ইসলামের পথে থাকতে চেষ্টা করি...।
: কেমন আছেন? হাতে ওটা কী?
: আবার কী! তোমাদের মোবাইল ফোন। আমি কত কষ্ট করে এলিসা গ্রে-এর সাথে ঝগড়া-ঝাটি করে টেলিফোনটা আবিস্কার করলাম, আর সবাই এখন সেটা বাদ দিয়ে এইটুকুন মোবাইল ফোন নিয়ে মেতে আছে। তবে জিনিসটা আমারও পছন্দ হয়েছে, কল এলে কী সুন্দর টুনটুন আওয়াজ করে। আর এসএমএস করতে আমার খুব ভালো লাগে।
: এলিসা গ্রে, ওনাকে তো চিনলাম না?
: সেও বিজ্ঞানী। ১৮৭০ এর দশকে আমরা প্রায় একই সঙ্গে টেলিফোন আবিস্কার করি। তবে কে আগে করেছে, তা নিশ্চিত নয়। তবে পেটেন্ট অফিসে গিয়ে আমিই প্রথম এটির মালিকানা কিনেছি। এলিসা খুব মন খারাপ করেছিল।
আহারে! এখন ওকে তেমন কেউ চেনে না, আর আমি এখন সামু এ সাক্ষাৎকার দিচ্ছি। এটা যে কত বড় সম্মান!
: আপনি তো বেশ চালাক। ছোটকাল থেকেই কী আপনি এরকম ছিলেন?
: চালাক কী না জানি না, তবে ছোটবেলা থেকেই আমার অনেক বুদ্ধি। জানো, আমি প্রথম আবিস্কার করি ১২ বছর বয়সে, আমার বন্ধুর সঙ্গে মিলে। আমরা একটা গম ভাঙ্গা মিলে কাজ করতাম।
আমি তখন একটা যন্ত্র আবিস্কার করি, যেটা তৈরি করা হয়েছিল সাইকেলের প্যাডেল এবং ব্রাশ দিয়ে। ওটা দিয়ে গম ভাঙ্গায় খুব সুবিধা হত।
: বাহ, আপনি তো আসলেই জিনিয়াস!
: তা একটু আধটু বলতে পারো। তবে শোনো তোমরা তো আমাকে শুধু বিজ্ঞানী হিসেবেই জানো। কিন্তু, আমি শিল্পকলার বিষয়েও বেশ আগ্রহী ছিলাম, যদিও এখনকার মতো আমার কখনও কোন মিউজিক অ্যালবাম কিংবা সিডি রিলিজ হয়নি।
তবে আমার মা আমাকে বেশ উৎসাহ দিতেন।
: এবার আপনার ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে যদি কিছু বলেন...
: কী আর বলব, টেলিফোন আবিস্কার করলাম আমি, অথচ সেই আমিই আমার স্ত্রীর সঙ্গে কোনদিন ফোনে কথা বলতে পারিনি।
: কেন. কেন? আপনাদের মাঝে কী খুব ঝগড়া হতো, তাই কথা বলা বন্ধ ছিল?
: না, তেমন কিছু না। আমার স্ত্রী ছিল বধির, কানে শুনতো না। সে ফোনে কথা শুনত না, বলবে আর কী?
: এবার টেলিফোন নিয়ে কিছু কথা বলুন?
: আমি মূলত টেলিগ্রাফ বিশেষজ্ঞ ছিলাম।
টেলিগ্রাফ নিয়ে কাজ করতে করতে একটা বিশেষ কলম আবিস্কার করলাম, যেটা দিয়ে ধোঁয়ার মধ্যে শব্দ তরঙ্গ দিয়ে লেখা যেত। এভাবে আস্তে আস্তে উদ্ভাবন করলাম কিভাবে শব্দকে তরঙ্গে আকারে এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় পাঠানো যায়। তবে এলিসা গ্রে কিভাবে কী করেছিল তা আমি জানি না। তোমরা এক কাজ করো, তারও একটা সাক্ষাৎকার নিয়ে নিও। তাহলে জানতে পারবে সে কিভাবে কি করেছিল।
: টেলিফোন তো এখন সারা বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে গেছে। সব ফোন যদি একসঙ্গে বাজে, তাহলে কী অবস্থা হবে, বলুন তো?
: তা আমি জানি না, তবে একটা ঘটনা আমি জানি। সেটা হল, আমেরিকার সব ফোন এক মিনিটের জন্য বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল।
: কেন, সব ফোন বন্ধ করার কারণ কী?
: দিনটি ছিল ১৯২২ সালের ২ আগস্ট। সেদিন আমি মারা গিয়েছিলাম, তাই আমার প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানাতে সব ফোন বন্ধ করে দেয়া হয়।
: আহারে, শুনে বেশ খারাপ লাগছে।
: থাক, মন খারাপ করে আর কী হবে। যা হবার তা তো হয়েই গেছে। এখন তবে যাই। মোবাইল জিনিসটা আমার খুব পছন্দ হয়েছে।
যাই, ইস্টার্ন প্লাজায় গিয়ে একটা ক্যামেরাসহ মোবাইল সেট কিনে নিয়ে আসি।
: আচ্ছা, আবার আসবেন..
: ঠিক আছে, আপনারা সবাই ভালো থাকবেন। বাই বাই...
:
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।