আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আমরা ভর্তূকী দিলেও ভারতকে অগ্রাহ্য করে চীনকে গভীর সুমুদ্র বন্দর লিজ ও তার জ্বালানি পরিবহনে আয়ের পথ হল পাকিস্তানের!

আমি চাই শক্তিশালী স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ চীনের নৌশক্তি বৃদ্ধিতে উদ্বিগ্ন ভারত চীন ক্রমবর্ধমান জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করার ও সমুদ্রপথ নিয়ন্ত্রণে নেয়ার যে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। পাকিস্তানের গোয়াদার বন্দর পরিচালনার দায়িত্ব চীন গ্রহণ করায় দেশটির সে প্রচেষ্টা আরেক ধাপ এগিয়ে গেছে। এর ফলে আরব সাগরে সম্ভাব্য একটি নৌঘাঁটি স্থাপনের সুযোগ হাতের নাগালে পেয়ে গেছে চীন। আর এটাই ভারতের জন্য দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এএফপি।

পাকিস্তানের মন্ত্রিপরিষদ গত ৩০ জানুয়ারি গোয়াদার বন্দর চীনের নিয়ন্ত্রণে হস্তান্তরের বিষয়টি অনুমোদন করে। গোয়াদার বন্দর পরিচালনার দায়িত্ব সিঙ্গাপুরের পিএসএ ইন্টারন্যাশনাল থেকে রাষ্ট্রায়ত্ত চায়না ওভারসিজ পোর্ট হোল্ডিংস লিমিটেডের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এই বন্দরের পরিচালনার দায়িত্ব পাওয়ায় আরব সাগর ও হরমুজ প্রণালীর সাথে চীনের সংযোগ স্থাপিত হবে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এর ফলে আফ্রিকা ও মধ্যপ্রাচ্য থেকে তেল আমদানির েেত্র চীনের হাজার কিলোমিটার দূরত্ব কমে যাবে। এই বন্দরটি নির্মাণে প্রাথমিক ব্যয় ২৫ কোটি মার্কিন ডলারের ৭৫ শতাংশই পরিশোধ করেছিল চীন।

কিন্তু তৎকালীন প্রেসিডেন্ট পারভেজ মোশাররফ বন্দরটি চীনকে দিয়ে ওয়াশিংটনের কাছে বিরাগভাজন হতে চাননি। ফলে সিঙ্গাপুরের পিএসও ইন্টারন্যাশনালকে ৪০ বছরের জন্য এটি লিজ দেয়া হয়। এই বন্দরটি চীনের কাছে হস্তান্তরে চুক্তি সম্পাদনের পর এ নিয়ে ভারত উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। তবে পাকিস্তান ভারতের এ উদ্বেগকে নাকচ করে দিয়ে বলেছে, অন্যের সিদ্ধান্তের ব্যাপারে দিল্লির নাক গলানোর দরকার নেই। এ দিকে চীন তিব্বত সীমান্তের কাছে নেপালের লারচায় ১ দশমিক ৪ কোটি মার্কিন ডলার ব্যয়ে একটি ড্রাই পোর্ট নির্মাণ করছে।

তারা আরো পাঁচটি বন্দরও নির্মাণ করছে। এ ছাড়া বিশাল ভারতীয় বাজারের কথা বিবেচনা করে পরিবহন সংযোগও উন্নত করেছে। বাংলাদেশের বঙ্গোপসাগরের দ্বীপ সোনাদিয়ায় ৫০০ কোটি ডলার ব্যয়ে গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণেও ভারত, জাপান ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে চীনও বিনিয়োগে আগ্রহী। শ্রীলঙ্কা ২০১২ সালের জুনে ৪৫ কোটি মার্কিন ডলার ব্যয়ে হাম্বানটোটায় একটি গভীর সমুদ্রবন্দর উদ্বোধন করেছে। দিনে প্রায় ৩০০ জাহাজ এ বন্দরটি ব্যবহার করে।

এটি চীনের আর্থিক ও কারিগরি সহায়তায় নির্মিত হয়েছে। এতে অবশ্য চীনের কোনো শেয়ার নেই। তবে তারা কলম্বো ইন্টারন্যাশনাল কনটেইনার টার্মিনাল লিমিটেডের ৮৫ শতাংশ শেয়ার নিয়েছে। তারা কলম্বো বন্দরসংলগ্ন একটি নতুন কনটেইনার বন্দর নির্মাণ করছে। এ ছাড়া চীন মিয়ানমারেও একটি বন্দর ও জ্বালানি পাইপলাইনের সহায়তাদাতা।

