অনুচ্ছেদ
এ হচেছ কারমেন এবং রাজহাঁস
রাত গাঢ় হলে হণ্টন এদের স্বভাব
চাঁদের শরীর থেকে অতৃপ্ত আলোগুলো
যখন পুরনো দেয়ালগুলোকে ছাড়তে আর ধরতে থাকে, তখন
নিয়নের অপরূপ ধোঁয়ার ভেতর হাঁটতে থাকে ওরা
কারমেন এবং রাজহাঁস...
অন্ধকারের সুতোয় গাঁথা আছে
এখানে-ওখানে শুয়ে থাকা গলিগুলো
বিশাল কোন এক খাতা থেকে তারপর
নাম ডেকে চলে কেউ, যেহেতু নির্বাচন আসছে;
একটা রসিমন রাস্তার পাশে কি অবলীলায়..
পাল্টে নিল তার শাড়ি,
এইখানে এসে তাই
রিকশাগুলোর গতি কমে যায়...
আব্বাস নামের কেউ একজন ভিক্ষুক
কালাম নামের কেউ একজন হেলপার
আয়েশা নামের কেউ একজন ফুলওয়ালী
অদ্ভুত কুঁকড়ে থেমে যায়
কেননা ও-প্রান্তে প্রবেশ নিষেধ
সরকারী বন্দুক হাতে কিছু নির্বোধ লোক
টহল দেয়, তাদের ভেতর কুচকুচে বীভৎস
কিছু ছায়া, ছোট আগুন জ্বালিয়ে দাঁড়িয়ে
ক্রসফায়ারের আনন্দে উত্তপ্ত...
কেউ বুঝতে চায়নি কখনও
এ শহর কেন কোনদিন কারো নয়
কারণ সবাই কারমেন নয়
সবার রাজহাঁস হয় না
আর কারও পাঁজর অন্ধকারে
জোছনা বিলোতে পারে না..
এরপর রাত বাড়ে..
ধীরে ধীরে -
নর্দমার স্রোতের সঙ্গীত স্পষ্ট হয়..
পরিত্যক্ত একটা গাড়ীর ভেতর একটা কালাম
একটা রসিমনের শরীর থেকে ভালবাসা খুলে নেয়,
বেড়ালের বাচ্চাটা কাঁপতে কাঁপতে মরে যায়..
আর একটা আয়েশা মায়ের মৃত্যুতে ডুকরে ওঠে..
অবশেষে কারমেন এবং রাজহাঁস
অন্ধকার সুতোয় গাঁথা গলিগুলোর চুল
আঁচড়াতে থাকে... ভোর হবার আগ পর্যন্ত...
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।