কুড়িগ্রামে হাতিয়া গণহত্যা দিবস পালিত
ও স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ কাজ উদ্বোধন
কুড়িগ্রামে পালিত হয়েছে হাতিয়া গণহত্যা দিবস। শুক্রবার স্বাধীনতার ৩৮ বছর পর হাতিয়ায় গণহত্যায় শহীদদের স্মরণে স্মৃতিফলক নির্মাণের কাজ উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক মো: আসাদুজ্জামান। ১৯৭১ সালের ১৩ নভেম্বর পাকসেনা ও তাদের দেশীয় দোসররা সম্মিলিতভাবে কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলার হাতিয়ার ৫টি গ্রামে গণহত্যা চালায়। শহীদ হয় ৬শ’ ৯৭ জন নিরস্ত্র মানুষ।
শুক্রবার সকালে হাতিয়া বাজার সংলগ্ন মাঠে হাতিয়া গণহত্যা দিবস উপলক্ষে মিলাদ মাহফিল, স্মৃতি ফলক উদ্বোধন ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
উলিপুর ইউএনও আব্দুর রফিকের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক মো: আসাদুজ্জামান, উপজেলা চেয়ারম্যান এম কফিল উদ্দিন, উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আব্দুল মজিদ হাড়ি, মুক্তিযোদ্ধা আমিনুল ইসলাম প্রমূখ। এসময় সেদিনের ভয়াবহ নৃশংসতার স্মৃতি চারণ করেন হাতিয়া গণহত্যায় গুলিবিদ্ধ হয়ে বেঁচে যাওয়া বাবর আলী, মুক্তিযোদ্ধা মিজানুর রহমান।
১৯৭১’র এই দিনে গ্রামের শান্তিকামী মানুষ রমজানের সেহেরী খেয়ে যখন ঘুমিয়ে পড়ে, ঠিক তখনই পাকসেনারা ঘুমন্ত মানুষের উপড় অতর্কিতভাবে চারদিক ঘিরে ফেলে নির্বিচারে গুলি চালিয়ে হত্যাযজ্ঞ চালায়। পাশ্ববর্তী দাগারকুটি, নীলকন্ঠ, বাগুয়া ও মন্ডলের হাট গ্রামের মানুষকে দাগারকুটি গ্রামে জড়ো করে হত্যা করা হয়। দাগারকুটি গ্রামেই ৬শ’ ৯৭ জন নিরীহ গ্রামবাসীকে গণকবর দেয়া হয়।
গণকবর ও স্মৃতি স্তম্ভটি ইতিমধ্যেই ব্রহ্মপুত্রের ভাঙনে বিলীন হয়েছে। তাদের স্মৃতি রায় এলাকাবাসীর দাবীর প্রেক্ষিতে হাতিয়া বাজারের পাশে মুক্তিযোদ্ধা মিজানুর রহমানের দানকৃত ২শতক জমিতে স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।