আকা বাকা পথ
ষাটের দশকের শক্তিমান কবি অধ্যক্ষ আফজাল চৌধুরীর ষষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকী আজ। ‘কল্যাণব্রতের’ কবি খ্যাত শিক্ষাবিদ আফজাল চৌধুরী ছিলেন তার সমসাময়িক কবিদের মধ্যে এক উজ্জ্বল ব্যতিক্রম।
সাহিত্যের টাইরেসিয়াস খ্যাত দূরদর্শী এই প্রবক্তা কবি আত্মিক দিক দিয়ে নিপীড়িত বিশ্বের সব মানুষের বিশেষভাবে শোষিত ও নির্যাতিত মুসলিম জনগণের পক্ষে ছিলেন অত্যন্ত সোচ্চার। মানবাত্মার সব ধরনের অবমাননার বিরুদ্ধে তিনি ছিলেন চির প্রতিবাদী কবিকণ্ঠ। তার বেশির ভাগ কবিতায় এ সত্য বিধৃত। সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের কমিউনিস্ট শাসকগোষ্ঠী এবং পুঁজিবাদী শোষক গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে ছিলেন সমালোচনামুখর। তার অধিকাংশ কবিতায় এই সচেতনতা ও সামাজিক দায়িত্ববোধ লক্ষ্য করা যায়।
কবি অধ্যক্ষ আফজাল চৌধুরীর মৃত্যুবার্ষিকীতে আমরা তার বিদেহি আত্মার শান্তি কামনা করি!
আফজাল চৌধুরীর কবিতা
----------------------------------
চেরাপুঞ্জির অবিশ্রাম ধারা নিয়ে ডাওকীর নীচে
নেমে আসছে চঞ্চলা পিয়াইন তথা
নহরে জাফলং
পাথরে সাজানো এর সারা বুক-পিঠ
অজস্র পাথর খচা অতিস্বচ্ছ পানির ওপর থমথমে
আকাশের মুখমন্ডলে
থরে থরে সজ্জিত পাহাড় উপত্যাকার কিনারে কানাচে
বাঙালি বস্ত আর খাসিয়াপুঞ্জির শিরোদেশে
সহসা বাড়ী খেয়ে প্রতিধ্বনিত হলো একটি আওয়াজ
"উনি নেই"।
নেই নেই?
কবে তারঁ আসা ও যাওয়ার পালা চুকে গেল তবে?
খাসিয়া-জৈন্তিয়ার শৈলশ্রেণীর রন্ধ্রে রন্ধ্রে
যে দিন
শায়খ জালালের পবিত্র সাথীদের আযান ফুটেছিল
অস্পষ্ট একটি মানচিত্র ঝটপট মেলেছিলো ডাকনা
সুরমা-কুশিয়ারা স্নিগ্ধ সবুজ দোয়াবের
নিয়তি রচিত হয়েছিলো
সেই দিন হয়েছিলো তারঁও অন্কুরোদগম
শান্ত সামহিত গ্রন্থাগারিক
কিশতি টুপি খচিত
পাজামা-পাঞ্জাবি শোভিত
নিরহংকার
অজাতশক্র
দশঘর নিবাসী একঘরের একজন মানুষ
খোদাবক্স আর্কাইভের মতো
এদেশের জন্য একটি সংসদ গড়ে আজ পাড়ি জমালেন
এইতো তার আসা যাওয়ার খন্ডকাহিনী
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।