বাংলার মাটি বাংলার জল, বাংলার বায়ু, বাংলার ফল, পুন্য হউক, পুন্য হউক, পুন্য হউক, হে ভগবান। বাংলার ঘর, বাংলার হাট, বাংলার বন, বাংলার মাঠ, পুর্ন হউক, পূর্ন হউক, পূর্ন হ্উক, হে ভগবান। রবীন্দ্রনাথ
থানার বাইরে একটা ২০০৭ মডেলের নিসান সেনট্রা পার্ক করা। রাত বলেই রংটা ঠিক বোঝা গেল না। তবে বোঝা যায়-ঝকঝকে নতুন।
ওরা উঠে বসতেই ড্রাইভার গাড়ি স্টাট দিল। ক্লান্তিতে রেজার শরীর ভেঙ্গে আসছিল। সেই সঙ্গে ভীষণ ঘুম পাচ্ছিল ওর । আজ দুপুর থেকে ঘটে যাওয়া দুঃসহ স্মৃতিটুকু যত দ্রুত সম্ভব মুছে ফেলতে চায় ও। রেহানের দিকে তাকাল।
আলো আঁধারিতে ওকেও বিধ্বস্ত লাগছে। প্রায় ফিসফিস করে জিজ্ঞেস করল রেজা, কাকলীকে কে -কথা শেষ হল না।
রেহান চাপাস্বরে বলল, জামিল।
জামিল মানে কাকলীর হাজব্যান্ড? রেজা অবাক।
হ্যাঁ।
রেহান বলল, আজ বিকেলে রমনা থানায় কনফেস করেছে জামিল। বাস্টার্ড!
ওহ্ ।
গাড়িটা বড় রাস্তায় উঠে এসেছে। রাস্তায় আলো ও অন্ধকারের মিশেল। ক’টা বাজে এখন? অন্ধকারে ঘড়ি দেখতে ইচ্ছে করল না রেজার।
শরীরটা অবশ হয়ে আছে ওর। জিজ্ঞেস করল, কী হয়েছিল?
রেহান বলল, কী আর হবে। বিয়ের পর জামিলের সঙ্গে কাকলীর অ্যাডজাস্ট হয়নি। মাস দুয়েক ধরে আমাদের এখানেই ছিল। মা-বাবা আমেরিকায়, তানিয়ার কাছে।
আজ সকালে সোমাকে নিয়ে কলাবাগানে ওর বাপের বাড়ি গিয়েছিলাম। বাড়ি ফাঁকা ছিল। এই সুযোগে বাস্টার্ডটা এসে ...কথা শেষ করল না রেহান।
রেজা চুপ করে থাকে। দীর্ঘশ্বাস ফেলে।
ভাগ্যিস কাকলীর হাজব্যান্ড পুলিশের কাছে দোষ স্বীকার করেছে। নইলে ...ভাবতেই ও কেঁপে ওঠে।
রেহান বলল, সরি রেজা, তোর ওপর অনেক ঝড়-ঝাপটা গেল।
না, না। তোর সরি করার কি আছে।
বলে রেজা ক্ষাণিকক্ষণ চুপ করে থাকল। তারপর হঠাৎ বলল, ড্রাইভার সাহেব, গাড়ি থামান। আমি নামব।
রেহান জিজ্ঞেস করে, এখানে কই যাবি তুই? ওর কন্ঠস্বরে বিস্ময়।
কাজ আছে।
গাড়িটা ততক্ষণে থেমেছে। রেজা দ্রুত বেরিয়ে আসে। গাড়ির ভিতরে অসহ্য লাগছিল ওর।
রেহান বলল, ফোন করিস রেজা।
রেজা মাথা নাড়ল।
দ্রুত হাঁটতে থাকে। মধ্যরাত বলেই শহরটা নিস্তব্দ হয়ে আছে। ফুটপাতে নিয়ন আলো। বস্তা জড়ানো ঠিকানাহীন মানুষের ঘুম। ঘুম রেজারও পাচ্ছে ভীষণ।
এখন কোথায় যাওয়া যায়? ঘুমানো যায়? আসলে কোথাও যাওয়ার নেই ওর। আজ দুপুরে বীণা আপার কথাগুলি মনে পড়ল: তোর বড় দুলাভাইয়ের বোনের ছেলে এসে আমাদের এখানে কিছুদিন থাকবে। তুই বরং কিছু দিন অন্য কোথাও গিয়ে থাক রেজা।
বসার ঘরে বসে টিভি দেখছিল রেজা। বীণা আপার কথাটা শোনামাত্রই
