এই ব্লগে জামাত-শিবির শুয়োরের বাচ্চারা ভুলেও নাক ডুবানোর চেষ্টা করবি না
ছাত্রলীগ ও ছাত্রশিবিরের মধ্যে সংঘর্ষে শুক্রবার খুলনার বিএল কলেজে দুপক্ষের নেতা-কর্মী, পুলিশ ও সাংবাদিকসহ আহত হয়েছেন অন্তত ৪০ জন। এদের মধ্যে দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলেও পুরো এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। পুলিশ সংঘর্ষে জড়িত সন্দেহে ৭ জনকে গ্রেপ্তার করেছে।
আমাদের সংবাদদাতা জানিয়েছেন, বিএল কলেজের প্রথম বর্ষের সম্মান শ্রেণীর ভর্তি পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর নতুন শিক্ষার্থীদের স্বাগত জানিয়ে বেলা ১২টার দিকে ছাত্রলীগ ও ছাত্রশিবির ক্যাম্পাসে দুটি মিছিল বের করে।
এ সময় দুপক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষেপ শুরু হয়।
সংঘর্ষকারীরা পিস্তল, হকিস্টিকসহ ধারালো অস্ত্র নিয়ে একে অপরের ওপর হামলা চালায়। দফায় দফায় চালানো হামলায় দুপক্ষের প্রায় ৪০ জন নেতা-কর্মী আহত হন।
সন্ত্রাসীদের আক্রমণে সাংবাদিকসহ ৪০ জন আহত হন। এদের মধ্যে গুরুতর আহত ৬ জনকে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।
তাদের মধ্যে ২ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
সংঘর্ষ শুরুর প্রায় দুইঘণ্টা পর পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, সংঘর্ষের পর ছাত্রশিবির পিছু হটে হলে অবস্থান নেয়। বর্তমানে কলেজ ক্যাম্পাসের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
বিক্ষুদ্ধ সংঘর্ষকারীরা ক্যাম্পাসের বাইরেও মিছিল করে।
তারা এ সময় কয়েকটি দোকান ভাঙচুর করে।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ২০টি কাঁদানে গ্যাস শেল ও দুই রাউন্ড রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে।
এ সময় বহিরাগত অনেককে হাতে রামদা, হকিষ্টিক, বোমা ও পিস্তল নিয়ে ক্যাম্পাসে মহড়া দিতে থাকে।
সংঘর্ষের সংগ্রহ করার সময় ছাত্রলীগের সমর্থনে আসা বহিরাগতরা দেশটিভি, এনটিভি, দিগন্ত, এটিএন বাংলা ও প্রথম আলোর ক্যামেরা আক্রমণ করে এবং ক্যাসেট ছিনিয়ে নেয় বলে অভিযোগ উঠেছে।
মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি সফিকুল ইসলাম পলাশ দাবি করেছেন, মুহসিন হল থেকে ছাত্রশিবিরের সন্ত্রাসীরা তাদের মিছিল লক্ষ্য করে গুলি ছুঁড়েছে।
কিন্তু ছাত্রশিবিরের দাবি, তাদের মিছিলে প্রথমে হামলা করে ছাত্রলীগ।
তথ্যসূত্রঃ
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।