ভালোবাসা যেন মরিচীকা ধরা দিতে চায় না। খুলনা শহরের সবচেয়ে পুরাতন বিদ্যাকেন্দ্র আজ এক মহা সমস্যায় জর্জরিত হয়ে পড়েছে। এই কলেজে পড়াশুনা করতে এসে বহু ছাত্রী আজ নানা রকম বিরুপ অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হচ্ছে প্রতিনিয়ত। বর্তমানে দেশের সবচেয়ে বড় কলেজ হিসেবে বিএল কলেজ পরিচিত কিন্তু তা সত্বেও সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষ যেন কোন সমস্যাকে আমলে নিচ্ছেন না। যার ফলশ্রুতিতে সাধারন ও নিরীহ ছাত্রীরা প্রতিনিয়ত সম্ভ্রমহানীর স্বীকার হচ্ছে।
কলেজ ক্যাম্পাসের ভিতরেই ঘটছে প্রকাশ্যে মদ, জুয়া,তাসের আসর আর ছাত্রহল গুলো এতে ব্যাবহৃত হচ্ছে সবসময় । কলেজের মধ্যে ছাত্রনামধারী কিছু লোকজন এসব কাজ করছে প্রতিদিন কতৃপক্ষের চোখের সামনেই এমনকি পুলিশের উপস্হিতিতেই।
প্রতিদিন ছাত্রীদের সাথে নানা রকম অসম্মান জনক ব্যবহার করে তাদেরকে হেনস্হা করা হচ্ছে সবার সামনে অথচ ভয়ে কেউ প্রতিবাদ করার সাহস পাচ্ছে না।
ছাত্রী ধর্ষনের জন্য ব্যবহৃত হচ্ছে ২/৩ টি হল "জোহা হল" তার মধ্যে অন্যতম। এছাড়া "কাজী নজরুল ইসলাম" হল "সুধীর চন্দ্র ছাত্রাবাস" ইত্যাদি ও ব্যবহার করছে।
কিন্তু এব্যাপারে ভয়ে ভিকটিম কোন ছাত্রী মুখ খোলার সাহস পাচ্ছে না
এদিকে এইসব ধর্ষনের খবর জানাজানি হতে শুরু করায় এবং গোপন অনুসন্ধান টিম কলেজ ক্যাম্পাসে তথ্য সংগ্রহ করছে এই খবর ছড়িয়ে পড়ার পর ভিকটিম অনেক ছাত্রীরা এখন মুখ খুলতে শুরু করেছে। তারা এই কাজের সাথে জড়িত যেসকল ব্যাক্তির বিরুদ্ধে কথা বলেছে তারা সবাই ক্যাম্পাসে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কর্মী অথবা তাদের অনুসারি বলে জানা গেছে। এছাড়াও প্রভাবশালী অনেক নেতার সাঙ্গোপাঙোরাও জরিত বলে জানা গেছে
এদিকে এই ঘটনার স্বীকার রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের এক ছাত্রীর সন্ধান পাওয়ার পর অনুসন্ধান দল তার কাছে গেলে তিনি ঘটনা বর্ণনা করেন। তার মাধ্যমে আরও এরকম কয়েকটি ঘটনার তথ্য বেরিয়ে আসে। তাছাড়া প্রত্যক্ষদর্শী অনেক ছাত্রও কয়েকটা ঘটনার বর্ণনা দেন।
এদিকে অনুসন্ধান দল বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকদের কাছে এসব ঘটনার কথা বললে তারা হতবাক হন। তবে ছোট খাটো বিষয়গুলো কিছু ঘটেছে বলে তারা স্বীকার করেন।
প্রত্যক্ষদর্শীদের কয়েকজনের ভাষ্য অনুসারে কিছুদিন আগে এইচ এস সি এক ছাত্রীকে জুবিলি টাওয়ারের সামনে সকলের সামনে ধরে নিয়ে জোর পূর্বক কিস খাওয়ার ঘটনা জানতে পারেন।
এদিকে বোটানি বিভাগের ৩য় বর্ষের এক ছাত্রী তাকে জোর করে অবৈধ কাজে বাধ্য করানোর একটা ঘটনার কথা বর্ণনা করেন।
এভাবে প্রতিদিন অনেক ঘটনাইতো ঘটছে যা আমরা জানতে পারিনা।
আর কত দিন চলবে এই সব ধারাবাহিক ঘটনা। আসুন এবার আমরা সবাই মিলে এর বিরূদ্ধে রুখে দাঁড়াই। প্রতিবাদ করি।
অনুসন্ধানী প্রতিবেদনের ২য় টিতে জানতে পারবেন ভিকটিম দের কথার রেকর্ড করা অংশ এবং জড়িত ব্যাক্তিদের নাম ঠিকানা ও ছবি।
সবাইকে ধন্যবাদ ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।