শাহবাগের প্রজন্ম চত্বরে স্লোগান দিতে দিতে হূদরোগে আক্রান্ত হয়ে না ফেরার দেশে চলে গেলেন তরুণ ব্লগার, কার্টুনিষ্ট, নাট্যকার ও পরিচালক তারিকুল ইসলাম শান্ত (৩৯)। আজ সোমবার বিকেল পৌনে চারটার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
তারিকুল ইসলাম শান্ত কার্টুনিষ্ট হিসেবে ভোরের কাগজে তাঁর কর্মজীবন শুরু করেন। পাশাপাশি উন্মাদ পত্রিকার সঙ্গেই ছিলেন শান্ত। কল্পদূত কমিকস ছিল তাঁর নিজস্ব উদ্যোগ।
নাট্যকার ও পরিচালক হিসেবেও তিনি কাজ করেছেন। তিনি প্রথম আলোর জ্যেষ্ঠ সহসম্পাদক শরিফুল ইসলাম ভুঁইয়ার ছোট ভাই।
কাদের মোল্লাসহ একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধীদের ফাঁসির দাবিতে শাহবাগে তারুণ্যের প্রতিবাদ আজ সোমবার ১৪তম দিনে গড়াল। প্রতিবাদী স্লোগান-গান আর আবৃত্তিতে আগুন ঝরছে তারুণ্যের কণ্ঠে। প্রজন্ম চত্বরে সংহতি জানাতে অন্য শিল্পীদের সঙ্গে তরিকুল ইসলাম শান্তও শাহবাগে ছিলেন।
গিয়েই উঠে পড়েন মঞ্চে। শুরু করেন দৃপ্ত কণ্ঠের স্লোগান। স্লোগান দিতে দিতে এক পর্যায়ে হূদরোগে আক্রান্ত হয়ে সেখানেই তিনি পড়ে যান। অন্যরা তাঁকে ধরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর সেখানে কর্তব্যরত চিকিত্সক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
একাত্তরের যুদ্ধাপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবির প্রতি সংহতি জানাতেই গিয়েই তরিকুল ইসলামের কণ্ঠ থেমে গেল।
স্লোগান মুখরিত শাহবাগ কিছুক্ষণের জন্য স্তব্ধতায় ঢেকে গেল।
শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্ডিয়াক বিভাগের প্রধান সজল ব্যানার্জী প্রথম আলো ডটকমকে বলেন, ‘তিনি হঠাত্ হূদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন। ’
একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ৫ ফেব্রুয়ারি কাদের মোল্লাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। ওই দিন বিকেল থেকে কাদের মোল্লাসহ একাত্তরের মানবতাবিরোধী সব অপরাধীর ফাঁসির দাবিতে শাহবাগে অবস্থান নেন ব্লগার অ্যান্ড অনলাইন অ্যাকটিভিস্ট নেটওয়ার্কের সদস্যরা। এরপর সেখানে সমাজের নানা শ্রেণী-পেশার মানুষ গিয়ে যোগ দেন।
(প্রথম আলো থেকে কপি-পেস্ট) ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।