আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ইহা একটি ইরোটিক গল্প এবং অবশ্যই ম্যাচিউরডদের জন্য।

কিছু নিজের লেখা আর কিছু নেট থেকে ঘষামাজ়া করা, কেউ অন্য কোথাও লিখতে চাইলে প্লিজ জানাবেন ©

রুপ চান মিয়া জন্মগত ভাবেই অন্ধ। কিন্তু অন্যান্য ইন্দ্রিয় অসম্ভব রকমের প্রখর,যেমন সূর্যের আলো মেঘের কোলে হারিয়ে গেলেও রুপ চান বলতে পারেন বেলা এখন দ্বিপ্রহর। বিলের পানিতে মাছের ঘাইয়ের কিন্চিত শব্দ শুনেও মাগুর না শিং মাছের ভেলকি তাও যাচাই করতে পারেন। গাঁয়ের লোকেরা হাটে বসে নানান কথা আরো রসালো করে ,ব্যাপারটা আজীবই বটে!!!! এই রুপচান যদি খায়েশ করেন গাও গেরাম ছেড়ে এবার ডেরা বানাবেন শহরের বাতানে। তাইলে তারে আর কে আটকাতে পারে।

রুপচান পুরুষ এবার শহরে সিদ্ধ হন। নানা কিসিমের আলামত জীবনের কৌটায় সাজাতে থাকেন। নবান্ন উৎসবে রুপচান মিয়ার মনে আকুলি করে একবার গ্রাম ঘুরে আসবেন। সাদা ছড়ি সাথে নিয়ে রীতিমত সওদাপাতি করেন। কিসমত মিয়ার শাড়ী সমাহারে প্রায়ই আসেন।

ঘ্রাণ শুকেই কাতান,বেনারসি,মিহিসুতোর দূরদেশ,জামদানি,জর্জেট কাপড়ের ফারাক যাচাই করেন। মনে মনে খায়েশ হয়, গ্রামে গিয়ে একটা কাপড়ের দোকান দিয়ে এইভার এক জায়গায় শিকড় মজবুত করেন। কিসমত মিয়া বেশ সেয়ানা পাবলিক, বয়সে বুড়া হলেও ব্যবসায় চাংগা। তার খায়েশ হয়,রুপচানরে একটু যাচাই করেন। এই বেটা নাক দিয়ে গন্ধ শুকেই সব কিছুর আলামত পায় ক্যামনে।

তাই কিসমত মিয়া যদি পুরানো আদ্দি কাপড় খদ্দেরের কাপড় বইলা গিট্টু বাঁধেন সাথে সাথেই রুপচান মুসকি হেসে কাপড়ের গিট্টু আলগা করে আদ্দি বাদ দিয়া খদ্দরের কাপড়ের গাট্টিতেই হাত রাখেন। কিসমত মিয়ার দুরুন্ধরি আরো বেশি। অনেক সময় নিজের বউয়ের ব্যবহার করা কাপড়ও পাইকারি ভাবে ক্রেতাদের ব্যাগে চালান করে দেন। তাই সময়ে সময়ে বউকে ,শালীকে নিত্য নতুন শাড়ি,ব্লাউজ,ইত্যাদি সাপ্লাই দিতে কুন্ঠা করেন না। আর বউ , শ্যালিকাও কিসমতের ওপর বেজায় খুশি।

কিসমত মনে মনে ভাবেন, একভাবে না পারলেও অন্যভাবেতো সংসার খুশি রাখতে হবে। কিসমত তার সুন্দরি বউ আর শ্যালিকার সাথে ব্যাপারটা নিয়ে কিন্চিত আলাপও করেন। পরদিন মালের নতুন অর্ডার দিতে রুপচান মিয়া কিসমতের দোকানে আসতেই, কিসমত মিয়া সহাস্যে বলেন, নতুন গার্মেন্টসের মাল এসেছে ঈদ উপলক্ষে। শ্যাম্পল হিসাবে শাড়ি, লুংগি, ব্লাউজ একে একে রুপচানের হাতে দেন। রুপচান কাপড়ের গন্ধ শুকে শুকে, হাত দিয়ে যাচাই করে শাড়ি, ব্লাউজ , লুংগি ইত্যাদির অর্ডার করেন।

এবার একটা প্যান্টি আর ব্রা নাকের কাছে নিয়েই রুপচান মিয়া বেশ পুলকিত হয়ে বলে ওঠেন,আরে শেফালির ব্রা আর প্যান্টি এই দোকানে এলো কী করে। কিসমত এবার ভালো করেই বুঝতে পারেন, গত সপ্তাহে চান প্রহরের রাইতে শেফালিকে যে রুপচানের সাথে এক রিকসায় দেখেছিলেন,তা অন্য সবাই ভুল দেখা বললেও ঘটনা চন্দ্র সুরুজের মতো সত্য। রুপচান হালায় সবি জানে,শুধু শেফালি যে কিসমতের বউ এটুকুই কি জানেনা। কিসমত এবার তেলে বেগুনে জ্বলে ওঠে, হারামজাদা তোর লগে ব্যবসার গুষ্টি কিলাই, আইজকা থেকে সব ব্যবসা বন্ধ। (এর আগে একটা কৌতুক ডিলিট খেয়েছিলো, ইহাই খাইতে পারে, অধমের করার কিছু নাই, বিনা পয়সায় খায়েশ মিটালে এর চেয়ে বেশী কিছু আশা কইরাও লাভ নেই।

) সবাইরে ঈদ মোবারক।


এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।