বাংলার মাটি বাংলার জল, বাংলার বায়ু, বাংলার ফল, পুন্য হউক, পুন্য হউক, পুন্য হউক, হে ভগবান। বাংলার ঘর, বাংলার হাট, বাংলার বন, বাংলার মাঠ, পুর্ন হউক, পূর্ন হউক, পূর্ন হ্উক, হে ভগবান। রবীন্দ্রনাথ
নীপার আজ কী এক দুষ্টু বুদ্ধি চাপল মাথায় ...
ফরহাদের অফিস থেকে ফেরার সময় হলো। তার আগে সেল ফোনটা অফ করে গেস্টরুমের বাথরুমে ঢুকে দরজা অল্প ভেজিয়ে রেখে লুকিয়ে রইল। আজ আমি দরজা খুলব না।
আজ ও আমাকে খুঁজুক । না পেলে কি করে দেখব। আমাকে খুঁজে না পেলে বেশ মজা হবে।
সন্ধ্যার আগে আগে ফরহাদ এল। তার আগে অনেকবার কলিং বেল চাপল।
কে খুলবে দরজা-নীপা হাসে। সমস্যা নেই- ফরহাদের কাছে এক্সট্রা চাবি আছে।
ফরহাদ ড্রইংরুমে ঢুকে ‘নীপা’,‘ নীপা’ করে চেঁচাচ্ছে। নীপা হাসছে। বেশ মজা হচ্ছে।
দেখি এখন ও কী করে আজ । নীপা সন্তানসম্ভবা- বাথরুমের অন্ধকারে দাঁড়িয়ে থাকতে ভালো লাগছে না ওর।
ফরহাদ‘নীপা’, ‘নীপা’ করে চেঁচিয়ে কিচেন-বেডরুম এক পাক ঘুরে এলো। আবার ড্রইংরুমে এসে দাঁড়িয়েছে। বাথরুমের অন্ধকারে দাঁড়িয়ে দরজার ওপাশ থেকে সব দেখতে পাচ্ছে নীপা।
ব্লেজারের পকেট থেকে মোবাইল বার করে বাটন টিপছে ফরহাদ। ভাবছে আমি উত্তরা, বাবার বাড়ি। তেমনি তো ভাবা উচিত। নীপা হাসছে।
কলিং বেলটা বাজল।
ফরহাদ দরজা খুলল। নীলা। পাশের ফ্ল্যাটে থাকে নীলারা। দু’জনে দরজার পাশে দাঁড়িয়ে কথা বলছে।
নীপা হাসে।
আড়ালে দাঁড়িয়ে।
আপনি সিওর ভাবী ঘরে নেই? নীলা প্রশ্ন করল। নীপা শুনতে পায়।
হ্যাঁ। ফরহাদ কাঁধ ঝাঁকাল।
দাঁড়ান দেখছি। বলে নীলা ঘরের ভিতরে ঢুকে এ ঘর-ও ঘর ঘুরে এল। ফরহাদ দরজা বন্ধ করে দেয়। নীপার বুকটা ধড়াস করে উঠল। আড়াল থেকে বেড়িয়ে আসার কথাও ভাবল একবার।
পারল না। কী এক কৌতূহল ওকে ঘিরে রেখেছে। না, নেই। ফিরে এসে নীলা বলল।
আশ্চর্য! গেল কোথায়! আজ একবার ডাক্তারের কাছে যাওয়ার কথা।
উত্তরা গেছে সম্ভবত। কিংবা জরুরি কোনও কাজে ...
নীলার কথা শেষ হলো না, ফরহাদ গর্জে ওঠে- আশ্চর্য! উত্তরা গেলে আমাকে ফোন করবে তো! এদিকে ফোন করে পাচ্ছি না! ফরহাদের কন্ঠস্বরে ক্ষোভ ঝরে ঝরে পড়ে।
হয়তো ভাবীর মোবাইলে চার্জ ছিল না। সান্ত্বনার ভঙ্গিতে বলে নীলা ।
হুহ্, চার্জ ছিল না।
দু-হাত শূন্যে তুলে তিক্ত ভঙ্গি করে বসল ফরহাদ- বিয়ের পরপর শখ করে কেনা সেই কালো রঙের ডবল সোফার ওপর। বসার ভঙ্গিটা বেশ ক্লান্ত। নীলাও বসল। ফরহাদের পাশ ঘেঁষে। নীলার বসার ভঙ্গিটা অত্যন্ত মধুর, অনেকটা মুক্ত পাখির মতন-যে নীলা নীপাকে প্রায়ই বলে: ফরহাদ ভাই কী হ্যান্ডস্যাম ভাবী! তুমি খুব লাকি।
নীলা আজ নীল রঙের কামিজ, সাদা ওড়না আর সাদা রঙের সালোয়ার পড়েছে; ফরসা মেয়েটি বেশ সুন্দরী। বাদামি চুল, ঢলোঢলো শরীর, ছোট্ট চারকোনা কালো রঙের চশমা চোখে, ভীষন মেধাবী একটা মুখ; একটা প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ছে নীলা।
একটু পর অন্ধকারে ঢলে পড়ল নীপা।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।