আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কাশির সঙ্গে রক্ত আসার কারণ

কাশির সঙ্গে রক্ত, যা ফোঁটা ফোঁটা বা সরু রক্তের দাগ থেকে শুরু করে প্রচুর পরিমাণ রক্ত আসতে পারে। যাকে মেডিক্যালের ভাষায় Haemoptysis বলে। কাশির সঙ্গে রক্ত দেখা দিলে কখনো কখনো ফুসফুসে জটিলতা সন্দেহ করা হয়। যেমন ফুসফুসের ক্যান্সার। সঠিক চিকিৎসায় রোগ পুরোপুরি নিমর্ূল করা সম্ভব।

যেমন- এ রোগ প্রাথমিক অবস্থায় ধরা পড়লে ৬ মাসের ওষুধ খেলে সম্পূর্ণ ভালো হয়। নিম্নলিখিত কারণে কাশির সঙ্গে রক্ত যেতে পারে : ব্রংকাইটিস, * ফুসফুসে ক্যান্সার, * যক্ষা, * ব্রংকিয়েকটেসিস, * ফুসফুসে ফোঁড়া, * পালমোনারি থ্রামোএম্বলিজম, িহার্টের বাল্বের সমস্যা, িহার্ট ফেইলার, * অন্যান্য কারণেও কাশির সঙ্গে রক্ত যেতে পারে। যেমন- বুকে আঘাতজনিত কারণে, বিভিন্ন ধরনের ভাসকুলাইটিস, যেমন- (পালমোনারি শিরা-ধমনীর জটিলতা), রক্তের বিভিন্ন ধরনের রোগের কারণ যেমন- হেমোফিলিয়া, ওষুধের কারণে যেমন- ওয়ারফেরিন, ব্যথানাশক ওষুধ, মহিলাদের ক্ষেত্রে প্রতি মাসে ঋতুস্রাবের সময়ও কাশির সঙ্গে রক্ত যেতে পারে যাকে বলে ক্যাটামেনিয়াল হেমোপটেসিস। প্রথমে কাশি বা বমির সঙ্গে নাকি নাক, কান ও গলার কোনো কারণে রক্ত যায় তা সঠিকভাবে নির্ণয় করতে হবে। হঠাৎ করে কাশির সঙ্গে রক্ত যাওয়া থেকে হার্টফেইল হতে পারে।

ক্রমাগত কাশির সঙ্গে বা মাঝে মাঝে রক্ত যায় তাহলে ফুসফুসে ক্যান্সার সন্দেহ করা হয়। লক্ষণ দেখে সতর্ক হতে হবে।

রোগের লক্ষণ : বয়স ৪০ এর বেশি, দীর্ঘদিনের কাশি, মাঝে মাঝে হাল্কা রক্ত যাওয়া, দীর্ঘদিনের ধূমপানের অভ্যাস, অল্প পরিমাণ শ্লেষ্মাযুক্ত কাশি এবং আপনাআপনি রক্তপড়া বন্ধ হয়ে যায়। তাহলে সন্দেহ করা হয় ক্রনিক ব্রংকাইটিস। ধূমপানজনিত কারণে কাশি, প্রথম শুকনা পরে হঠাৎ করে কাশির প্রকৃতি পরিবর্তন এবং তার সঙ্গে রক্ত ক্রমাগত বেড়ে যায়, শিল্প কারখানায় কাজ করা, দীর্ঘদিনের ধূমপানের অভ্যাস কারণে কাশি, সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর প্রচুর কাশি, সঙ্গে প্রচুর রক্ত যাওয়া, আগে কোনো ফুসফুসে প্রদাহ বা যা রোগ, শ্বাসনালীতে সিমের বীচি, পুঁতির দানা ইত্যাদি ঢোকার কারণে হতে পারে।

অল্প অল্প জ্বর, বিকালের দিকে জ্বর, রাতে গা ঘামানো, খাবারে অরুচি, ধীরে ধীরে শরীর শুকিয়ে যাওয়া, ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় বসবাস, রোগীর কাছে বেশি সময় থাকা, এক ঘরে গাদাগাদি করে থাকার কারণে অনুমান করা হয় যক্ষ্মা হয়েছে। খুব বেশি জ্বর, কাঁপুনি দিয়ে জ্বর, সঙ্গে বুকে ব্যথা, কাশির সঙ্গে মরিচা রংয়ের কফ হলে সন্দেহ করা হয় যে, তার নিউমোনিয়া হয়েছে। কাঁপুনি দিয়ে জ্বর, রক্ত এবং দুর্গন্ধযুক্ত কাশি হলে ফুসফুসে

ফোঁড়া হয়েছে সন্দেহ করা হয়। হঠাৎ করে কাশির সঙ্গে রক্ত আসা, বুকে ব্যথা, শ্বাসকষ্ট হয় তাহলে পালমোনারি এম্বলিজম সন্দেহ করা হয়। বুক ধড়ফড় করা, অল্প পরিশ্রমে হাঁপিয়ে যাওয়া, ছোটবেলা থেকে বাতজ্বর

হওয়ার প্রবণতা থাকে তাহলে হার্টঅ্যাটাক হয়েছে বলে সন্দেহ করা হয়।

হঠাৎ বুকে ব্যথা, শ্বাসকষ্ট হওয়া,

কাশির সঙ্গে রক্ত যাওয়া, আগে হৃদরোগে আক্রান্ত হলেও হার্টঅ্যাটাক হয়েছে বলে সন্দেহ করা হয়।

লেখক : বক্ষব্যাধি বিশেষজ্ঞ, ঢাকা মেডিকেল

কলেজ হাসপাতাল, ঢাকা। ফোন : ০১৭১১-১৭১৬৩৪।

 

 

সোর্স: http://www.bd-pratidin.com/     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।