আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

স্মৃতিশক্তির পরিপূর্ণ ব্যবহার

ভালবেসে মিটিলনা আশা, কুলালনা এই জীবনে।

সফলতার জন্য দরকার দৃঢ় স্মৃতিশক্তি । স্মৃতিশক্তি দুর্বল হলে শিক্ষাজীবন কী কর্মজীবন সব জায়গায় প্রবল বাধার মুখোমুখি হতে হয় । এছাড়া হয়তো আপনি গত বছর ঘুরে আসা গ্রামটির কথা মনে করতে পারছেন না , পারছেন না ঘরের চাবিটা কোথায় রেখেছেন মনে করতে , প্রায় সময় কাজের বিষয়াদি ভুলে য়ান । ফলে জরুরি মুহুর্তে বিরক্তিকর সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় ।

ভাবছেন এ অবস্থা থেকে কিভাবে নিজেকে মুক্ত করবেন । আমাদের স্মৃতিতে এধরনের ব্যাঘাত ঘটে মূলত স্মৃতিকে কম ব্যাবহারের ফলেই এ জন্য স্মৃতিশক্তি বৃদ্বি করার কোন বিকল্প নেই । স্মৃতিশক্তি বাড়ানোর কিছু কৌশল এখানে দেয়া হল । ১. মানসিক ছবি তৈরি: মানসিক ছবি এবং এক ই সাথে ভাষিক গঠনের মাধ্যমে যে কোন তথ্যকে আমাদের মস্তিষ্ক নথিভুক্ত করে নেয় । যে তথ্যটি আপনি এ মুহুর্তে জানছেন তা মস্তিষ্কে নথিভুক্ত সময় এর মানসিক ছবি নাকি ভাষিক গঠন প্রাধান্য পাবে তা আপনার জানা শোনার ব্যাপ্তির উপর নির্ভর করে ।

আপনি যদি আপনার ঘরের অথবা অফিসের চাবির কথা প্রায় সময় ভুলে যান তো চেস্টা করুন যেখানে চাবিটি সাধারনত রাখেন সে স্থানকে আপনার স্মৃতিতে অত্যধিক পরিচিত একটি স্থানের সাথে সম্পর্কযুক্ত রাখতে , তা হতে পারে রুমের টেবিলটা , যার পাশ দিয়ে দিনে আপনাকে অনেক বার যেতে হয় । এই কৌশল ব্যবহারের জন্য আপনি আপনার বাসস্থান এবং এর বিভিন্ন স্থান ব্যবহার করতে পারেন । ২. যুক্তি খুজে দেখা: মস্তিষ্ক কার্যকারনত ভাবে কতগুলো বিশৃঙ্খল বস্তুর মধ্যে শৃঙ্খলতা আরোপ করে নেয় । তাতে মস্তিষ্ক প্রচুর স্মৃতির উপাদানকে দ্রুত ও সঠিকভাবে ব্যাবহার করতে পারে । যে সব বিষয় বা বস্তুকে মনে রাখতে হবে তা যতই এলোমেলো হোক , তাদের মধ্য সম্ভবপর কার্যকারন শৃঙ্খলা খুজে বের করুন কিংবা কোন পূর্ব পরিচিত বস্তু বা স্থানের গঠন কাঠামোর সাথৈ এগুলোর মিল - অমিলের মধ্য দিয়ে সম্পর্ক করে একটা কাঠামোগত রুপ দেয়ার চেস্টা করুন ।

