তবু সে তো স্বপ্ন নয়, সব-চেয়ে সত্য মোর, সেই মৃত্যুঞ্জয়
কারণঃ
(১) যুক্তরাষ্ট্রের মত দেশেও, যেখানে আইনকে প্রভাবশালীরা বেশি পেঁচাতে পারেন না, দেখা গিয়েছিল ১০% মামলায় চরম দন্ডিত আসামী আসলে নির্দোষ ছিল। অবশ্য আত্মস্বীকৃত খুনীদের বেলায় এই অনিশ্চয়তা কম (কিন্তু শূন্য নয়,কারণ অনেক পাগল আছে)। দণ্ডটির বিধান থাকলে এই ভুল হওয়ার সম্ভাবনা থেকে যায়, যে ভুল সংশোধনের অতীত। ফলে সেদেশে এখন অনেক অঙ্গরাজ্যেই চরম দণ্ডটি রহিত।
এদেশে রিমান্ডে নিয়ে অত্যাচার করে নিরপরাধ লোকের কাছ থেকেও খুনের স্বীকৃতি নেয়া সহজ, এবং অনেক ক্ষেত্রেই তা হয়।
(২) এই দণ্ড খুনখারাপী কমিয়ে দেয়, এমন কোন প্রমাণ নেই। সউদি আরবে, যেখানে জুম্মার পরে প্রকাশ্যে শিরচ্ছেদ একটা জাতীয় বিনোদন, সেখানে খুনের সংখ্যা ইউরোপের অনেক দেশের চাইতে বহুগুণ দেশী, যদিও সে-সব দেশে প্রাণদণ্ড উঠিয়ে দেয়া হয়েছে।
(৩) চোখের বদলে চোখ, দাঁতের বদলে দাঁত - এই মধ্যযুগীয় জীবনদর্শন থেকে মানুষ এগিয়ে গেছে। অপরাধ যাতে সংঘটিত না হয়, তেমন শিক্ষা প্রক্রিয়ার ভিতর দিয়ে সামাজিকভাবে গ্রহণযোগ্য নাগরিক গড়ে তোলাই রাষ্ট্রের প্রধান দায়িত্ব। নিজের সামস্টিক ব্যর্থতা ব্যক্তির ঘাড়ে পুরো চাপিয়ে প্রতিশোধ নেয়া অনৈতিক।
বিশেষ কোন মামলার পরিপ্রেক্ষিতে এসব মন্তব্য করছি না। শুধু প্রসঙ্গটা উঠল বলেই এই পোস্ট।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।