আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ভোম ভোম শংকর ।। রজো ঘটক

বাংলাদেশ আমার দেশ, বাংলা আমার ভাষা...

ভোম ভোম শংকর রজো ঘটক ভোম ভোম শংকর। বাসাবদল পদ্ধততিে দশরেে প্রকৃত মুদ্রাস্ফীতি ব্যাখ্যা করা যায় কভাব?েি চলুন চষ্টো করা যাক। লালু আর আমি তখন সাবলটে থাকি ধানমন্ডরি শংকর এলাকায় এক স্কুল মাস্টাররে বাসায়। সটো ১৯৯৩ সালর্র কেথা। যখন আমরা মাস্টাসে পড়।

ি একতোে সাবলটে তার উপরে ব্যাচলরে তাই স্বাভাবকভাবইিে আমরা তুলনামূলক কম সুবধাপ্রাপ্তি কক্ষরে অধবাসী। ি কক্ষটরি ভাড়া আঠারোশ টাকা মাস। ে তবে মোস্তফা সাহবে আমাদরে থকেে ছ’শ টাকা কম নতন। িে এজন্য তখন তাঁর প্রতি আমাদরে কৃতজ্ঞতার্র শষ নই। ে একজনে আদশ শক্ষকরিে এমন মহানুভতায় আমরা বরং পরম আনন্দইে কমোন বাথরুম ব্যবহাররে বড়ম্বনাটুকুি নরবইিে মনেে চলতাম।

তার চয়েে বরং আমাদরে বশেি যাতায়াতটা তখন কচন। িেে কারণ মোস্তফা সাহবরেে স্ত্রী ছলনেি অসম্ভব সুন্দরী আর কচনটোি ছলি কমোন। এবং কমন কচনেিে আমাদরে ঘনঘন যাতায়াতটা মোস্তফা সাহবরেে স্ত্রীও কোন এক রহস্যময় কারণে মনইেে নতন। িে তাছাড়া সুযোগ পলইেে আমরা তাঁকে অকারণে বশেি বশেি ভাবী ডাকতাম। বষয়টাি ভাবী টরে পতনেে কনাি কি জান!ি উল্টো যটো ঘটত আমরা কি রান্না করছ,ি কভাবিে রান্না করছ,ি রান্নায় কোনো ভুলচুক হয় কনাি নাকি অন্য কোন রহস্য ধরার জন্য ভাবী অকারণে রানাঘররে দরজায় প্রায়ই ঠায় দাঁর্ড়য়িে থকেে আমাদর কোণ্ডকীতি দখতন।

েে আবার কখনো কখনো অকারণইে খুব শব্দ করে হাসতন। ে হাসলে ভাবীর চহোরায় আরো কি যে রূপরে জাদু ভর করতো কি বলব, যা উপভোগ করতে গয়িে প্রায়ই আমাদরে রান্নার বাজতো বারোটা। এমনতিে ভাবীও আমাদরে ব্যাপারে অতরক্তিি নানান বশষণিে দয়িে পতি সাহবকেে এটা বোঝাতনে যÑে ছলেে দুটো এবার ভালোই পয়ছো। েে কয়কদনেি যতেে না যতইেে মোস্তফা সাহবওে স্পষ্ট বুঝতে পারলনে র্য এেবারর সোবলট নবোচনটাি অন্তত ঘরনীর পছন্দ হয়ছ। েে তাই তনিি আমাদরে সাথে সখ্যতা বাড়াতে বাসায় শয়োরে একটা দনকিৈ পত্রকাি রাখার প্রস্তাব করলন।

ে আমরাও সানন্দে তার প্রস্তাবে রাজি হলাম। তনিি আমাদরে উৎসাহকে অভনন্দতিি করলনে এভার্ব যে, পপোরে বলরেি অধকটো তনইিি দবন। িে ওদকিে ভাবীর সাথওে আমাদরে সখ্যতার মাত্রা দনিে দনিে জ্যামতকিি হারে বাড়তে থাকল। সইে সুযোগে আমরাও অনকে রাত করে বাসায় ফরতামি আর ব্যাচলরে লালু-ভুলু স্পশোল রান্না চড়াতাম। ভাবী তখন দরজায় দাঁড়য়িে মজার মজার সব গপ্পো জুড়ে দতন।