সুশৃঙ্খল বস্তুকে মনে রাখা অনেক সহজ । ৩. শ্রেনীবিন্যাস করা : তথ্যের অনুক্রম সাজাতে আর একটি উপ্য় হচ্ছে বস্তুগুলোর শ্রেনীবিন্যাস করা উদাহরন স্বরুপ , দশ ডিজিটের একটি টেলিফোন নাম্বার নেয়া যাক । ০ - ১ - ৮ - ৫ - ৯- ৬ - ৩ - ২ - ৮ - ৭ এই ডিজিটগুলোকে দুটা করে জোড়া নিয়ে শ্রেনীবিন্যাস করলে মনে রাখার জন্য শুধু ৫টি জোড়া পাওয়া যাবে । ০১ - ৮৫ - ৯৬ - ৩২ - ৮৭ । একই উপায়ে , আপনাকে যখন অনেকগুলো বিষয় মনে রাখতে হবে , তখন শ্রেনীবদ্ব করা শুরু করুন ।

তাহলে যে কোন বিষয় মনে রাখা আপনার জন্য অনেক সহজ হয়ে পড়বে । ৪. স্মৃতিগুলোর সংযোগ সাধন করা: নতুন তথ্য গুলোকে স্মরন রাখার জন্য যেগুলো আগে থেকেই স্মৃতিতে সংরক্ষিত আছে তার সাথে নতুন তথ্য গুলোকে তুলনা করে সংরক্ষন করতে হবে । যদি কোন তথ্য সম্পূর্ন নতুন হয় , তবে এর সাথে সম্পর্কিত কোন তথ্য মাথায় আছে কিনা সেটা মস্তিষ্ক দেখবে । এই প্রক্রিয়ায় পূর্ব পরিচিত মানুষ ,বস্তু , প্রতিরুপ , অথবা ধারনার সাথে নতুন বিষয় বা তথ্যকে যুক্ত করুন এবং পুরাতন তথ্যের সাথে এসব তথ্যের কি কি মিল রয়েছে তা দেখেই মস্তিষ্কে গাথা হয়ে থাকে । আপনি এই সয়ংক্রিয় মানসিক প্রক্রিয়াটি কোন তথ্য স্মরন করার জন্য ব্যবহার করতে পারেন ।

এটা বিভিন্ন উপাদানের মধ্যে সংযোগ স্থাপনে আপনাকে সাহায্য করে যাতে একি সাথে স্মরন করার সুযোগ বাড়ায় । সংযোগের মাধ্যমে স্মতি সংরক্ষনের জন্য প্রয়োজন নিয়মিত চর্চা । ৫. নানা বিষয়ের পুনরাবৃ ত্তি করা: আমরা যখন অদূর ভবিষ্যতের জন্য কিছু মনে রাখার চেস্টা করি আমরা তখনই সাধারনত কোন কিছু ভালোভাবে শিখি । অনেকদিন পর্যন্ত স্মরন রাখার জন্য মুখস্ত বিদ্যা সর্বোচ্চ পন্থা নয় । আমরা কোন কিছু শেখার পর দ্রুত তা ভুলতে শুরু করি ।

কয়েক ঘন্টার মধ্যেই আমরা এর ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ বলতে পারি না । আপনার স্মৃতিতে কোন তথ্য ধরে রাখার জন্য কোন একটা বিষয় আপনাকে নিয়মিত কয়েক বার পাঠ করতে হবে । অনেক দিন মনে রাখার জন্য তথ্যগুলো পুনরাবৃত্তি করাই হল সবচেয়ে সহজ পথ । পুনরাবৃত্তি তথ্য গুলোকে মস্তিষ্কে দৃঢ়ভাবে স্থাপন করে । ৬. যা জানলেন তা নিয়ে কথা বলা: আমাদের যে কারো এটা হতে পারে যে , আমরা বিকেলে একটা সিনেমা দেখলাম এবং কিছুদিন পর ভুলে ও গেলাম ।

এ রকম ভুলে যাওয়ার জন্য অনেককেই সর্তক থাকতে হয় । কোন সিনেমা বা বই সম্পর্কে মনে রাখার জন্য চমৎকার একটি পন্থা হচ্ছে এ সমাপর্কে কাউকে বলা । এটা নিয়ে কথা বললে তথ্য গুলো সহজে স্মরনে রাখা সহজ হয় ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।