আমি বিরাট আইলসা
গ্রামে গ্রামে বেশ সাড়া পড়ে গেল, সবদিকে একই আলোচনা চলছে। এটা আবার কেমন কথা, গালাগালির প্রতিযোগিতা!!!
শুধু তাই না, প্রতিযোগীরাও বেশ আকর্ষনীয় ও বিস্ময়কর। এক পক্ষে আছে গঞ্জের বাজারের এক বুড়ি আর আরেক পক্ষে এক মাওলানা। দিন তারিখ ক্ষণ সব ঠিক হয়ে গেছে।
এলাকার অধিকাংশ লোকই মাওলানা সাহেব কে ভক্তি শ্রদ্ধা করে, তার এরকম কান্ড দেখে কিছু লোক ভাবলো যে ‘মাওলানা সাহেব কে আমরা এতো ভালো মনে করি আর তিনি কিনা এরকম একটা কাজ করলেন?’।
আর কিছু লোক ভাবলো ‘মাওলানা সাহেব নিশ্চয়ই কোন গূঢ় কারণে এরকম করছেন’। আর যারা তাকে সহ্য করতে পারে না তারা মহানন্দে বিভিন্ন কিছু বলে বেড়াতে লাগলো। মোটামুটি এলাকার সবাই এই বিষয় নিয়ে মেতে উঠলো আর নিজস্ব চিন্তাভাবনা ছড়াতে লাগলো।
আস্তে আস্তে দিন ঘনিয়ে এলো, বড়সড় করে মঞ্চ বানানো হয়েছে। ঘটনার দিন সকাল থেকেই লোকে লোকারন্য।
গ্রামের মাতবর দের জন্য বসার বিশেষ ব্যবস্থা করা হয়েছে। বাকিদের জন্য ময়দান উম্মুক্ত করে দেয়া হয়েছে।
উপস্থিত লোকদের হর্ষধ্বনি, প্রতিযোগীরা হাজির। একজন উপস্থাপকও আছেন। তিনি ঘোষণা করে দিলেন যে প্রথমে বুড়ির গালাগালির পালা।
বুড়ি তার গালাগালির ভান্ডার উজাড় করে দিলো। তার যে পেশা তাতে এটা তার কাছে খুবই সহজ একটা ব্যাপার। গালাগালির বহর শুনে উপস্থিত লোকেদের অনেকেই কানে হাত চাপা দিলো আর কিছু লোক হাততালি দিয়ে উৎসাহ দিলো।
অনেকক্ষন মনের সুখে গালাগালি করে বুড়ি হাপিয়ে উঠলো এবং বললো যে সে তার অংশ শেষ করেছে। উপস্থাপক এবার মাওলানা সাহেব কে শুরু করতে বললেন।
মাওলানা সাহেব উঠে দাঁড়িয়ে বুড়ি কে বললেন “তুমি আমাকে যত গালি দিলা, তুমি নিজে সারা জীবনে যত গালি শুনছ, যত গালি শুনবা, দুনিয়াতে যত ভাষায় যত গালি আছে আর যত গালি ভবিষ্যতে আবিষ্কার হবে সমস্ত গালি একটা পোটলা বানায়া আমি তোমাকে দিয়া দিলাম”।
আরো পড়েন
ধূমপায়ী ভদ্রলোক
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।