আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ধূম্রজালের চেষ্টা (ভারতিয় দুতাবাসে নিরাপত্তা কর্মি)

₩℮ℓ¢☻₥℮ Ŧ◙ ღẙ Ħє†† ☠

শংকর কুমার দে : বিদেশী দূতাবাস সংশিস্নষ্ট দেশের সার্বভৌম অঞ্চল। নিরাপত্তার ৰেত্রেও তারা স্বাধীনতা ভোগ করে থাকে। যে কোন দেশের বিদেশী দূতাবাসের নিরাপত্তা দেয়া একটি প্রচলিত রীতি। ঢাকায় নিযুক্ত প্রত্যেক বিদেশী দূতাবাসেই নিজস্ব নিরাপত্তা ব্যবস্থা বিদ্যমান। দীর্ঘদিন থেকেই এই ব্যবস্থা চলে এসেছে।

কাজেই ভারতীয় হাইকমিশনের নিরাপত্তা নিয়ে সম্প্রতি বিতর্ককে রাজনৈতিক ইসু্য বলে মনে করছেন সংশিস্নষ্ট মহল। দূতাবাসের নিরাপত্তা বিষয়ে অনুসন্ধান করে জানা গেছে, ভারতীয় দূতাবাসে তাদের দেশের কোন পুলিশ বা নিরাপত্তা বাহিনীর কোন সদস্যকে মোতায়েন করা হয়নি। সরকারের নীতিনির্ধারক মহল ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পৰ থেকেও কেউ ভারতীয় দূতাবাসে তাদের পুলিশ বা নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন করার কথা জানাতে পারেনি। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে যেসব দূতাবাস আছে তাদের অভ্যনত্মরীণ নিরাপত্তার জন্য নিজস্ব নিরাপত্তারৰী থাকে। বাংলাদেশেও বিভিন্ন দেশের দূতাবাসের অভ্যনত্মরীণ নিরাপত্তা রৰায় যে ধরনের নিরাপত্তারৰী রয়েছে ভারতের ৰেত্রেও তাই।

তার বাইরে কোন নিরাপত্তা বাহিনীকে মোতায়েন করা হয়নি। বাংলাদেশেরও পৃথিবীর যেসব দেশে দূতাবাস আছে সেই সব দেশের বাংলাদেশী দূতাবাসের অভ্যনত্মরীণ নিরাপত্তা রৰায় তার নিজস্ব রৰীবাহিনী রয়েছে। কূটনীতির সঙ্গে দীর্ঘদিন জড়িত ছিলেন এমন এক কর্মকর্তা জানালেন, ঢাকায় পৃথিবীর যেসব দেশের দূতাবাস আছে সেই সব দূতাবাসের অভ্যনত্মরে তাদের নিজস্ব ভূখ- বলে বিবেচিত। এজন্য দূতাবাসগুলোতে তাদের দেশের পতাকা টাঙ্গানো হয়, যা স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের প্রতীক। অনুরূপভাবে পৃথিবীর যেসব দেশে বাংলাদেশের দূতাবাস রয়েছে সেই সব দেশের দূতাবাসের ভূখ- বাংলাদেশের নিজস্ব বলে পরিচিত হয়।

পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের দূতাবাসগুলোর ভূখ-ে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের প্রতীক হিসেবে বাংলাদেশের পতাকা টাঙ্গানো হয়। ভারতীয় বা আমেরিকার দূতাবাসের অভ্যনত্মরে তাদের নিজস্ব নিরাপত্তারৰীর বিষয়টির সঙ্গে বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলার সঙ্গে কোন সাংঘর্ষিক বিষয় নয়। ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাসের ভেতরে পাহারার কাজ করে তাদের প্রহরীরা। ভারতীয় দূতাবাসে তাদের নিজস্ব পুলিশ বাহিনী বা নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করার ব্যাপারে সংবাদপত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে রাজনৈতিক প্রচারের আশ্রয় নিয়েছে বিএনপি-জামায়াত। বিএনপির মহাসচিব খোন্দকার দেলোয়ার হোসেন এক বিবৃতিতে ভারতীয় দূতাবাসে নিরাপত্তা বাহিনী আনার প্রসত্মাবে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছেন, এতে দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব হুমকির মধ্যে পড়বে।

