আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সঞ্জীবদার একটা গান এবং রোমান্টিসাইজড ইভটিজিং

অন্ধকার; মৃত নাসপাতিটির মতন নীরব'

. .. ... .... ইভটিজিং-একটি সামাজিক ব্যাধি, এক ধরনের অসভ্যতা, মানবতাবিরোধী জঘন্য অপরাধ !!!! আমাদের দেশের কিশোরী মেয়েদের কম বেশী এ ঘটনার সন্মুখীন হতে হয়। কিশো‍রী মেয়েদের একটি কমন প্রবলেম । এখন গ্রামে-গঞ্জে মেয়েরা নিরাপদে স্কুল কলেজে যেতে পারে না ৷ মেয়েরা বাইরে গেলেই ইভটিজিংয়ের শিকার হবে, এটাই যেন একটা নিয়মে পরিণত হয়েছে । অভিভাবকরা আতংকে থাকেন ৷ রাস্তাঘাট, স্কুল-কলেজের ইউনিভার্সিটির ফটক, পাড়ার মোড়, চায়ের দোকান কিংবা চলতি পথেও বখাটে ইভটিজার বা উত্ত্যক্তকারীরা রাস্তার ধারে দলবেঁধে থাকে । নারীরা যখন পারিবারিক টানাপোড়েন সত্ত্বেও পুরুষদের পাশাপাশি সমান তালে এগুলোর জন্য বাইরে আসছে, তখনই তারা শিকার হচ্ছে ইভটিজিংয়ের মতো একটি ভয়ঙ্কর মানসিক নির্যাতনের ।

কথা বা শিস দিয়ে মেয়েদের উত্যক্ত করা, মেয়েদের যাত্রাপথে অশ্লীল মন্তব্য, বাজে অঙ্গভঙ্গি করা, উঠিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য ভয়-ভীতি দেখান, অজ্ঞাত পরিচয়ে মোবাইল ফোনে উক্ত্যক্ত করা, অশ্লীল ম্যাসেজ পাঠান, চোখ টিপ দেয়া থেকে শুরু করে শ রীরের বিভিন্ন অংশে চাপ দেয়া সবই ইভটিজিংয়ের আওতায় পড়ে । অনেক বয়স্ক লোকও আছেন যারা মেয়েদের দেখলে অযাচিতভাবে আলাপ জমিয়ে দেন । আমাদের দেশে প্রতিদিন মেয়েরা রাস্তাঘাটে উত্ত্যক্ত ও হয়রানির শিকার হচেছ এর কোনো সুনির্দিষ্ট পরিসংখ্যান না থাকলেও এটা বলা যায় যে, এ ধরনের ঘটনা ক্রমাগত বাড়ছে ৷ “নারীরা সব সময় পুরুষের অধস্তন” অথবা “মেয়ে তোমার, তোমাদের মহত্ত্ব শারীরিক সৌন্দর্যে। জ্ঞানে, মেধায়, মনন, প্রজ্ঞায় নয়” - নারীদের প্রতি এমন নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি থেকেই মূলত উত্ত্যক্ততা ও হয়রানির তথা ইভটিজিংয়ের সূত্রপাত ঘটে । সঞ্জীবদার একটা গানের লিরিক্স লেখলাম সবার জন্যঃ "এই নষ্ট শহরে" গান টির ডাউন লোড লিংক "এই নষ্ট শহরে নাম না জানা যেকোন মাস্তান- সকল খিস্তি খেউর রাজা উজির মেরে, মাস্তানি সব সেরে, বিকেল বেলা তোমার বাড়ির লাগোয়া পথ ধরে, যাচ্ছে যখন ফিরে, ভুলে নাহয় দিয়েই ছিল শিস! হাত ছিল নিশপিশ- ছুড়ে নাহয় দিয়েই ছিল চিঠি! আর স্বীকার করে বলি, এসব কাণ্ড খারাপ ছেলেই করে।

তবু মেয়ে, প্রেম তবু তার মিথ্যে ছিল না । এই প্রেমের উপস্থাপন, জানি তেমন ভদ্র শোভন নয়। তার চিঠির ব্যাকরণ, ভর্তি ভুলে বলার মত নয়। শুধু তোমার নামটি ছাড়া, শুদ্ধ কিছুই লিখতে জানে না। আর স্বীকার করে বলি, সে কিছুতেই যোগ্য তোমার নয়।

তবু মেয়ে, প্রেম তবু তার মিথ্যে ছিল না " দুরন্ত ছেলেদর প্রেমপত্রের আর ইভ টিজিং কারনে যে মেয়েদের জীবনে কিছু সমস্যা হয় এট সত্য । প্রেম নিবেদন আর ইভ টিজিং এক না । এই দুইটার মধ্যে পার্থক্য আছে অবশ্যই । তবে সকল ইভ টিজিং এর মর্মার্থ এক না । কিছু প্রশ্নঃ ছেলে মাত্রই কি ইভ টিজার? এই সব প্রেমপত্র কিশোরী মেয়েদের মনের উপর কি ভাবে প্রভাব ফ্যালে? রক্ষণশীল সমাজের স্বার্থপরের মত এক দিকে দোষ দেয়া কি সমিচীন, মানে উদোর পিণ্ডি বুদোর ঘাড়েই শুধু চাপছে কেন ? ইগো প্রবলেমজনিত কারন, লৈঙ্গিক রাজনীতি, অপসংস্কৃতি অথবা অশিক্ষাই কি শুধু ইভ টিজিং এর জন্ম দেয়? হয়ত ইভটিজাররা ক্লিনিক্যালি সাইকোপ্যাথ ।

বাবা-মা আর সমাজ এর রিসপন্সিবিলিটি কি? বাবা-মা আর সমাজ কি ইরিসপন্সিবিলিটির পরিচয় দিচ্ছে না? আর হা আমি কোন পক্ষ অবলম্বন করছি না । ইভটিজিংয়ের মতো অন্যায়, অসভ্যতাকে সেক্সুয়াল হ্যারাসমেন্ট না বলে, রোমান্টিসাইজ করে ইভটিজিং বলা হয় । ইভটিজারদের আদর করে, আহ্লাদ করে, প্রশ্রয় দিয়ে পাড়ার ‘রোমিও’ বলি আমরা। কেউ কেউ উঠতি বয়সী তরুণদের আচরণকে ‘তারুণ্যের উচছ্বাস’ বলেন ৷ অন্য বার-তের(১২-২৪) বছরের অকালতত্ত্বজ্ঞানী মানবদের রোমান্টিক মন অথবা কিশোর মনের তীব্র প্রেমরই বা কি দোষ । আবার অনেকে দূর থেকে শুধু দেখে যায় কন্যা রাসির ধুপ দুরস্তদের হরিনের মাংস শিকার ।

না পাওয়ার কষ্ট গুলো জমতে থাকে মনের ভিতর । প্রথম প্রেমের কলি অফুটন্তই থেকে যায় । জানি অনেকে আমাকে চূড়ান্ত অসভ্য বলবে, বিকৃত বলবে ইভটিজারদের পক্ষে কিছু সত্য কথা বলার জন্য । এটি একটি অনুস ন্ধিৎসু পোষ্ট । আমি জীবনে কাওরে প্রেম নিবেদন করে একটা পত্র লিখি নাই ।

আমি শিকার করছি ইভ টিজিং বিভিষিকাময় ও তিক্ততায় ভরা । তবে একটি সুন্দর সমাজ সবারই কাম্য । সবার জন্য থাকবে সমান সুযোগ, সমান সুবিধা ৷ সব সময় ই যদি এমন হয়...................

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।