সকল অন্ধকারের হোক অবসান
ট্রাফিক সিগানালিং-এ অটোমেশন আনা হয়েছে ভালো কথা। কিন্তু বাংলাদেশের কনটেক্সটে তা পুন:ভাবনার অবকাশ আছে। এই মুহুর্তে স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থাটি কেন ব্যর্ধ হলো সেটাই আমি বলার চেষ্টা করছি।
প্রথমত, ঢাকায় বহু জায়গায় রয়েছে রেলক্রসিং। এবং এসব ক্রসিং-এ কখন ট্রেন আসবে কখন যাবে তার কোনো ঠিক ঠিকানা নেই।
অতএব ক্রসিং-এ গেট পড়লে অটোমেটেড মেশিনে সবুজ বাতি জ্বললেও কিছু করার থাকে না। রেলগাড়ির গতি নিয়ে আর কি বলবো??
আরেকটি কারণ ঢাকার অলিগলি। সাবরোড তো আছেই। সেসসব জায়গা থেকে গাড়ি বড় রাস্তায় নামার জায়গাগুলোতে কোনো সিগনাল নাই। অতএব ছোট রাস্তা থেকে বড় রাস্তায় বেরোনোর আগে গাড়ির বিশাল জাম পড়ে যায়।
যার ধাক্কা পড়ে অন্য বড় রাস্তায়।
তৃতীয় কারণটি হচ্ছে মনস্তাত্ত্বিক। কারণ আমাদের ধৈর্যের বড় অভাব। গাড়ি বলি আর রিক্সা বলি। সবাই আগে যেতে চায়।
বোধ করি এটাই প্রধান সমস্যা।
শেষ সমস্যাটা হলো গাড়ির সংখ্যা এবং রাস্তার প্রশস্ততা। যতদিন পর্যন্ত এই দুটো জিনিসের একটা দফারফা না হবে ততদিন অটোমেটেড সিস্টেম এপ্লিকেবল হবে কিনা তা ভাবার অবকাশ আছে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।