পতাকায় ফালগুন মানচিত্রে বসন্ত
শিরোনামস্ব কথাটি আমার নয়, কাহার যেন তাও ভুলিয়া গিয়াছি। তবে বাক্যটি মনে দাগ কাটিয়া বহাল তবিয়তে বাসা বাধিয়া বহিয়াছে। থাকার কারণও যে নাই তাও নয়। কারণ ঘরের ভেতরে তেলাপোকারা যে ভাবে অত্যাচার শুরু করিয়াছে তাহাতে বড়ই চিন্তায় নিপতিত হইয়াছি।
শিশু তেলাপোকার ভিড়ে বুড়ো-বুড়ি, যুবক-যুবতি, কিশোর-কিশোরী পেকারা দিন-রাত খেলায় মাতিয়া রহিয়াছে।
এরা যে কী খায় কেমনে বাঁচিয়া থাকিতেছে, বড় হইতেছে, যৌবনতৎ হইতেছে তাহা লইয়া একবার গবেষণার মনস্ত করিয়াছিলাম কিন্তু আমার সামান্য খাদ্য জোগাড় করিতে যাইয়া যে বিপদের মধ্যে পতিত হইয়াছি তাহাতে ওই পথ হইতে ফিরিয়া আসা ছাড়া কোন উপায় পায় নাই। যাক যে সব কথা।
বেশকিছু দিন যাবত ইহারা যে ভাবে ভালোবাসার প্রকাশ ঘটাইতেছে তাহাতে কিঞ্চিত লজ্জা বোধ করিতেছি। ইহাদের ভালোবাসার দৃশ্য বাংলা সিনেমাকে হার মানাইয়া এখন রগরগা কালচারে গিয়া ঠেকিয়াছে। আপনারও নিশ্চয় বিষয়টি অনুধাবন করিতে পারিবেন।
কারণ আপনার গৃহকোনে ইহারা যে নাই তাহা বলিতে পারিবেন না।
দেয়ালঘেষা ভালোবাসার দৃশ্য তাও হজম করিয়াছিলাম কিন্তু অদ্য ঘটিয়াছে আরেক ঘটনা। সকালে শীত-শীত অনুভূত হইয়াছিলো; তাই গোসল সারিয়া পুরাতন একটি ফুল-শার্ট গায়ে চাপাইবার চেষ্টা করিতে যাইয়া দেখি, তাহাদের বিষ্ঠায় জামাটি এক অভূত দৃশ্য ধারণ করিয়াছে। তখন আমার মনের কোনে ভ্যানগগের একটি চিত্রকর্ম নাড়া দিয়া উঠিয়াছিলো এবং নতুন এক গন্ধে ঘরটি দূর-দূর করিতেছিল।
তাহাও সমস্যা ছিলো না।
জামাটি গায়ে চাপাইয়া দেখি, পিছনে কে যেন ফ্রি-ফ্রি সুড়সুড়িতে ব্যস্ত হইয়াছে। সমস্য সেখানেও নয় তবে এই সুড়িজনিত কারণে আমাকে যে পরিমান নাচিতে হইয়াছে তাহা এই সামান্য ব্লগে বর্ণনা করা যাইতেছে না। তাই এডিট করিয়া কিঞ্চিত গোচর করিলাম।
ভবিষ্যতে যেন আপনাদের নাচিতে না হয় সেদিকে খেয়াল রাখিবেন। তবে দেয়ালঘেষা ভালোবাসায় মাখামাখিতে যাহারা ব্যস্ত ইহাদের বিরক্ত না করাই ভালো।
কারণ ইহাদের কাছ থেকে ভালোবাসা শিখিবার অনেক কিছুই পাইবার গ্যারান্টি রহিয়াছে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।