আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

টেরোরিজম বা সন্ত্রাসবাদ

টেরোরিজম বা সন্ত্রাসবাদ একটি আলোচিত বিষয়। মজার বিষয় হলো এই টেরোরিজম বা সন্ত্রাসবাদের সংজ্ঞা কি বা আমরা কোন কোন নির্দেশনার মাধ্যমে টেরোরিজমকে একটা নির্দিষ্ট ছকের মধ্যে আনব সে ব্যপারে এখন পর্যন্ত কেউ কোন সর্বসম্মত উত্তর দিতে পারেন নি। তবে অনেকগুলো আইডিয়া থেকে আমরা প্রথম দিকে যা খুজে পাই সেটা সত্যিই ভাবনার বিষয়। তা হলো টেরোরিজম বা সন্ত্রাসবাদ একটা প্রতারনা বা ফাদের নাম যেটা পশ্চিমা দেশগুলো বিশেষ করে আমেরিকা ও ব্রিটেন তাদের ব্যর্থতা গুলোর থেকে সাধারন মানুষের মনোযোগকে অন্যদিকে ডাইভার্ট করার একটা কৌশল । টেরোরিজম বা সন্ত্রাসবাদ এই শব্দটিকে বা পরিভাষাটিকে স্পষ্টভাবে সংজ্ঞায়িত না করতে পারার পিছনে দুটি কারণ বিদ্যমান।

১। এটা একটা Value-Neutral পরিভাষা নয়। ২। একটা মানুষ এক পক্ষের কাছে টেরোরিস্ট আবার অন্য পক্ষের কাছে স্বাধীনতাকামী বা ফ্রিডম ফাইটার তবে একটা বিষয়ে সবাই একমত টো হলো টেরোরিজম বা সন্ত্রাসবাদ একটা কৌশল যেটা দ্বারা মানুষকে ভীতি প্রদর্শন করা হয় বা ধ্বংসাত্বক কাজ করা হয়। টেরোরিজম শব্দটা মূলত পশ্চিমা সভ্যতার শব্দকোষে প্রবেশ করে ফ্রেঞ্চ রেভ্যুলিশনের সময় বিশেষ করে (১৭৯৩-৯৪) এই সময়।

যে সময়টাকে The " Reign of Terror" বলা হয়। ফ্রান্সে এ সময় সিকিউরিটি কমিটিকে ব্যপক ক্ষমতা দেয়া হয় এবং এ সময় প্রায় ৪০ হাজার মানুষ জীবন হারায় এবয় সে সময় Guillotine নামের একটা বিশেষ যন্ত্রের মাধ্যমে শিরোচ্ছেদ করা হয়। বর্তমানে টেরোরিজমকে আমরা প্রাইভেট গ্রুপ বা সংস্থা হিসেবে আমারা ভাবি যেটাকে আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ছাত্ররা Non state actor হিসেবে অভিহিত করে। যেমন: আল কায়েদা, জামেয়া ই ইসলামীয়া(ইন্দোনেশিয়া), পি আর এ এফ ( কলম্বিয়া) ইত্যাদি। তবে এত বিভাজন থাকা সত্ত্বেও অনেকে এটাকে সংজ্ঞায়িত করার চেষ্টা করেছেন ।

1.German Federal Republic: " Terrorism is the enduringly conducted struggle for political goals, which are intended to be achieved by means of assults on the life and property of other persons, especially by means of severe crimes as detailed in art.129a of the penal code. এভাবে UK governments US governments, UN বিভিন্নভাবে এটাকে সংজ্ঞায়িত করেছেন। তবে এই সংজ্ঞাগলোর মধ্যে কয়েকটা ব্যপারে মিল রয়েছে। যেমন: ১। তারা ধ্বংসাত্বক কার্যক্রমের মাধ্যমে ভয়ের পরিবেশ তৈরি করে। ২।

তাদের একটা উদ্দেশ্য হলো কোন চিন্তধারার পরিবর্তন বা পরিবর্ধন। টেরোরিস্টদের কিছু বিশেষ দিক ১। টেরোরিস্টরা সবসময় নিজেদের Legitimate Combatant বা বৈধ যোদ্ধা মনে করে। ২। তারা নির্দিষ্ট বিশ্বাসের পিছনে ছোটে।

৩। সাধারন মানুষ কখনো তাদেরকে ক্রিমিনাল হিসেবে দেখে আবার কখনো তাদের প্রতি সহানুভূতিশীল হয়। উদ্দেশ্য প্রথম উদ্দেশ্য হলো মানুষকে ভয় দেখানো বা ভীতিকর পরিবেশ তৈরি করা । টেরোরিস্টরা মানুষকে প্রথমে ভয় দেখায় বা ভীতিকর পরিবেশ তৈরি করে। এতে করে সাধারন মানুষেরা প্রথমেই সরকারকে দোষারোপ করতে শুরু করে।

এর সাথে সাথে কিছু স্থায়ী সমস্যারওরি করে। যেমন-কোন দেশের টুরিস্ট ইকোনমি ব্যপক ক্ষতির মুখে পড়ে। উদাহরনে আমরা ইন্দোনেশিয়ার বালির কথা উল্লেখ করতে পারি। দ্বিতীয়ত, তারা ধ্বংসাত্বক কার্যক্রমের মাধ্যমে ব্যপক প্রচার বা পাবলিক এটেনশন চায়। তৃতীয়ত, ধ্বংসাত্বক কার্যক্রমের পর কতৃপক্ষের অতিরিক্ত বাড়াবাড়ি যেটা তাদের আন্দোলনের সহায়ক।

টেরোরিজমের লক্ষ কি? 1. Revolution 2. Nationalism/Separatism 3.Reaction 4.Religion 5.Single Issue টেরোরিজমের উপাদান কি? প্রথমত ধ্বংসাত্বক কাজের মাধ্যমে ভীতিকর পরিবেশ তৈরি করবে এবং যার কিছু অডিয়েন্স থাকবে। দ্বিতীয়ত,ভিকটিম থাকবে। তৃতীয়ত, নির্দিষ্ট লক্ষ থাকবে। লেখার কলেবর বাড়ার কারনে আজকে এখানেই শেষ করলাম। ধন্যবাদ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।