কক্সবাজার যারা বেড়াতে আসে তারা অন্তত একবার মহেশখালী আসতে চায়। কস্ট করে মহেশখালী আসা যায় কিন্তু মহেশখালী থেকে ফিরতে পারবে কিনা বা কখন ফিরতে পারবে তা কেউ বলতে পারেনা। মহেশখালী দেশের একমাত্র বদ্বীপ। যা বঙ্গোপসাগর চারদিক দিয়ে বেস্টন করে আছে। মহেশখালীতে আছে আদিনাথ মন্দির যা হিন্দুধর্মাবলম্বীদের তীর্থস্থান।
আদিবাসী মগদের(রাখাইন) প্যগোড়া, পানের বরজ, লবনের মাঠ, চিংড়ী ঘের ইত্যাদি।
দেশে সবকিছুতেই এখন কৃত্রিম সংকট সৃস্টির কালচার তৈরী করা হচ্ছে। এখানেও তাই। আগে দেখতাম পর্যাপ্ত স্পীডবোট ও ট্রলার পাওয়া যেত। এখন ঘন্টার পর ঘন্টা লাইন ধরে জেটিতে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়।
পর্যটক আর যাত্রীর তুলনায় নিতান্ত অল্প যান। খোঁজ নিয়ে জানা যায় শুধু মাত্র ইজারাদারদের স্পীডবোটই যাত্রী বহন করতে পারে। অন্যকারো নয়। বোটসংকট কেন জানতে চাইলে জানা যায় শুধুমাত্র শীতের সিজনে লোকজন বেশী যাতায়াত করে। অন্য সময় তেমন যাতায়াত থাকেনা।
বেশী বোট নামালে পরে দেয়া যায় না।
এছাড়াও মহেশখালী জেটিটা দেখার যেন কেউ নেই। জেটির দুইপাশে দীর্ঘ রেলিং দিনের পর দিন উদাও হয়ে যাচ্ছে। গাছের জেটিটা ভাঙ্গা। ফলে নৌকা নিয়ে অনেক কষ্ট করে যাত্রীদের ঘাঠ পর্যন্ত পৌছতে হয়।
ইজারাদারদের বক্তব্য হিরোইন সেবীরা রাতের আঁধারে এসব কেটে নিয়ে যায়। ইজারাদাররা নিজেরা বিক্রি করে হিরোইন সেবীদের নাম বলছে বলে বিশ্বাস করার যতেষ্ট অবকাশ রয়েছে।
মানুষের কাছ থেকে টাকা আদায় থেকে শুরু করে বিভিন্নভাবে লাখ লাখ টাকা ইজারাদাররা ইনকাম করছে। আবার ইজারাদাররাও সরকারের কাছ থেকে লিজ নিয়েছে।
যাত্রী সেবার নামে প্রতারণা, রক্ষণাবেক্ষণহীন জেটি, বোটের স্বল্পতা, পর্যটক আর মহেশখালীর মানুষের দুর্দশা দেখার যেন কেউ নেই।
রক্ষণাবেক্ষণহীন জেটিটির ফ্লোরে খাবলা খাবলা গর্ত হয়ে আছে। ক্ষয়ে যেতে যেতে যে কোনো সময় সেটা বিধ্বস্ত হতে পারে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।