উঠে দাঁড়াতে দাঁড়াতে বলল, আরে, তোমাকে তো বলাই হয়নি আপা।
কি বলা হয়নি? মুখচোখ দেখেই বোঝা যাচ্ছে বীণা আপা ভীষণ অবাক হয়েছেন।
প্রায় দরজার কাছে পৌঁছে রেজা বলল, আমি একটা চাকরি পেয়েছি।
তুই চাকরি পেয়েছিস! কোথায়? বীণা আপার চোখ ছানাবড়া।
পরে বলব। বলে রেজা দ্রুত ঘরের বাইরে বেড়িয়ে আসে ।
তারপর দুদ্দাড় করে সিঁড়ি বেয়ে নিচতলার গেটের বাইরে। রাস্তায় ঝরঝরে রোদ। নীল আকাশ। সুন্দর একটা দিন। সুন্দর একটা দিনে আমি আমার সর্বশেষ আশ্রয় হারালাম।
ও ম্লান হাসল। ঘড়ি দেখল । ১টার মতন বাজে। এখন কোথায় যাওয়া যায়? শুক্রবার, রাস্তায় লোকজন কম। একটু পর খিদে পাবে।
শেষ বারের মতন বীণা আপার বাড়ি এক প্লেট ফ্রি ভাত খেয়ে নিলে হত। পকেটে পয়তাল্লিশ টাকা।
মোড়ের ভাতের হোটেলে ঢুকতে যাবে ঠিক তখনই একজন বৃদ্ধ এসে রেজার সামনে দাঁড়াল। বৃদ্ধের মাথায় সাদা টুপি; চোয়াল ভাঙ্গা তামাটে রঙের মুখে পাকা দাড়ি। পরনে লুঙ্গি আর খয়েরি পাঞ্জাবি।
হাতে একটা লাঠি। বৃদ্ধের বয়স ষাট ছাড়িয়ে যাওয়ার কথা। চোখমুখ দেখলেই বোঝাই যায় ক্ষুধার্ত।
কিছু খাওয়ান বাবা।
রেজা বলল, আসেন।
আজ থেকে আমার ঠিকানা রাস্তায়, এরাই এখন আমার নিত্যসঙ্গী। এদের সামান্য সেবাযতœ করাই যায়।
রেজার পিছন পিছন বৃদ্ধ হোটেলে ঢুকল। পয়তাল্লিশ টাকায় দুজনের খাওয়া হবে না। ভাত-ডালের অর্ডার দিয়ে, টাকাটা টেবিলের ওপর বৃদ্ধের সামনে রেখে হোটেল থেকে রাস্তার রোদে বেরিয়ে এল ও।
পকেটে এখন শূন্য টাকা। একটু পর খিদে পেলে কি হবে কে জানে। রোদের ভিতরে হাঁটছিল। ফোনটা তখন থেকেই বাজছিল। বীণা আপা: চাকরির খবর জানতে চায়।
রেজা মুচকি হাসে। ফোন রিসিভ করে না। বরং জীবনানন্দের কবিতার একটি লাইন মনে মনে আবৃত্তি করে:
“পৃথিবীতে নেই কোনও বিশুদ্ধ চাকরি। ”
হঠাৎই রাস্তার পাশে রেহানদের ঝকঝকে চালতলা বাড়িটায় চোখ আটকে গেল ওর। অনেক দিন দেখা হয় না রেহানের সঙ্গে।
এক সঙ্গেই পড়ত, বছর দুয়েক আগে পাশ করে একটা কন্সালটেন্সি ফার্মে জয়েন করেছে রেহান । আজ শুক্রবার, বাসায় থাকার কথা। রেজার কাছে মোবাইল থাকলেও শূন্য ক্রেডিট। যাই তো আগে। মোবাইল যুগের আগে ফোন না-করেই তো ও বাড়ি যেতাম।
রেহানদের ফ্ল্যাটটা চারতলায় । রেজা উঠতে থাকে। অল্প অল্প খিদে টের পাচ্ছে। কলিংবেল চাপার সময় চোখে পড়ল দরজাটা খোলা। কলিংবেল না চেপে ও ভিতরে ঢোকে।
কত এসেছে এ বাড়িতে। বসার ঘরটায় কেউ নেই। নিঃশব্দে টিভি চলছে। ‘রেহান’ বলে ডাক দিল একবার। সাড়াশব্দ নেই।
কেউ নেই নাকি। দরজা খোলা কেন?
