আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মুক্তিযুদ্ধ পূর্ব কালপঞ্জি

আমার সম্পর্কে বলার মতো কিছু নেই।

মুক্তিযুদ্ধ পূর্ব কালপঞ্জিঃ জানুয়ারি ০৪: আওয়ামী লীগের নবনির্বাচিত এমএনএ এবং এমপিএবৃন্দ রেসকোর্স ময়দানে জনতার সামনে শপথ গ্রহণ করেন। এসময় শেখ মুজিবুর রহমান বলেন যে, ৬ দফা ও ১১ দফার প্রশ্নে কোন আপোস হবেনা তবে পশ্চিম পাকিস্তানি নেতৃবৃন্দের সাহায্য চাওয়া হবে। ১৫: ২০ জানুয়ারি শহীদ আসাদ দিবস পালনের জন্য পূর্ব বাংলা বিপ্লবী ছাত্র ইউনিয়ন ঐদিন পূর্ণ দিবস হরতাল আহবান করে। ৩১: আওয়ামী লীগের সাথে ৩ দিনের আলোচনা শেষে জুলফিকার আলী ভুট্টো ঢাকায় পাকিস্তান টাইমসকে দেয়া এক বিবৃতিতে বলেন যে, দু'দলের আলোচনা সাপেক্ষে একটি গ্রহণযোগ্য সংবিধান প্রণয়ন করা হবে।

ফেব্রুয়ারি ০৯: জাতীয় পরিষদের অধিবেশন আহ্বানে বিলম্ব হওয়ায় শেখ মুজিব বলেন যে, এটি নিজেদের সরকার থেকে তার জনগণকে বঞ্চিত করার আরেকটি ষড়যন্ত্র। ১৪: রাষ্ট্রপতি ইয়াহিয়া খান ৩ মার্চ ঢাকায় জাতীয় পরিষদের অধিবেশন অনুষ্ঠানের ঘোষণা দেন। ১৫: ভুট্টো বলেন যে, তার দল পাকিস্তান পিপলস পার্টি জাতীয় পরিষদের অধিবেশনে যোগদান করবেনা। শেখ মুজিব এই সিদ্ধান্তকে গণতন্ত্রবিরোধী আখ্যা দেন। ১৬: পাকিস্তান ডেমোক্রেটিক পার্টির সভাপতি নুরুল আমিন নির্বাচিত প্রতিনিধিদের সকলকে জাতীয় পরিষদের অধিবেশনে যোগ দেয়ার আহ্বান জানান।

২১: বিপ্লবী ছাত্র ইউনিয়ন এবং বাংলাদেশ ছাত্রলীগ ভাষা দিবস উপলক্ষে স্বাধীনতার কথা উল্লেখ করে বিশেষ বিবৃতি প্রদান করে। বাংলাদেশ ছাত্রলীগ বিশেষ কর্মসূচি ঘোষণা করে। পূর্ব পাকিস্তান ছাত্র ইউনিয়ন তার ১৪ দফা দাবি পেশ করে। ২৮: শেখ মুজিব ভুট্টোকে অধিবেশনে যোগদানের আহ্বান জানান এবং বলেন যে, ৬ দফা কারো উপর চাপিয়ে দেয়া হবেনা। মার্চ ০১: রাষ্ট্রপতি ইয়াহিয়া খান ৩ মার্চ অনুষ্ঠিতব্য জাতীয় পরিষদের অধিবেশন স্থগিত ঘোষণা করেন।

সমগ্র বাংলাদেশ এই ঘোষণায় বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে। ০২: পূর্ব পাকিস্তানের সর্বত্র ধর্মঘট পালিত হয় এবং শেখ মুজিবের নেতৃত্বে অসহযোগ আন্দোলনের সূত্রপাত হয়। ০৬: লে. জে. টিক্কা খানকে পূর্ব পাকিস্তানের গভর্ণর নিয়োগ করা হয়। ০৭: ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে শেখ মুজিবুর রহমান তার ঐতিহাসিক ভাষণ দেন যা ৭ই মার্চের ভাষণ নামে খ্যাত। কমিউনিস্ট বিপ্লবীদের পূর্ব বাংলা সমন্বয় কমিটি 'স্বাধীন জনগণতান্ত্রিক পূর্ববাংলা' ঘোষণাসহ গেরিলা যুদ্ধের আহ্বান করে।

০৮: শেখ মুজিবুর রহমান ১০ দফা দাবি পেশ করেন। গেরিলা যুদ্ধের নিয়ম সংক্রান্ত একটি বেনামী লিফলেট প্রচারিত হয়। পূর্ব পাকিস্তান ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সংসদের সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে ১৪ দফা দাবি পেশ করা হয় এবং স্বাধীন বাংলাদেশ ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ গঠনের আহ্বান জানানো হয়। ০৯: মাওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী এক জনসভায় বলেন, 'পূর্ব পাকিস্তানের আজাদী রক্ষা ও মুক্তি সংগ্রামে ঝাপাইয়া পড়ুন'।

তিনি তার ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি নিয়ে শেখ মুজিবের সাথে আন্দোলন অব্যাহত রাখার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। - টিক্কা খান পূর্ব পাকিস্তানের গভর্ণর হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন। ১৪: ভুট্টো দুই সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের নিকট ক্ষমতা হস্তান্তরের আহ্বান জানান। ১৭: মুজিব-ইয়াহিয়া দ্বিতীয় দফা বৈঠক শেষে শেখ মুজিব বলেন যে, আন্দোলন চলবে। ১৯: জয়দেবপুরের রাজবাড়িতে ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের একটি ব্যাটালিয়নকে নিরস্ত্র করার পশ্চিম পাকিস্তানি প্রচেষ্টাকে নস্যাৎ করে দেয় বাঙ্গালি সৈন্যরা।

২০: উপদেষ্টাসহ মুজিব-ইয়াহিয়া চতুর্থ দফা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ২১: ইয়াহিয়ার সাথে আলোচনার উদ্দেশ্যে ভুট্টো ঢাকায় আসেন। ২২: ইয়াহিয়া ২৫ মার্চ আহূত জাতীয় পরিষদের অধিবেশন অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত ঘোষণা করেন। ২৩: পূর্ব পাকিস্তানের সর্বত্র স্বাধীন বাংলাদেশের নতুন পতাকা উত্তোলন করা হয়। এই দিনটি বাংলাদেশে জাতীয় পতাকা দিবস হিসেবে পালিত হয়।

২৫: পাকিস্তান সেনাবাহিনী রাতের অন্ধকারে সমগ্র ঘুমন্ত ও নিরস্ত্র বাঙ্গালিদের ওপর ঝাপিয়ে পড়ে ব্যাপক গণহত্যা চালায় যা অপারেশন সার্চলাইট হিসেবে পরিচিত। ২৭: কালুরঘাটে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র থেকে মেজর জিয়াউর রহমান শেখ মুজিবুর রহমানের পক্ষে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র পাঠ করেন। ৩০: পাকিস্তান সেনাবাহিনী কর্তৃক বাংলাদেশের গণহত্যা রোধে এগিয়ে আসার জন্য জাতিসংঘ এবং বৃহৎ শক্তিবর্গের প্রতি বাংলাদেশের পক্ষ থেকে আহ্বান জানানো হয়।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.