এর মাধ্যমে আফ্রিকা ও মধ্যপ্রাচ্য থেকে আমদানিকৃত গ্যাস ও তেল চীনের ইউনান প্রদেশে পাঠানো হবে। আগামী মে মাসে এটির নির্মাণকাজ শেষ হবে। এসব বন্দরকে ২০০৪ সালে পেন্টাগনের জন্য তৈরি প্রথম রিপোর্টে ‘মুক্তোর মালা’ অভিহিত করা হয়েছে। মনে করা হচ্ছে, এসব বন্দরের মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নৌঘাঁটির সমতুল্য সম্ভাবনা রয়েছে। http://www.dailynayadiganta.com/new/?p=119819 ******************* সেই ২০১০ সালেই বাংলাদেশে একটি গভীর সুমুদ্র বন্দর নির্মাণের প্রস্তাব দেয়।

আর্থিক সহ কারিগরী সহয়াতারও প্রস্তাব ছিল; Click This Link কিন্তু দিল্লী আপত্তি করলে দিপু মণি এই প্রস্তাবে ভেজাল লাগায়। চীনকে সে পাল্টা বলে ভারতও এতে যৌথ অংশীদার হতে চায়। ফলে চীন আরে আসে নাই। ভারতের আপত্তি; But India's overtures are dwarfed by Bangladesh's flourishing friendship with its main trading partner, China, a big weapons supplier that is also helping build ports in the riverine nation that straddles the Ganges Delta and the Bay of Bengal. Click This Link অন্য দিকে অভিন্ন নদ নদীর পানি বিশেষ করে তিস্তার সুষ্ঠ চুক্তি না করতে পারলেও হাসিনা ২০১০ সালে ভারতের সাথে গোপন শর্তে চুক্তি করে আসে। এতদিন বলা হচ্ছিল যে পূর্বের ১৯৭২ মুজিব-ইন্দিরা চুক্তি অনুসারে পুরোনো নৌ ট্রানজিট সহ নতুন সড়ক, রেল ও সুমুদ্র বন্দর ভারতকে ব্যাবহার করতে দিলে আমরা টোল পাব।

কিন্তু পুরানো নদী পথের ট্রানজিট হতেতো নয়ই এমনকি নতুন সেক্টরের ট্রানজিটেও ভারত কি ফি দিবে তা অনিশ্চিত। আর হাসিনার উপদেষ্ট মসিউর বলেই দিছে "ভারত হতে ফি চাওয়া অসভ্যতা" অথচ বাংলাদেশ যেখানে সিঙ্গাপুর হয়ে যাওয়ার কথা। উপরন্ত ভারত তার নৌযান ও ট্রাকের জন্য যে জ্বালানি কিনে সেটা আন্তর্জাতিক বাজার দরে নয় বরং বাংলাদেশের আভ্যন্তরীন ভর্তূকী মূল্যে দেওয়া হচ্ছে; ফি না নিয়ে উল্টো ভর্তুকি দিচ্ছে বাংলাদেশ: দেবপ্রিয় Click This Link আমরা সিঙ্গাপুর হইবা না হই শ্রীলংকায় চীনের সাহায্যে নির্মিত হাম্বানটোলা গভীর সুমুদ্র বন্দরে প্রতিদিন ৩০০ জাহাজের মালামাল উঠানো সম্ভব। এতে যদি তাদের প্রতি জাহাজে গড়ে এক লক্ষ ডলার আয় হয় তবে দৈনিক ৩ কোটি ডলার আয় হবে। এই হিসেবে তাদের মাসে ৯০ কোটি ও বছরে প্রায় ১০ বিলিয়ন ডলার আয় হবে।

আপন লাভ পাগলেও বুঝে। কিন্তু দালাল শাসক সেটা জনগণের ক্ষতি করে বিদেশের উপকার করে। বাংলাদেশের স্বার্থের বিরুদ্ধে বিধায় হাসিনা ২০১০ সালে করা চুক্তির বিষয়ে আগেতো কিছুই বলেনি এখনও গোপন রাখছে। হাসিনার কথা হল বাংলাদেশ কি পেল না পেল তার চেয়ে ভারত লাভবান হল কিনা এটাই তার মুক্তিযুদ্ধের চেতনা। এর বিরুদ্ধে বললেই সে রাজাকার।

মানে আপনাকে ভারতের একতরফা উপকার করতে যেয়ে ক্ষতি সহ্য করতে হবে।  ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।