হঠাৎই ও সিঁড়িতে অনেকগুলি জুতার শব্দ শুনতে পেল। কি ব্যাপার? ছ-সাত জন পুলিশ হুড়মুড় করে ঘরে ঢুকল । রেজা থতমত খায়। একজন পুলিশ অফিসার জিজ্ঞেস করল, আপনি?
আমি ... আমি হুমায়ূন রেজা।
এখানে কি করছেন!
এটা আমার বন্ধুর বাড়ি ...
কয়েকজন পুলিশ ভিতরে ঢুকে যায়।
কাকলী কে চেনেন?
হ্যাঁ। রেহানের বোন।
সে খুন হয়েছে জানেন?
কী! রেজা চমকে ওঠে। কাকলী খুন হয়েছে মানে-মুহূর্তেই সারা শরীর ওর ভিজে যায়।
পুলিশ অফিসার বলল, হ্যাঁ। একটু আগে একজন ফোন করে থানায় বলল।
একজন পুলিশ বেরিয়ে এসে বলল, ডেডবডি ভিতরে স্যার।
কি অবস্থা?
সিলিং থেকে ঝুলতেছে।
ওকে।
কিছু টাচ করবা না। ফিঙ্গারপ্রিন্ট নিতে হবে। বলে পুলিশ অফিসারটি রেজার দিকে তাকিয়ে বলল, আপনি আমাদের সঙ্গে চলুন।
কোথায়?
আহ্, এত প্রশ্ন করবেন না।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের পরে ওরা যখন রেজাকে হাজতে পাঠিয়ে দিল তখনও দিনের আলো ছিল।
সেলটা ছোট। তবে ভিতরে লোকজন বেশি নেই। দেওয়ালে পিঠ ঠেকিয়ে বসল। সারা শরীর কাঁপছিল। কী কুক্ষণে গিয়েছিলাম রেহানদের বাড়িতে।
কাকালী খুন হয়েছে বলল। কাকলীকে খুন করল কে? ফুটফুটে মেয়ে, সদ্য বিয়ে হয়েছে, স্বামী ডাক্তার। আঠারো বছর বয়েসে ষোল বছরের কাকলীকে চুমু খেয়েছিল রেজা। ঐ পর্যন্তই ...
হঠাৎ চোখে পড়ল সেই বৃদ্ধ। মাথায় সাদা টুপি; চোয়াল ভাঙ্গা তামাটে রঙের মুখে পাকা দাড়ি।
পরনে লুঙ্গি আর খয়েরি পাঞ্জাবি। হাতে একটা লাঠি।
আপনি এখানে? রেজার কাছে নিজের কন্ঠস্বর কর্কস ঠেকল।
হ বাবা। আমারে রাস্তা থেকে ধইরা ভ্যানে তুলছে ।
ও। কেন ধরল ?
