ফ্রম দ্যা হার্ট অফ ডার্কনেস
বেল এপোক শব্টা ফরাসি অর্থ বিউটিফুল ইরা। নামটা ফরাসি কিন্তু এই নামে একটা স্প্যানিশ সিনেমা আছে।
ছবিটার কাহিনী এমন
সৈনিক ফার্নান্দো যুদ্ধক্ষেত্র থেকে পালিয়ে আসে। সে কান্ট্রিসাইডে ঘুরে বেড়াতে থাকে। একসময় কোন এক গ্রামের এক গেরস্থ সংগে তার সখ্যতা হয় এবং তার বাড়িতে সে আশ্রয় নেয়।
ঐ গেরস্থর বাড়িতে চার-চারজন সোমত্ত মেয়ে। তাদের প্রত্যকেই ফার্নান্দের প্রেমে পড়ে এবং একি ভাবে ফার্নান্দোও তাদের প্রেমে পড়ে।
সেই প্রেমের পড়ার কারন পুরোটাই সৌন্দর্য এবং শরীরভিত্তিক। প্রথম তিনজনের প্রত্যকের সাথে সে ক্রমান্বয়ে শারিরিক সম্পর্ক স্থাপিত হয় এবং সেইটার চিত্রায়নে কোন খামতি নাই। (এইটা অবশ্য আনকমন কিছু না....কেউ যদি পেদ্রো আলমোদোভার, ত্রুফো কিংবা বার্তালুচ্চির সিনেমা দেখেন, তাদের কারুর ছবিতেই এইসবের কমতি নেই।
)
গেরস্থ'র সবচে ছোটমেয়ে(একটু শান্ত-শিষ্ট, বিয়ে করা যায় মেয়ে টাইপ) সবচে কঠিন প্রেম পড়ে। ফার্নান্দো তাকেই বিয়া করার সিদ্ধান্ত নয়ে। শেষপর্যন্ত তবু সেই সৈনিক ছোটমেয়েকে বিয়ে করে নাকি গ্রাম ছেড়ে চলে যায়- মনে নাই
এইটাই মোটাদাগে ছবির কাহিনী। হয়তোবা গভীরে আরো কিছু আছে আমি বুঝে উঠতে পারিনাই।
সেইসময়ে ম্যালেনা, সিনেমা পারাডিসো, পোদ্রো আলমোদোভারের "টক টু হার" দেখেছিলাম।
তুলনামুলকভাবে এই ছবিটা আমার যথেষ্ট বিরক্তি ধরিয়েছিলো।
কিন্তু অনেকবছর পরে মেঘদুতের পোষ্ট'টায় জানলাম এইটা অস্কার পাওয়া।
আই,এম,ডিবি তে পড়লাম "ছবিটা নাকি অনেক প্রকারের সামাজিক, ধর্মীয় এবং রাজনৈতিক বৈপ্যরিত্যে উপস্থাপন। এবং রিপাবলিকানপুর্ব স্পেনিশ সোসাইটির বুদ্ধিদীপ্ত রসিক উপস্থাপনা"।
বিশ্বাস করেন ছবিটাতে আমি মুর্খ এইসব জিনিসের কিছুই খুঁজে পাইনি।
দেখেছিলাম ২০০২/২০০৩ সালে। তখন থেকে "আই,এম,ডি,বি" মালটা কি তাই জানতাম না। ভুল হইছে এরপর থেকে যেকোন মুভি দেখার আগে তার ক্রিটিকাল রিভিউ পড়ে নিতে হবে।
আজকে মেঘদুতের পোষ্ট পড়ে আমার মন্তব্যটা ছিলো একটু সারকেষ্টিক টাইপের। আমার রসবোধের অভাবে সেইটা ভুল মেসেজ দিয়েছে।
তারপর যখন আমার করা মন্তব্যের জবাবে উনি যখন হেসেছেন, তখন পোষ্ট'টা না দিয়ে পারলাম না।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।