িে হাসি ঠাট্টা তামাশায় ভরা পারস্পরকি জানাজানরি সইে আড্ডাটা আমাদরে বশে ভালোই লাগত। এসব কাজে লালু আবার আমার চয়েে একধাপ এগয়। েি ভাবীর কাছ থকেে পাওয়া নুনরে বদলে পানটাও খাওয়াতে চাইত। কমোন কচনেিে ভাবীর প্রাণোচ্ছল বাড়তি উপস্থতরিি ওপর নজরদারি রাখতে মাস্টার সাহবে তখন ঘনঘন বাথরুমে যতন। েে উদ্দশ্যটো কস্তুি ভাবী আর আমাদরে কথপোকথনে ইনটনশনোলি কানপাতা।

মাঝমধ্যেে তাঁদরে একবছর বয়সী তপু উঠে গছেে এমন অযুহাতে ভাবীকে আমাদরে কাছ থকেে ডকেে নতনেি মাস্টার সাহব। ে অথচ তপু উঠলে কন্তুি কচনেি থকইেে টরে পাওয়া যত। ে অজানা কোন কারণে আমাদরে তখন মাস্টার সাহবরেে উপর ভীষণ মজোজ খারাপ হতো। আবাহনী মাঠে এসে আমরা তাঁর চৌদ্দগোষ্ঠী উদ্ধারসহ ভাবীকে নয়িে বচত্রিি গবষণোয় মতেে উঠতাম। বশষেি করে ভাবীর ডান গালরে বড় তলটাি নয়িে তো আমাদরে মধ্যে রীতমতোি প্রতযোগতািি শুরু হয়ে গল।

ে ওই তলটাকর্েি ঘর্রিে ভাবীর চহোরার সৌন্দর্য বণনায় ক বশেেি পারদশী বাল্মকীি তা প্রমাণরে আপ্রাণ প্রচষ্টো র্থাকতো তখন প্রতযোগতারিি শীষ। ে দনরেি বলোয় যখন মাস্টার সাহবে স্কুলে থাকতনে তখন ভাবীকে এসব কে আগে শোনাবো, কভাবিে কতো মন্ত্রমুগ্ধরে মতো শোনাবো তা নয়ওেি আমাদরে মধ্যে বড় ধরণরে টনশনে তাড়া করতো। এভাবে শংকররে ওই নয়া সাবলটে বাসাটা আমাদরে অজান্তইে দনদনিেেি প্রয়ি হয়ে গল। ে ভোম ভোম শংকর। ভোম ভোম শংকর।

ভোম ভোম শংকর। তনি মাস পর । একরাতে মাস্টার সাহবে আমাদরে মৌসুমী ফল খাবার নমন্ত্রণি দলন। িে সৌজন্যতা দখোতে আমরাও বশেি বশেি তপুকে এটা ওটা বলে আদর করতে থাকলাম। ভাবী আমাদরে রসালো লোলুপ কি সব ফল পরবশণিে করছন।

ে আমরা যখন খুবই ফুরফুরে মজোজ,ে তখনই মোস্তফা সাহবে কথাটি পাড়লনÑে Ñ আমার ছোট ভাইটার সাথে তো আপনাদরে পরচয়ি হয়ছ?েে Ñ জ। ি Ñ ও ভীষণ একটা ঝামলোয় পড়ছ। েে Ñ কী ধরণরে ঝামলো? Ñ বাসস্থানরে । Ñ তাই নাক?ি সইে ফাঁকে ভাবী বললনÑে শুধু থাকার সমস্যা হলে তো কথা ছল,ি খাবারওে ওর ভীষণ সমস্যা। Ñ বলনে কী ! মাস্টার সাহবরেে কথা শষে হয় না।

Ñ প্রায় রাতইে এখান থকেে খয়েে যাবার পর ও বাসায় ঢুকতে পারে না। পরে বাবরদরে মসেে গয়িে ঘুমায়। পড়াশুনায়ও ওর ভীষণ ক্ষতি হচ্ছ। ে ওর জন্য কী করি বলুন তো? মোস্তফা সাহবরেে কথা শষে হবার ফাঁকে ভাবী বললনÑে আগে বড় বাসা ছল,ি ও তখন আমাদরে সাথইে থাকতো। তপু’র জন্য খরচটা বড়েে যাওয়ায় আমরা ছোট বাসায় উঠতে বাধ্য হয়ছ।

