ফ্রম দ্যা হার্ট অফ ডার্কনেস
উস্তাদ লোক আব্বাস কিয়ারোস্তামি। চলচিত্রকার হিসেবে তামাম দুনিয়ায় বিশেষত বোদ্ধামহলে বেশ নাম কামিয়েছেন। সেইসাথে তাঁর কবি, চিত্রকর, ভাবুক পরিচয়ও হাল-আমলে সামনে আসছে। বংগদেশেও এই চলচিত্রনির্মতার বেশপ্রভাব। তারেক মাসুদ, তানভীর মোকাম্মেল, ফারুকি সহ আরো অনেকের প্রিয় নির্মিতার লিষ্টিতে উনি।
ফারুকির কোন এক সাক্ষাতকারে দেখেছিলাম কিয়ারোস্তামি'র "টেন" তাঁর প্রিয় চলচিত্র। তো সেই 'টেন" যখন হাতের কাছে পেলাম একটানে দেখে ফেললাম। ছবি দেখে আমার অনেক জ্ঞান-বুদ্ধি বাড়লো কিন্তু মন ভরলো না। পুর্বে দেখা কিয়োরোস্তামি'র ক্লোজ-আপ, টেস্ট অফ চেরি, দ্যা উইন্ড উইল ক্যারি আস মতো এটাও ডায়ালগনির্ভর, নন-ড্রামাটিক মুভি; নন সিনেমাটিক অ্যাপ্রোচে বানানো( কিংবা হয়তোবা অতিসিনেমাটিক অ্যাপ্রোচ)বুঝি নাই!), সেইসাথে কেমনজানি আবেগহীন।
এমনিতে শুধু ডায়লোগ নির্ভর ছবি ভালো লাগেনা।
শুধু এইকারনেই আলপাচিনো'রে আমার নাপছন্দ। ব্যাটা সব ছবিতেই এত ডায়ালগ দেয়, কেমন জানি অতিঅভিনয় মনে হয়। অলিভার স্টোনের "জে,এফ,কে", পাচিনো অভিনীত "দ্যা সেন্ট অফ এ উইম্যান, কিংবা ফ্রান্সিস ফোর্ড কপোলার "অ্যাপিকেলিপসে নাউ" এমন কিছু ছবি সংলাপনির্ভর হলে সবকিছু মিলায়া উৎরে গেছে।
যাহোক, "টেন"-এর কাহিনীটা বলে ফেলি।
টেন অর্থাৎ দশটা আলাদা দৃশ্যের, অনেকটা দশটা শর্ট ফিল্মের মতো, একত্রে জোড়া দিয়ে বানানো ছবি এটি।
প্রতিটা দৃশ্যেই চিত্রায়িত একটা প্রাইভেট কারের অভ্যন্তরে। মুলচরিত্র গাড়িচালক এক তরুনী; প্রতিটা দৃশ্যেই সে কমন চরিত্র।
দশটা দৃশ্যের প্রত্যেকটিতে তাঁর কথোপকথনের সংগী কখনো তাঁর ছেলে কিংবা ছোটবোন, মাজারযাত্রী বৃদ্ধা, পতিতা, কখনোবা পরিণয়প্রার্থী এক তরুনী।
প্রথমদৃশ্যে কথোপকথন ( বাক-বিতন্ডা!) ছেলে এবং মায়ের মাঝে। ছেলেকে ইশকুল থেকে গাড়ীতে উঠানোর পরে ক্যামেরা ফিক্সড ছেলের মুখের উপরে।
এরপর শুরু। মা-ছেলের উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় থেকে তাঁদের সম্পর্কের জটিলতা জানা যায়। তরুনী তাঁর আগের স্বামী'( অর্থাৎ ছেলেটির বাবা)কে ডিভোর্স করে রিম্যারিড। কিন্তু বাবা এখনো একা। এখান থেকে ছেলের ধারণা তার মা স্বার্থপর।
এবং ছেলেকে পারসুয়েড করাতে মা'র অবিরাম চেষ্টা........
এভাবে বাকীদৃশ্যগুলোতে চরিত্রগুলো কথোপকথনের মাধ্যমে পারস্পারিক সম্পর্কের জটিলতা, নারীদের প্রতি সামাজিক দৃষ্টভংগি, ব্যাক্তি মানুষের ইনডিভিজুয়ালিস্টিক ভাবনা, বিশ্বাস, জটিলতা এমন অনেক গুরুগম্ভীর বিষয়।
সবকিছুই ঠিক আছে, তবুও কোথায় যেন একটু খামতি আছে আমার কাছে মনে হইলো। আপনারা দেখে আমার সীমাবদ্ধতা কিংবা সিনেমারটির খামতি কোথায় জানায়েন!
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।