জামায়াতে ইসলামীর আমির মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী ভারতীয় দূতাবাসের নিজস্ব নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েনের ব্যাপারে উদ্বেগ প্রকাশ করে এক বিবৃতিতে বলেছেন, আনত্মর্জাতিক রীতিনীতি ও কূটনৈতিক শিষ্টাচারবহির্ভূত এই পদৰেপ জনগণকে নিয়ে প্রতিহত করা হবে। বিএনপি-জামায়াত সমর্থিত সংবাদপত্র ও টিভি চ্যানেলে ভারতীয় দূতাবাসে তাদের নিজস্ব নিরাপত্তা বাহিনী েমোতায়েন করা হয়েছে বলে প্রচার চালাচ্ছে। স্বরাষ্ট্্রমন্ত্রী এ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন সাংবাদিকদের বলেছেন, ভারতীয় দূতাবাসে তাদের নিজস্ব বাহিনী নিয়োগ করার ব্যাপারে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অবহিত নয়। পররাষ্ট্র সচিব মোহাম্মদ মিজারম্নল কায়েস সাংবাদিকদের বলেছেন, ঢাকায় ভারতীয় দূতাবাসের নিরাপত্তার জন্য ভারতীয় বাহিনী পাঠানোর ব্যাপারে বাংলাদেশকে কিছু জানায়নি বা প্রসত্মাব পাঠায়নি। যে কোন বিদেশী মিশনে ঐ দেশের সার্বভৌমত্ব থাকে।

মিশনের অভ্যনত্মরীণ নিরাপত্তা দেখার দায়িত্ব তাদের। শুধু ভারত কেন, অন্য যে কোন দেশ তাদের মিশনের অভ্যনত্মরীণ নিরাপত্তা দেয়ার জন্য লোক নিয়োগ করতে পারে। দেশের আইনে কোন সাংঘর্ষিক না হলে বিদেশী মিশনের অভ্যনত্মরীণ নিরাপত্তা ব্যবস্থা করতে পারবে। বাংলাদেশের আইনে কোন বাধা আছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হবে। রাজনৈতিক বিশেস্নষকদের মতে, আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন সরকার যখনই ৰমতায় আসে তখনই বিএনপি ভারতবিরোধী প্রচার শুরম্ন করে।

'৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ৰমতায় আসার পর পার্বত্য চট্টগ্রামের শানত্মিচুক্তি করার পর বিএনপির চেয়ারপার্সন সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া বলেছিলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম ভারতের অনত্মভর্ুক্ত হয়ে যাবে। ফারাক্কা চুক্তি করার পরও বিএনপির নেতৃবৃন্দ বলেছেন, ভারতের কাছে বাংলাদেশকে বিক্রি করে দেয়া হচ্ছে। নির্বাচনের আগে বিএনপির নেতারা বলেছেন, আওয়ামী লীগ ৰমতায় এলে মসজিদে উলুধ্বনি পড়বে। ভারতের করদরাজ্যে পরিণত হবে বাংলাদেশ। বাংলাদেশ নিয়ে যাবে ইত্যাদি।

পরে সব প্রচারেরই অসারতা প্রমাণ হয়েছে। এবারও আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকার ৰমতায় আসার পর বিএনপি গত এক বছরে আন্দোলনের ইসু্য খোঁজার চেষ্টা করছে। পত্রিকার সংবাদ অনুযায়ী অতীতের মতো তারা ভারতবিরোধী অবস্থান নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গন চাঙ্গা করার চেষ্টা করছে। এরই ধারাবাহিকতায় প্রথমে এশিয়ান হাইওয়ের নামে ট্রানজিট, পণ্য প্রবেশাধিকারের ব্যাপারে ট্রানশিপমেন্ট চুক্তির নামে ভারত-বিরোধিতা শুরম্ন করে। তারপর ভারত-বিরোধিতার জন্য টিপাইমুখ ড্যামকে রাজনৈতিক ইসু্যতে পরিণত করার চেষ্টা করে।

ইসু্যটি পরিত্যক্ত হওয়ার পরও বিএনপির সহযোগী ইসলামী রাজনৈতিক দল ও সহযোগীদের দিয়ে লংমার্চ করায়। সর্বশেষ ভারতীয় দূতাবাসে তাদের নিজস্ব নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েনের প্রচার শুরম্ন করেছে। দৈনিক জনকন্ঠ

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।