মানুষ আর প্রাণীর মধ্যে পার্থক্য হলো-চেতনাগত ও সংস্কৃতিগত।
ডিসেম্বরঃ যুদ্ধাপরাধীদের অসহনীয় মাস।
ডিসেম্বর বাদে বছরের ১১টি মাস নিয়ে তাদের কোনো মাথা ব্যাথা নেই।
ডিসেম্বর তাদের অসহ্যের মাস।
এ মাসটি যদি বাঙ্গালী ভুলে যেত, তাহলে তারা এক রকম বেঁচে যেত।
তারপরও এ মাসের যন্ত্রণা মেনে নেওয়া ছাড়া তাদের আর কোনো উপায় নেই।
এ মাসে ওরা ১৯৭১ সালের ১৩ ডিসেম্বর দিন শেষে গভীর রাতে অর্থাৎ ১৪ ডিসেম্বর রাতে ঘটায় ইতিহাসের অন্যতম বর্বর হত্যাকাণ্ড। রাতের আঁধারে দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তান শিক্ষক, বুদ্ধিজীবী, শিল্পী, সাহিত্যিক ও মেধাবী তরুণদের ধরে নিয়ে গিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করে। কারণ ওরা বুঝতে পেরেছিল, বাঙ্গালীরা স্বাধীন হচ্ছে। আর স্বাধীন দেশে শিক্ষক, বুদ্ধিজীবী, শিল্পী, সাহিত্যিক ও মেধাবী তরুণরা বেঁচে থাকলে ওই রাষ্ট্রে আমাদের মতো পাকিস্তান ভক্তদের ঠাঁই হবে না।
তাই এ নির্মম হত্যাযজ্ঞ চালায়।
এছাড়াও ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চের কালো রাতে নিরস্ত্র ঘুমন্ত বাঙালির উপর পাক হানাদার বাহিনীর আকস্মিক আক্রমণ করে যা ইতিহাসের সকল বর্বরতার উদাহরণকে হার মানায়। দীর্ঘ ৯ মাস ধরে পাক হানাদার বাহিনীর সাথে এক্যবদ্ধ হয়ে এই রাজাকার-রা মুক্তিযোদ্ধাদেরকে কতই না অত্যাচার করেছে!
মা-বোনকে ধরে নিয়ে পাকবাহিনীর হাতে তুলে দিয়েছে। ওরা নিজেরাও মুক্তিযোদ্ধার মা-বোনকে ধর্ষণ করে মৃত্যু মুখে ছেড়ে দেয়। অসংখ্য প্রমাণ রয়েছে এ সব ঘটনার।
তারপরও আমাদের দেশের ক্ষমাতাসীন দলগুলো এ রাজাকারদের লালন পালন করে বেশ বড় দলে পরিণত করেছে। মন্ত্রীও হয়েছে এরা। জঙ্গীবাদ, বোমাবাজদেরও জন্ম দাতা এরা। এদের প্রতিহত করা ছাড়া এদেশ জঙ্গীবাদ, বোমাবাজ থেকে মুক্ত হবে না। এই রাজাকারদের ছাত্র সংগঠন হলো ছাত্র শিবির।
যারা কথায় কথায় ইসলামী জ্ঞান দেয়। ব্লগে এদেরকেই ছাগু বলা হয়। এই ছাগু গ্রুপ মুক্তিযুদ্ধের সময় ইসলামী ছাত্র সংঘ নামে পরিচিত। এরা এদের রাজাকার ভাইদের সাথে মিলে মিশে সকল জঘন্য কাজ করেছে, করছে এবং ভবিষ্যতেও করবে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।