িে ভাবীর মুখরে কথা কড়েে নয়িে মোস্তফা সাহবে যোগ করনÑে আর ওকে বাইরে মসেে রখেে বাড়তি রুমটা আপনাদরইে সাবলটে দলাম। ি তাতে খরচ কছুটাি বাঁচ। ে কন্তুি ওর ভীষণ কষ্ট হচ্ছ। ে আবার ওর পছনেি টাকাটা তো আমাদরইে দতিে হচ্ছ। ে ইস্কুল মাস্টারি করে কি আর রাজধানীতে ভাই পালা যায়! লালু আর আমি পরস্পর চোখাচোখি কর।

ি ভাবী এবার সরাসরি স্বামীকে থাময়িে দয়িে আমার্দর উদ্দেশ্যেে বললনÑ মতুজো আপনাদরে সাথে থাকলে কি আপনাদরে খুব অসুবধাি হব?ে এতো অল্প দনরেি পরচয়েি ভাবী যভোবে আমাদরে আপন করে নয়ছনিেে তাঁর অমোন ছোট্ট আবদাররে আমরা কি জবাব দবো। ে কৃতজ্ঞতা বলে তো একটা ব্যাপার আছ। ে তাছাড়া র্বাসাটা ভাড়া নওয়োর সময় মতুজাই আমাদরে পক্ষে মাস্টার সাহবে আর ভাবীর কাছে অসামান্য ওকালতি করছল। েি এতোকছুি জানার পরওে আমরা না বলি কভাব?েি পরদনইি আমাদরে কক্ষে নতুন একটা বছানাি পাতা হলো। এবার আমাদর্র আেড্ডাটা আরো সন্দহরর্েে উধ্ব জমতে থোকলো।

মতুজা আমাদরে মজার মজার সব পোংটা চটুকি শোনায়। আমরা হো হো করে গলা ফাঁটয়িে হাস। ি আমাদরে উত্তাল আড্ডার কারণে ওপাশে তখন তপু’র ঘুমরে ব্যাঘাত ঘট। ে কোনো কোনো দনি তপু কান্না জুড়ে দলিে ভাবী আমাদরে ওপর তার বদলা নন। ে তপুকে আমাদরে রুমে ছড়েে দয়িে যান।

আর যদি তপুর কান্না না পায় ওপাশ থকইেে আমাদরে কণ্ঠে কোরাস শোনার আকুতি জানান ভাবী। অমোন সুন্দরী একজন শ্রোতাভক্তকে না হারানোর ভয়ে আমরাও একটার পর একটা কোরাস গয়েে যাই। কোনো কোনো গানরে সুর লয় তাল আমরা লালু-ভুলুর মতো উল্টা পাল্টা করে ফল। িে তারপরওে ভীষণ বাহবা পাই ওপাশ থক। েে অতএব গান চালয়িে যতেে সমস্যা তো নাই।

ভোম ভোম শংকর। ভোম ভোম শংকর। ভোম ভোম শংকর। পররে মাসে ভাড়া দবোর সময় মোস্তফা সাহবে আমাদরে দুশো টাকা ফরয়েিি দলন। িে কারণ জানতে চাইলে মাস্টার সাহবরেে বদর্ল জেবাব দলনেি ভাবীÑ মতুজা আপনাদরে সঙ্গে থাক।

ে ব্যাপারটাকে আমরা হসইেে স্বাগত জানার্ই। এভাব ধীরে ধীরে মতুজো আমাদরে ঘনষ্টি বন্ধুতে পরনতি হল। ফর্লাফল আমার আসল নামটা মতুজার দওয়ো উপাধীর কাছে দনদনিের্েি হারয়িে যতেে থাকল। মতুজা আমার আসল নাম পাল্টে লালুর সঙ্গে মলয়েিি রাখলো ভুলু। আর ভাবী তো মনরে ভুলওে আমাদরে কারোর নামই মুখে আনতনে না।

তনিি আমাদরে ডাকতনে ‘মানক-জোড়’। ি মানক-জোড়ি হলে কি হব?ে আমরা কন্তুি নজদরিেে মধ্যর্ েএটা ওটা নয়িে ভীষণ তক করতাম। আরর্ মুদ্রাস্ফীত ব্যাপারিটা তখন সবত্র বশে চাউর ছল। ি সমাজতন্ত্ররে পতনে রাশয়ায়ি তখন প্রায় ৭০% মুদ্রাস্ফীত। ি আগে আমরা বারোশো টাকা বাসা ভাড়া দতাম।

