আিম একজন ছাত্র।
কুষ্টিয়ার চরমপন্থী দল গণমুক্তি ফৌজের প্রধান আমিনুল ইসলাম ওরফে মুকুল গত শনিবার ভারতের পশ্চিমবঙ্গের উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার বনগাঁও এলাকায় গ্রেপ্তার হয়েছেন। বনগাঁও মহকুমা পুলিশ তাঁর গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। গতকাল রোববার তাঁকে আদালতের মাধ্যমে পাঁচ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়।
বনগাঁও মহকুমা পুলিশের প্রধান (এসডিপিও) সমরেন্দ্র দাস গতকাল রোববার প্রথম আলোকে বলেন, মুকুলকে বনগাঁও অঞ্চলের একটি বিশেষ স্থান থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
তাঁর কাছ থেকে যেসব কাগজপত্র পাওয়া গেছে, তাতে তাঁর নাম নূরে আলম উল্লেখ রয়েছে। তবে পুলিশ নিশ্চিত হয়েছে, মুকুলের প্রকৃত নাম আমিনুল ইসলাম মুকুল।
সেখানকার পুলিশ সূত্র জানায়, গ্রেপ্তারের পর মুকুলকে বাগদা থানায় সোপর্দ করা হয়েছে। এই থানায় গণবাহিনীর সদস্য লাল হত্যা মামলা তদন্ত করছে। এর আগে গতকাল তাঁকে বনগাঁ মহকুমা বিচার বিভাগীয় হাকিমের আদালতে হাজির করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ডের আবেদন জানানো হয়।
আদালত তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
তবে গ্রেপ্তারের পর মুকুল দাবি করেন, তিনি বনগাঁর বাসিন্দা। এর সপক্ষে তাঁর কাছে কাগজপত্রও আছে। পুলিশ খতিয়ে দেখছে, মুকুল ভারতীয় নাগরিক, নাকি ছদ্মবেশে জাল কাগজপত্র তৈরি করে আত্মগোপন করে আছেন।
এর আগে ১৩ নভেম্বর গণবাহিনীর (লাল) প্রধান ওবায়দুল ইসলাম ওরফে লাল পশ্চিমবঙ্গের উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার বনগাঁ মহকুমার বাংলাদেশ সীমান্ত-লাগোয়া বাগদা থানার সীমান্ত এলাকা হেলেঞ্চায় প্রতিপক্ষ আজিবর বাহিনীর হাতে গুলিতে নিহত হন।
লালের মৃত্যুর খবর পাওয়ার পর তাঁর স্ত্রী নার্গিস বাংলাদেশ থেকে বেআইনি ও গোপন পথে সীমান্ত পার হতে গিয়ে ভারতের সীমান্তরক্ষীর (বিএসএফ) হাতে ধরা পড়ে এখন পুলিশি হেফাজতে রয়েছেন। বাগদা থানা বলেছে, নিহত লাল ছদ্মনামে এ থানার গাঁড়াপোতা এলাকার এক কুখ্যাত সমাজবিরোধীর আশ্রয়ে ছিল। ওই সমাজবিরোধীকেও পুলিশ খুঁজছে। লালের মৃতদেহ এখনো বনগাঁও হাসপাতালে পড়ে আছে। দুই দিন আগে চাচাতো ভাই পরিচয় দিয়ে এক ব্যক্তি লাশ নিতে চেষ্টা করেন।
কিন্তু আইনি জটিলতার কারণে লাশ হস্তান্তর করতে অপারগতা জানায় পুলিশ।
কুষ্টিয়া জেলা গোয়েন্দা শাখার একজন কর্মকর্তা প্রথম আলোকে জানান, কুষ্টিয়া অঞ্চলে সন্ত্রাসী বাহিনী মুকুল ও তাঁর সহযোগী শাহিনের উত্থান ঘটে চারদলীয় জোট সরকারের আমলে। ওই সময় মুকুল-শাহিনদের হাতে বলতে গেলে কুষ্টিয়ার নিয়ন্ত্রণ চলে যায়। কিন্তু তত্ত্বাবধায়ক সরকার ক্ষমতায় আসার পর দুজনেই ভারতে আশ্রয় নেন। এরপর সীমান্তের ওপার থেকেই নিজেদের কর্মকাণ্ড নিয়ন্ত্রণ করেন তাঁরা।
আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর ওই এলাকায় চাঁদাবাজি নিয়ে মুকুল-শাহিনের নেতৃত্বে গণমুক্তি ফৌজ আর আনোয়ার হোসেন ও আজিবর চেয়ারম্যানের নেতৃত্বাধীন জাসদ গণবাহিনী এ অঞ্চলে মুখোমুখি অবস্থানে চলে আসে। এ নিয়ে সেখানে একের পর এক খুনের ঘটনা ঘটতে থাকে। কুষ্টিয়া এলাকার সব সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ভারতে বসেই মুকুল ও তাঁর সহযোগী শাহিন নিয়ন্ত্রণ করতেন বলে জানা গেছে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।