I always want to enjoy myself
টেস্ট-যুদ্ধে জেতা যাবে কি না, তা জানার জন্য আরেকটু অপেক্ষা করতে হচ্ছে। তবে বীরেন্দর শেবাগের সঙ্গে খণ্ডযুদ্ধে বিজয়ীর নাম এখন সবার জানা। যদিও সে লড়াইটা শেষ হয়নি।
হবে কিভাবে?
ময়দান থেকে এক পক্ষের প্রস্থান (!) যে লড়াইটিকে অমীমাংসিত করে রাখল!
টেস্ট শুরুর আগের দিন বীরেন্দর শেবাগ সংবাদ সম্মেলনে দম্ভ ভরে ঘোষণা দিয়েছিলেন, 'ভারতের এ ব্যাটিং লাইনকে ম্যাচে দুই বার অলআউট করার সামর্থ্য বাংলাদেশের বোলারদের নেই। ' সেই দম্ভ চূর্ণ হয়েছে প্রথম ইনিংসেই।
ভারতকে ২৪৩ রানে গুটিয়ে দিয়ে প্রথমার্ধের কাজ সেরে রাখে বাংলাদেশের বোলাররা। দ্বিতীয়ার্ধেও তারা তুলে নিয়েছিল আট উইকেট। ভারতের ভারপ্রাপ্ত অধিনায়কের মাথায় তখন নিশ্চয়ই ঘুরপাক খাচ্ছিল সেই কথাগুলো। সত্যিই সত্যি 'অর্ডিনারি' বাংলাদেশ তাদের 'একস্ট্রা অর্ডিনারি' ব্যাটিং লাইনকে দুই বার অলআউট করে, তাহলে কী হবে? তাই তো কোনো ঝুঁকিতে যাননি শেবাগ। ড্রেসিংরুমে অস্থির পায়চারির পর হাত তুলে তিনি ডেকে পাঠালেন দুই অপরাজিত ব্যাটসম্যান ভিভিএস লক্ষ্মণ ও ইশান্ত শর্মাকে।
'অলআউট করার সুযোগটাই তো ওরা আমাদের দিল না'_দিন শেষে টিম বাসে উঠতে উঠতে এমনটাই বলে গেলেন বোলিং কোচ চম্পাকা রামানায়েকে। হাসিতেই অবশ্য বোঝা যাচ্ছিল, কতটা তৃপ্ত তিনি।
চম্পাকা সন্তুষ্ট হতেই পারেন। তাঁর শিষ্যরা যে এভাবে আলো ছড়াবেন, সমর্থকরা অন্তত এতটা ভাবেননি। তার পরও বোলারদের এমন পারফরম্যান্সের পেছনে 'শেবাগ-ফ্যাক্টর'কে প্রভাবক বলে মানছেন তাঁরা।
স্কুল ছুটির পর সেই ড্রেস পরেই খেলা দেখতে আসা রায়হান-শফিক-বাবুলরা তেমনটাই বলে উঠলেন সমস্বরে, 'ও (শেবাগ) আমাদের অপমান করেছে। সেই শোধ নেওয়ার জন্যই আমরা জানপ্রাণ দিয়ে খেলছি। বুঝিয়েছি, আমরা কারো চেয়ে কম নই। ' অন্তত এ টেস্টের পারফরম্যান্স বিবেচনায় এমন দাবি করতেই পারেন সমর্থকরা।
আসলে শুধু স্টেডিয়ামে খেলা দেখতে আসা দর্শকরাই নন, পুরো বাংলাদেশের সমর্থকরাই চেয়ে ছিলেন এ টেস্টের পারফরম্যান্সের দিকে।
চূড়ান্ত জয় না হোক, অন্তত ছোট লড়াইগুলোতে জিতলেও খুশি তারা। 'এ কারণেই চেয়েছিলাম, বাংলাদেশ যেন ওদের দুই বার অলআউট করতে পারে। এখন হয়তো আর টেস্ট জেতা সম্ভব নয়। ম্যাচে ২০ উইকেট তুলে নেওয়া সম্ভব ছিল। কিন্তু শেবাগ এভাবে ভয় পেলে কিভাবে তা হবে'_তৃপ্তি মেশানো আফসোস নিয়ে বলছিলেন শিবু কুমার।
স্টেডিয়ামের পাশে আয়োজিত পূজার আনন্দযজ্ঞ থেকেও সময় বের করে এসে এ তরুণ উঁকি মারছিলেন মাঠে। তখনই তাঁর এ তৃপ্তি মেশানো হাহাকার।
চট্টগ্রাম টেস্টে বাংলাদেশ জিতুক আর না জিতুক, অর্জনের খেরোখাতাটি নেহায়েত অল্প নয়। বীরেন্দর শেবাগ, গৌতম গম্ভীর, রাহুল দ্রাবিড়, শচীন টেন্ডুলকার, ভিভিএস লক্ষ্মণ, যুবরাজ সিং, দীনেশ কার্তিক সমৃদ্ধ ব্যাটিংকে এভাবে ভড়কে দেওয়া গেছে; দুই ইনিংস মিলিয়ে প্রাপ্তি ১৮ উইকেট_এও কম কি? তার পরও একটি আফসোস কান পাতলেই শোনা যাচ্ছে_ইস, আর দুটি উইকেট...!
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।