ি খাবার আর পকটে খরচ মলিে দু‘জনার তখন একত্রে খরচ হতো প্রায় তনি হাজার টাকা। আর এখন মাস্টার সাহবে ভাড়া ননে এক হাজার টাকা। খরচরে জন্য বাড়তি হাতে থাকে দুশো টাকা। অথচ মার্স শষেে দখো যায় প্রায়ই মতুজার কাছে আমরা প্রায় দড়ে থকেে দুশো টাকার মতো লোন হই। তাহলে আমাদরে জন্য মুদ্রাস্ফীতি তর্খন কতো? অনকর্ রোত র্পযন্ত এসব নয়িে তক-বতকি শষেে আমরা এমন সদ্দান্তিে পৌঁছাতাম য,ে ভাড়া থকেে বঁচেে যাওয়া দুশো টাকার কারণের্ আমাদর খরচে করার সামথ্যও ওইর্ দুশো টাকা বশেি থাকতো।

অথ হাতে জমা মানর্, ভেোক্তার র্খরচ করার সামথ্য র্বাড়া। অথ খরচ করার সামথ্য বর্ড়েে যাওয়া মান বোজার অথরেে প্রচলন গর্তও বৃিদ্ধ পাওয়া। ি আর অথরে প্রচলন গতরি এই বৃদ্ধইি তো মুদ্রাস্ফীতরি একটি প্রত্যক্ষ কারণ। মুদ্রাস্ফতরিি অমোন অমমাংসতিি জটলি গাণতকিি হসাবি নকাশি বরে করতে করতে প্রায়ই আমাদরে মাথা তখন র্ভনভন করতো। বুঝলাম, অথরে প্রচলন গতি বৃদ্ধরি জন্য মুদ্রাস্ফীতি বাড়লো, কন্তুর্ িআমরা য মোস শষেে মতুজার কাছে দুশো টাকার মর্তো ঋন থাকতাম, দশরেে অথনীতবদরািি তার কি ব্যাখ্যা দবন?িে আমরা তখন যভোবে ব্যাখ্যা করতামÑ বাসা ভাড়া থকেে দুশো টাকা আমাদরে হাতে জমা হওয়ার ফলের্ আমাদর খরচে করার সামথ্য দুশো টাকা বাড়তো।

একই সাথে খরচ করার মানসকতারওি তখন ইতবাচকি প্রতফলনি ঘটতো। বাড়তি দুশো টাকার বপরোয়ো খরচরে সঙ্গে আমরা আর তাল মলাতিে পারতাম না। আর তখন খরর্চর লোগামও আমাদর সোমথ্যকে অতর্ক্রম করিতো। অতক্রান্ত সামথ্যি আমাদরে বশেি বশেি খরচরে ঝুঁকি নতিে যমনে উৎসাহতি করতো, তমনিে ভাবীর সঙ্গে ইনটনশনোলি সৌজন্যতা দখোতে বাড়তি খরচরে বলোয় আমরাও অনকটোই উদার্র থাকতাম। য কোরণ মতুজোর কাছ থকেে মাস শষেে দনো হবার লাইফ-সাইকল-ইনফ্লশোন-ইমপ্যোক্টটা আমরা এক প্রকার মনইেে নতাম।

ি কন্তুি এক্ষত্রেে মুদ্রাস্ফীতরি হার বরে করতে আমরা ভীষণ হমসমিি খতোম। কছুতইেি এই অমমাংসতিি রটে অব ইনফ্লশোন বষয়রিে আমরা কোন সমাধান পতোম না। আমাদরে হসাবিে দু‘জনার তনি হাজার টাকা খরচরে সঙ্গে অতরক্তিি দুশো টাকার দনোর সমীকরণে মুদ্রাস্ফীতি হলোÑ ৩০০০ টাকায় ২০০ টাকা। শতকরা হসাবিে ৬.৬৭%। আসলইে বা তখন আমরা কতো মুদ্রাস্ফীতি ফসে করতাম? বাসা ভাড়া থকেে দুশো টাকা বঁচেে যাওয়ায় আসলে আমাদরে তখন খরর্চ হত ২৮০০ টাকার পরবতেি ৩২০০ টাকা।

অতএব, ২৮০০ টাকার বপরীতেি ৪০০ টাকা অতরক্তিি খরচ হসাবিে মুদ্রাস্ফীতি আসলে তখন শতকরা প্রায় ১৪.২৯%। এতো গলোে আমাদরে মাথাপছুি ব্যয়রে হসাবিে মুদ্রাস্ফীতরি দুধরণরে হসাব। ি নাকি কোথাও ভুল হচ্ছ?ে ভোম ভোম শংকর। ভোম ভোম শংকর। ভোম ভোম শংকরর্।

