এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি করে বিচারপতি সালমা মাসুদ চৌধুরী ও বিচারপতি মো. হাবিবুল গণির বেঞ্চ এই আদেশ দেয়।
আওয়ামী লীগ ও বিএনপির স্থানীয় দুই নেতা অনুমতি ছাড়াই বিদ্যুৎকেন্দ্রের পণ্য পরিবহনের জন্য ওই জেটি নির্মাণ করছেন বলে পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে এই রিট করা হয়।
আদেশে মেঘনা নদীর সংশ্লিষ্ট এলাকা থেকে সব স্থাপনা অপসারণের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক ও জেলা পুলিশ সুপার; বিআইডব্লিউটিএর পরিচালক (পোর্ট-ট্রাফিক), পরিচালক (পরিকল্পনা), প্রধান প্রকৌশলী ও আশুগঞ্জ থানার ওসিকে সাত দিনের মধ্যে এই আদেশ বাস্তবায়ন করতে হবে।
একইসঙ্গে ওই এলাকা যাতে আর কেউ দখল করতে না পারে- সে পদক্ষেপ নিয়ে চার সপ্তাহের মধ্যে তা আদালতকে জানাতে বলা হয়েছে।
পাশাপাশি জেটি নির্মাণের মাধ্যমে যারা অবৈধ দখলে জড়িত- তাদের বিরুদ্ধে আইনগত পদক্ষেপ নিতে জেলার পুলিশ সুপার ও আশুগঞ্জের ওসিকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
আশুগঞ্জে মেঘনা নদীতে সব ধরনের দখল বন্ধ; ‘ভূমিদস্যুদের’ হাত থেকে নদীতীর রক্ষা; নদী ও নদী তীরের সব ‘বেআইনি ব্যবহার’ থেকে তাদের বিরত রাখতে কেন নির্দেশ দেয়া হবে না- তাও জানতে চেয়েছে আদালত।
নৌপরিবহন সচিব, বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) চেয়ারম্যান, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক ও জেলা পুলিশ সুপার; বিআইডব্লিউটিএর পরিচালক (পোর্ট-ট্রাফিক), পরিচালক (পরিকল্পনা), প্রধান প্রকৌশলী, আশুগঞ্জের ওসিকে দুই সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে হবে।
‘আওয়ামী লীগ-বিএনপি জয়েন্ট ভেঞ্চার, মেঘনার বুকে অবৈধ জেটি’ শিনোনামে দৈনিক কালের কণ্ঠে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন যুক্ত করে হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের পক্ষে মনজিল মোরসেদ গত ১১ ফেব্রুয়ারি রিট আবেদনটি করেন।
এতে বাদি হিসাবে অ্যাডভোকেট আসাদুজ্জামান সিদ্দিকী, এখলাস উদ্দিন ভূঁইয়া ও মাহবুবুল ইসলামের নাম রয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, কোনো রকম অনুমতি না নিয়েই ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ এলাকায় মেঘনা নদীতে বিদ্যুৎকেন্দ্রের পণ্য পরিবহনের জন্য ওই জেটি নির্মাণ করা হচ্ছে। এটা করতে গিয়ে দখল করা হয়েছে নদীর অন্তত ৪০০ ফুট জায়গা। বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ কর্তৃপক্ষের ইজারা দেয়া ওই জায়গায় জেটি নির্মাণের ফলে ধান পরিবহনেও সমস্যা হচ্ছে। এ বিষয়ে নিম্ন আদালতের একটি আদেশ থাকলেও সেটি মানা হচ্ছে না।
প্রতিবেদনে বলা হয়, জেটি নির্মাণ করছে কনভেয়ার লজিস্টিকস নামে ঢাকার একটি প্রতিষ্ঠান।
আশুগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হাজি মো. সফিউল্লাহর মাধ্যমে নির্মাণকাজ চলছে। আর কাজ তদারকিতে আছেন উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক মো. ফাইজুর রহমান।
আদালতে বাদিপক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ।
শুনানিতে তিনি বলেন, পরিবেশ সংরক্ষণ আইন ও জলাধার সংরক্ষণ আইন অনুসারে নদীর তীর ভরাট করে স্থাপনা নির্মাণ অবৈধ হওয়ার পরও প্রশাসন কোনো কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করছে না।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।