অনেকের মাঝেও একা থাকা যায়, নি:সঙ্গতায় কারো অনুভব ছুঁয়ে যায় ...
শোনো, একটা গল্প শোনাই সাতটি বীরের,
অকুতোভয় বীরগাঁথা চির উচ্চ শিরের;
একেকটা প্রাণ গড়ল সেতু বাঙালির বিজয়ের,
এ গল্প জেনো সেই একাত্তরের । ।
অনাথ ছেলেটা নূর মোহাম্মদ তখন ল্যান্স নায়েক,
মৃত্যু অবধি পাক-বাহিনীতে হানলো আঘাত কয়েক;
শক্রর ছোঁড়া শেলের আঘাতে পুড়িয়ে দেহখানা,
রুহুল আমিন দেশের তরে শেখেনিতো হার মানা ।
একেকটা প্রাণ গড়ল সেতু বাঙালির বিজয়ের,
এ গল্প জেনো সেই একাত্তরের । ।
প্রবল প্রতাপে মহিউদ্দিন লড়েছিল শেষ শ্বাসে,
স্রোতস্বীনি মহানন্দা উছলে আজো কাঁদে;
দারুইন গ্রামটা জড়িয়ে বুকে সেই সে যোদ্ধা-দামাল,
হটিয়েছিল হানাদার দল বীর মোস্তফা কামাল;
পাহাড়ে পাহাড়ে কাঁপন তুলে এম.জি. –টা গর্জালো,
শত্রু হটাতে আব্দুর রউফ মরণকে বুকে নিলো ।
একেকটা প্রাণ গড়ল সেতু বাঙালির বিজয়ের,
এ গল্প জেনো সেই একাত্তরের । ।
বুলেট-বৃষ্টি মাথায় নিয়ে চৌকষ নওজোয়ান,
হামাগুড়ি দিয়ে হানাদার বধে হামিদুর রহমান;
বিমানখানা ছিনিয়ে নিতে ভাসলো আকাশ পানে
আত্মাহুতি দেয় মতিউর ফিরতে দেশের কোণে ।
বাংলা’কে চির স্বাধীন করতে বিলিয়েছে যারা প্রাণ
স্বরণ করো বাঙালি সেই সাতটি বলিদান ।
একেকটা প্রাণ গড়ল সেতু বাঙালির বিজয়ের,
এ গল্প জেনো সেই একাত্তরের । ।
*******************
পাদটীকাঃ
আন্তর্জালে বীরশ্রেষ্ঠদের নিয়ে খুব বেশী তথ্য নেই। এছাড়া মূল সমস্যাটি হলো ছবি-বিভ্রাট। গুগলিং করলেই ব্যাপারটা বুঝতে পারবেন।
কিছুদিন আগে এক পোস্টে এই নিয়ে একবার অল্প-বিস্তর আলোচনাও হয়েছিল। মূর্ছনা.কম এবং এমনকি জেনোসাইড বাংলাদেশ সাইটটিতেও এই ছবি-বিভ্রাট রয়েছে। ভুল তথ্য যদি এভাবে ছড়িয়ে থাকে তবে তা অবশ্যই যথেষ্ট পীড়াদায়ক এবং আমাদের অবহেলার একটি উদাহরণ।
এই পোস্টের সাথে সংযুক্ত গ্রাফিক্সে চেষ্টা করেছি ছবি এবং একই সাথে তথ্য প্রদানের। যদি কেউ ছবি ও তথ্যে কোন অসামাঞ্জস্যতা খুঁজে পান তবে তা জানাতে দ্বিধা করবেন না।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।