ছয় মাস পর। মতুজা একদনি কথায় কথায় আবদার করল য,ে দু’মাসরে পাওনা ৪০০ টাকার সাথে ১০০ টাকা যোগ করে আমরা যদি তার চলতি মাসরে ভাড়াটা মাস্টার সাহবকেে দয়িে দই,ে তাহলে তার বড়োই উপকার হয়। আমরা আবাহনী মাঠরে স্বান্ধ্যকালীন আলো-আঁধারী র্আড্ডার মধ্যও বষয়টিেি নভুলি বুঝতে পরেে ব্যাপারটায়র্ বমোলুম চুপ থকেে উল্টো মতুজার কৃতজ্ঞতাকে খুব করে স্মরণ করলাম। আর প্রতশ্র“তিি দলামি যে সে যনোে ভাড়া বষয়েি নশ্চন্তিি থাক। ে পরদনি ভাবীর হাতে পুরো ১৫০০ টাকা গুজে দয়িে ব্যস্ততার ভান করে দ্রুত বাসা থকেে র্বড়য়েে যায়ি লালু।

আর পূব পরকল্পনাি মতো আগে থকইেে বাথরুমে লাইট নভয়েিি বসে থাকলাম আম। ি মাস্টার সাহবে আর তাঁর র্গন্নরিি ভাড়া বষয়ক কথাবাতায়ি নজরদারি করার জন্য। র্ গোয়ন্দোগরতেি যি এতোে চাম আগে কি জানতাম। মাস্টার সাহবে আর তাঁর র্গন্নরিি কথোপকথোনর সোরমম হলÑ ছলেে দুটো আসলইে বর্শ সেহজ সরল। কন্তু মতুজাি যা করছেে তা যনোে আর কনটনউিি না কর।

ে গোপনে যনোে ভাবী তাকে এ বষয়েি শাসয়িে দয়ে নইলে ধরা পরে যাবার সম্ভাবনা থাকব। ে বষয়টকেিি আমরা বমোলুম এড়য়িে থাকলাম। পররে মাসে মাস্টার সাহবে ভাবীর মাধ্যমে আমাদরে আরকটো মজার প্রস্তাব দলর্ন। িে তাদর একে দুর সম্পকরে ভাই ঢাকায় এসছেে নয়া চাকরি পয়। েে আর চাকরস্থলওি বলতে গলেে আমাদরে ঘররে সাথ।

ে শংকর বাসস্টান্ডরে উল্টোপাশে ইবনে সনাি ক্লনক। িেি সাবলটে উঠয়িে দয়িে হলওে এই ভাইকে তাঁদরে সঙ্গে না রখেে নাকি কোনো উপায় নই। ে পররে দনি দুপুরইে সইে কথতি ভাইয়রে সাথে আমরাও পরচতিি হলাম। ছলেে ভালো গোলগাল। বাড়ওি তার বরশাল।

ি লালু আবার দশেি ভাইয়রে সাথে এক্্রট্রা খাতরি পাতালো। পরনতিি সইে ভাইও ধীরে ধীরে চলতি মাসরে খুচরা দনগুলোরি জন্য আমাদরে রুমমটে হলন। ে নয়া গস্টে রুমমটে পয়েে আমরা আরো বশেি বশেি হৈ চৈ হল্লা করতে থাকলাম। পররে মাসে আমরাই প্রস্তাব করলামÑ রহমত ভাই আমাদরে সাথইে থকেে যাক। শুধু শুধু রহমত ভাই নতুন বাসা আর কোথায় খুঁজব?ে তাছাড়া এতো কাছে বাসা থাকায় চাকরি করওে ভীষণ মজা পাচ্ছনে রহমত ভাই।

আমাদরে রুমটায় আগরে চয়েে আনন্দ আরো উপচে পড়তে থাকলো। ভোম ভোম শংকর। ভোম ভোম শংকর। ভোম ভোম শংকর। এক বছর পর।

সদা প্রাণোচ্ছল বনয়ীি লালুর মধ্যে একটা নতুন রোগরে লক্ষণ ধরা পড়ছ। েের্ প্রায়ই ও দুপুর ইউনভোসটিিি থকেে বাসায় চলে আস। ে টএসস’রিি সান্ধ্যকালীন আড্ডায়ও বলতে গলেে সে অনুপস্থতি থাক। ে আমরার্ বন্ধুরা মলিে ওর রোগ ননয়রিে অনকে চষ্টো করছ। িে ও ধরা দয়ে না।

