মহেশখালী এমনিতে বঙ্গোপসাগরের কন্যার মতো। বলা যায় এই দ্বীপের চারপাশেই বঙ্গোপসাগর। আমার গ্রাম কুতুবজুম হচ্ছে মহেশখালীর সর্বদক্ষিণে। যারা কখনো মহেশখালী যান নাই, কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে দাঁড়ালে ডানদিকে তাকালেই দেখতে পাবেন মহেশখালীকে আর যা দেখা যায় তারই নাম কুতুবজুম গ্রাম। ইদের আগে এসেছি এখনো বাড়ীর উঠোনে বসেই লিখছি।
ঢাকার যান্ত্রিকতা ছেড়ে বলা যায় কিছুদিন আত্মনির্বাসনে আছি। তিলে তিলে গড়ে তোলা ব্যক্তিগত লাইব্রেরীটা আমার সবকিছুর উর্ধ্বে। এটার সান্নিধ্য আমাকে সুস্থ করে তোলে।
যাইহোক যা বলতে চেয়েছিলাম। আমাদের পরবর্তী প্রজন্মটাকে দেখে আমি আহত হলাম।
না আমি খুব প্রাচীন পন্থী লোক নই। কোন পরিবর্তনকে আমি ফেরাই না বা আতংকিত হইনা। মানি সবকিছু বয়ে চলে। দ্বীপাঞ্চলের মানুষরা যোদ্ধার মতো। তাতো আজন্ম দেখেছি।
কিন্তু এবার এসে দেখলাম মানুষের মধ্যে হিংসার চরমতম রূপ। আমার প্রতিবেশী যারা আমাকে অতি আদরে বড় করেছে। তারা যেন আমাকে চেনেনা। সালাম করলে সালামের জবাব দেয়না। মানে তারা এখন আর পরস্পরের শান্তি কামনা করেনা।
প্রত্যেকের দৃষ্টি প্রত্যেকের জমিজমা দখলের দিকে। বেঈমানী আর প্রতারণা এখন এখানকার নিত্য সত্য। আমার গ্রামের বন্ধুদের দেখছি থানার সামনে রাতদিন বসে থাকতে। থানাসাধনাই এখন তাদের জীবন। এখানে এখন মেয়ের বর হিসাবে লোকজন থানার দালালদেরকেই পসন্দ করে।
এ ওর বিরুদ্ধে প্রতিদিন জিড়ি করছে থানায়। এক ভয়াবহ দখলদারি মানসিকতায় মেতে উঠেছে তারা।
মহেশখালীবাসীরা এমন দুর্ভাগা অনেক সম্ভাবনা থাকা সত্বেও নিজেদের বোকামীর কারণে তারা সবসময় অবহেলিতই থেকে যায়। যেমন এবার আওয়ামীলীগ সরকার গঠন করেছে কিন্তু মহেশখালী-কুতুবদিয়া আসনে এমপি হয়েছে চারদলীয় জোটের। কুতুবজুমে গভীর সমুদ্র বন্দর হবার গুজব কখন সত্য হবে তা জানা অসাধ্য।
যাইহোক মানুষের চোখে মুখে আতংক, দখলদারি মানসিকতা জনপ্রতিনিধিদের গণপ্রতারণা এসবের অনেক আর্তসামাজিক কারণ আছে জানি। আছে বিশ্বায়নের প্রভাব। তবুও কবি আবুল হাসানের মতো বলতে হয় আমার গ্রামটাকে আমি আর কোথাও দেখিনা।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।