তা তো কইতে পারি না বাবা।
ও, কাকতালীয়। রেজা চুপ করে থাকে। মাঝেমাঝেই এমন উটকো লোকে ধরে আনে।
সিগারেট খেতে ইচ্ছে করছে। উপায় নেই। খিদে নেই অবশ্য। অফিসাররা দুপুরে নান আর রুটি কাবাব খাইয়েছে। আর কোক।
ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ত শুনে ব্যবহার খারাপ করেনি। রেজার কথা অবশ্য বিশ্বাস করেনি। সাব ইনসপেক্টার লোকটা বেশ ভদ্র। কথায় কথা বেরিয়ে গেল থানার সাব ইনসপেক্টার মনিরুজ্জামন বড় দুলাভাইকে চেনে। হঠাৎ কানে এল বৃদ্ধ গুনগুন করে গাইছে-
আপন ঘর আপনি ঘড়ি
আপনি করে রসের চুরি
ঘরে ঘরে;
আপনি করে মেজিস্টারী
আপনি পায়ে বেড়ী পড়ে।
সাঁইর লীলা বুঝবি ক্ষ্যাপা কেমন করে।
গানটা রেজার চেনা। অনেকবার শুনেছে। প্রতি বছর একবার কুষ্ঠিয়া যায় ও। রেজা বৃদ্ধর দিকে তাকাতেই বৃদ্ধ বলল, খান।
কি!
বিড়ি খান।
বিড়ি?
হ, বিড়ি।
এখানে?
খান অসুবিধা নাই। এহানের সবাই আমার পরিচিত।
পরিচিত মানে?
এইখানে আমারে অনেকবার ধরে আনছে।
ওহ। রেজা বিড়ি নেয়। ধরায়। শখ করে জিনিসটা প্রায়ই খায়। বিড়ি ধরাল ও।
জিজ্ঞেস করল, আপনার কি নাম?
আমার?
হ্যাঁ আপনার।
লোকে আমারে কয় আরশী মিঞা।
আরশী মিঞা?
হ বাবা। আরশী মিঞা।
এরপর আর কথা জমে নি।
চুপচাপ বিড়ি টানতে টানতে রেজা ওর আপন ভাবনায় ডুবে গিয়েছিল।
তারপর অনেক রাতে সেলের ভারী দরজাটা সশব্দে খুলে গিয়েছিল।
রেজা? রেহান-এর কন্ঠস্বর।
হ্যাঁ।
বাইরে আয়।
রেজা বেরিয়ে এসেছিল।
রেজা হাঁটতে থাকে। তাঁর খুব ক্লান্ত লাগছিল। ফুটপাতের ওপরই শুয়ে পড়তে ইচ্ছে করছিল। আকাশের দিকে তাকাল।
মিটিমিটি নক্ষত্রের মাঠ। নিচে মধ্যরাতের নিস্তব্দ একটি শহর; যে শহরের ভঙ্গিটা খুব নিরীহ ... যেন কাকলীরা এ শহরে খুন হচ্ছে না, যেন সে খুনের দায়ে অন্যরা ফেঁসে যাচ্ছে না। অপরাধী শহরের ফুটপাতে নিরপরাধ নিয়ন আলো ... যেন তার ফ্যাকাসে আলোয় বস্তা জড়ানো ঠিকানাহীন মানুষজন ঘুমিয়ে নেই ... যেন রেজাও পালাতে চাইছে না এই ভীষণ অপরিচিত শহর থেকে ... যেন ওর ভীষণ ঘুম পাচ্ছে না ।
কিন্তু এখন কোথায় যাওয়া যায়?
সব ভুলে ঘুমানো যায়?
আসলে কোথাও যাওয়ার নেই ওর।
হঠাৎ চোখে পড়ল সেই বৃদ্ধ।
আরশী মিঞা। ফুটপাতের ওপর বসে । বসে থাকার ভঙ্গিটা এরই মধ্যে পরিচিত হয়ে উঠেছে। আশ্চর্য! রেজা দ্রুত এগিয়ে যায়। আপনি এখানে?
হ বাবা, আমি ।
দয়ামায়া কইরা ছাইড়া দিল। বলতে বলতে বৃদ্ধ উঠে দাঁড়াল। ছেড়ে দিল? কেন?
জানি না।
রেজা খানিকটা কর্কস কন্ঠে বলল, আপনি কে বলেন তো?
