংলা’র পাশাপাশি ‘জয় বাংলা’ নামে আরেকটি গোপন পত্রিকা প্রকাশ করেন। নিউক্লিয়াসের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ‘জয় বাংলা’ স্লোগান আকারে প্রথম দেয়া হয় ১৯৬৯ সালের ১৫ই সেপ্টেম্বর মধুর ক্যান্টিনে। প্রথম স্লোগানের ধুয়া তোলেন তৎকালীন ছাত্রলীগ নেতা আফতাব আহমেদ (অধ্যাপক আফতাব আহমেদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক ভবনের বাসায় অজ্ঞাত ঘাতকের হাতে নিহত হন) এবং শহীদ চিশতি শাহ হেলালুর রহমান। এই স্লোগান রাতারাতি জনপ্রিয়তা অর্জন করে এবং সারা বাংলায় ছড়িয়ে পড়ে। সম্ভাব্য সশস্ত্র স্বাধীনতা যুদ্ধকে হিসেবে রেখে ‘নিউক্লিয়াস’ ‘জয় বাংলা বাহিনী’ নামে একটি সশস্ত্র সংগঠিত সংগঠনও গড়ে তোলে; যার কমান্ডার ছিলেন জনাব আ স ম আবদুর রব এবং ডেপুটি কমান্ডার ছিলেন কামরুল আলম খান (খসরু)।

‘জয় বাংলা’ স্লোগান এবং ‘জয় বাংলা’ বাহিনীর খবর আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতৃবৃন্দের কাছে পৌঁছলে তারা সম্ভাব্য বিপদ টের পেয়ে আতঙ্কিত হয়ে বঙ্গবন্ধুর কাছে তীব্র প্রতিবাদ ও আপত্তি জানান। বঙ্গবন্ধু তখন সুকৌশলে তাদেরকে ম্যানেজ করেন এবং নিজেও তার বক্তৃতা-বিবৃতির শেষে ‘জয় বাংলা’ স্লোগানটি উচ্চারণ করতেন। ” তথ্যসূত্র: সিরাজুল আলম খান এবং তাঁর লেখা ‘নিউক্লিয়াস’ পুস্তিকা। ''জয়বাংলা'' শ্লোগানের সংক্ষিপ্ত ইতিহাসঃ ১৯৬৯'র ১৭ই সেপ্টেম্বর মধুর কেন্টিনে, শিক্ষা দিবস উপলক্ষে পুর্ব-পাকিস্তান ছাত্রলীগের সভায় হঠাৎ সবাইকে চমকে দিয়ে আফতাব উদ্দিন আহম্মেদ চিৎকার দিয়ে শ্লোগাল দিলেন 'জয়বাংলা' রিপিট করলেন চিশতী শাহ হেলালুর রহমান এরপর এই শ্লোগান কিছুক্ষন চলে/ এর পরে 'জয়বাংলা' শ্লোগানটি উচ্চারিত হয় ১৯৭০'র ৪ঠা জানুয়ারী আওয়ামিলীগের জনসভায়, ছাত্রলীগ শ্লোগান দেয় (এতে আওয়ামিলীগের কিছু সংখ্যক নেতা পুর্ব-পাকিস্তান ছাত্রলীগের কর্মীদের সাথে রাগারাগি করেন), এর পরে '৭০এর ১১ই জানুয়ারী পল্টনে মদুদীর জনসভায় পুর্ব-পাকিস্তান ছাত্রলীগের কর্মী-সংগঠকরা মুহুর্মুহু 'জয়বাংলা' শ্লোগান দিতে থাকে এর সাথে যুক্ত হয় বেশ কিছু শ্রমিক জনতা 'জয়বাংলা' শ্লোগানে শ্লোগানে তেতে উঠে পল্টন ফলাফল মদুদীর জনসভা পন্ড ২ জন নিহত ৫০০জন আহত, এর পরের রোববার ১৮ই জানুয়ারী পল্টনে পডিপি'র জনসভায় নুরুল আমিন বক্তৃতা দিতে দাড়াতেই মুহুর্মুহু 'জয়বাংলা' শ্লোগান ফলাফল ফলাফল পিডিপির নেতারা মঞ্চ ছেড়ে পালিয়ে যান। জয় বাংলা স্লোগানের বিস্তারিত জানতে নিচের তিনটি লিংক এ দেখুন।

Click This Link Click This Link ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ১২ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.