আমি বুড়া মানুষ বাবা। রাস্তায় রাস্তায় ভিক্ষা করি।
রেজা সামান্য হাঁপাচ্ছে। সত্যি করে বলেন তো আপনি কে?
আমি বুড়া মানুষ বাবা। নেন বিড়ি খান একডা।
বিড়ি? কি মনে করে বিড়ি নিয়ে ধরাতে ধরাতে রেজা জিজ্ঞেস করল, আপনে থাকেন কই?
কাছেই বাবা।
ও।
আমার সঙ্গে যাইবেন বাবা? আরশী মিঞার কন্ঠে দরদ উথলে পড়ে।
কোথায়?
যেখানে গেলে নিশ্চিন্তে ঘুমান যায়।
রেজা অবাক। ওর যে ঘুম পাচ্ছে, বৃদ্ধ তা জানল কি করে। এত কিছু ভাবার সময় কই।
ঘুমের তৃষ্ণায় শরীর রীতিমতো কাঁপছে। বলল, চলেন।
বিড়ি টানতে টানতে বৃদ্ধর পাশে পাশে হাঁটতে থাকে রেজা। বৃদ্ধের হাবভাব কেমন যেন, দেহাতীত। আসলে কে এই বৃদ্ধ? সবটা রেজা এখুনি জানতে চায় না।
বৃদ্ধ গুনগুন করে গাইছে-
শাঁই আমার কখন খেলে কোন্ খেলা
জীবের কি সাধ্যি আছে তাই বলা?
গান শুনতে শুনতে হাঁটছে রেজা। বাঁ দিকে একটা গলিমুখ। ভিতরে আবছা অন্ধকার। কিছুদূর হেঁটে গেলে রাস্তার আলোও পেল। এক পাশে বড় ড্রেন ।
সেই দুর্গন্ধ। একটা রিকশা চলে গেল টুংটাং করে। একপাশে নৌকার ছৈয়ের মত পলিথিন মোড়ানো সার সার ঘর। সেই রকম একটা ঘরের সামনে দাঁড়াল আরশী মিঞা। বলল, এই হইল আমার বর্তমান নিবাস।
আসেন।
রেজা ভিতরে ঢোকে। রাস্তার আলো পড়েছে। মেঝেতে চট পাতা। ভিতরে দুর্গন্ধ নেই, বরং আতরের হালকা গন্ধ পাচ্ছিল।
আহ্, এই আমার ঘুমের ঘর। ঘুমে আর ক্লান্তিতে শরীর ভেঙ্গে আসছিল ওর। ও আর দ্বিধা করে না বরং চটের ওপর টান টান হয়ে শোয়। চোখ বোজে। অন্ধকারে বীণা আপার মুখ।
কী যেন বলছেন। ছবিটা জোর করে তাড়িয়ে দেয়। রেহানদের বাড়ি। সিঁড়ি বেয়ে উঠছে। ছবিটা জোর করে তাড়িয়ে দেয়।
একটা ঘরে ক’জন মানুষ। নানা কথা জিজ্ঞেস করছে তারা । ছবিটা জোর করে তাড়িয়ে দেয়।
কেবল আরশী মিঞাকে গুনগুন করে গান গাইতে শোনে সে-
দয়ার বাবা কিবলা কাবা আয়নার কারিগর
আয়না বসায়া দে মোর কলবের ভিতর।
রেজার দুচোখে ঘুম।
ঘুমের আগে নিশ্চিন্ত হল সে ...অনেক কাল পর সে ঠিকঠিক জায়গায় পৌঁছে গেছে। অনেক অনেক দিন ধরে এমন একটা আতরগন্ধী আবছা অন্ধকার
জায়গায় পৌঁছতে চেয়েছে ও। যেখানে রেহান- কাকলী-বীণা আপা-বড় দুলাভাই কিংবা থানা-পুলিশ-দারোগা নেই। জিজ্ঞাসাবাদ নেই। কাকলীর ডেডবডি নেই ... গভীর ঘুমে তলিয়ে যাওয়ার আগে টের পেল সেরকম একটি জায়গায় আজ এই মুহূর্তে পৌঁছে গেছে সে ...
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।