শষেে সবাই মলিে একটি তদন্ত কমটিি গঠন করলাম। আর সবার সম্মতক্রমেি আমাকে করা হল সইে কমটরিি প্রধান। কারণ লালুকে অন্যদরে চয়েে আমি বশেি সময় কাছে পাই। দখভোল বা নজরদারি করার জন্য অন্য বন্ধুদরে চয়েে আমার সুবধাওি বশ। িে তখন আজকরে মতো সবার হাতে হাতে অমোন মোবাইল ছলি না।

বাড়ওয়ালারি ল্যার্ন্ডফোন থাকলও কবলে ইমোজন্সেি কছুি হলে সটেি ব্যবহার করা যত। ে সাধারণ কোন ঘটনায় বাড়ওয়ালাি ভায়া হয়ে কল করাটা এক ধরণরে বোকাম। ি সক্ষত্রেেে বাড়ি হারানোর ভয়টা থাকে অনকে বশ। িে একতোে আমরা ব্যাচলর। ে তার উপর সাবলট।

ে তাই আমাদরে বলোয় ল্যান্ডফোনে সরাসরি কথা র্বলারও রওয়োজ নই। ইমোজন্সেি কল হলে ভাবীকে ডাকার নয়ম। ি আমাদরে তমনে কোন জরুরি ফোন আসলে ভাবী বাড়ওয়ালারি বাসায় গয়িে ফোনে কথা বলে আসন,ে তারপর ফোনরে খবরটি দনে আমাদর। ে তো আমরা সদ্ধান্তি নলামি বন্ধুদরে কউে না কউে রোজ একবার লালুকে ফোন করব। ে লালুকে ফোন করা মানে ভাবীর সঙ্গওে কথা বলার সুযোগ।

আর সইে সুযোগে লালুর খবর নবোর পাশাপাশি লালুর সাথে ভাবীর দহররম-মহররমটাও একটু আন্দাজ করার চষ্টো। ভাবীর সাথে লালুর কছুি একটা যে আছে তা প্রথম দনিে ফোন করইে আবস্কারি করল প্রকাশ। সইে কছুি একটা যে কী তা তদন্ত করার দায়ত্বি আবার তদন্ত কমটর। িি লননিে ফোন করে জানতে পারল যে লালুর খুব মাথা ব্যথা। তাই ক্লাসে যায়ন।

ি ভাবীকে লননিে একটু আবদাররে সুরইে বলল য,ে লালুর যদি আপন কউে থাকত এই সময় মাথাটা একটু টপর্িে দলিে বচোরার আর আমপট্যান্ট ক্লাসগুলো কামাই হত না। জবাবে ভাবী বললন,ে আপনাদরে এতো হাজার হাজার বন্ধবী, কাজরে সময় তো কাউরে পাওয়া যায় না। লননিে দুষ্টুমরি ভঙ্গতিে রকোয়স্টেি করলÑ ভাবী আপনি থাকতে আবার বান্ধবী লাগবে কন!ে Ñ বান্ধবী লাগবে ক্যান, বোঝনে না? Ñ আরে আপনাকে হারয়িে কে পারবে অতো ভালো সবো দত?েি Ñ তাতো দচ্ছ,িি কন্তুি সইে সবোয় কি আর মাথা ব্যথা সার?ে Ñ কি যে বলনে ভাবী, আপনার হাতরে ছাঁয়ো লাগলে মাথা ব্যথা তো শংকর ছড়ইেে পালাব। ে পরদনওি আবারো লালুর ক্লাস মসি এবং এবার যথারীতি ফয়জে নূররে ফোন। ওপাশ থকেে ভাবীর জবাবÑ শুধু ফোনে খাঁজে নলিে কি আর বন্ধুর মাথা ব্যথা সার?ে এভাবে রোজ পালা করে ফোন করা হয়র্, আর লালুর মাথা ব্যথার সবশষে পরস্থতিিি জানার জন্য আমরা ব্যাকুল হয়ে থার্ক।

এরিমধ্য চত্রো পরামশি দল,ি চল সবাই মলিে একবার লালুকে গয়িে দখেে আস,ি মাথা ব্যথা নাকি অন্য কছুি সরাসরি সব জানা যাব। ে এরপর দল বঁধেে বন্ধুরা লালুকে দখতেে আসা শুরু করল। ফলাফল সপ্তাহ না র্গড়াত লোলু আবার ইউনভাসটতিেিি নয়মতিি হয়ে গল। ে ওর্দকিে তদন্ত কমটরিি রপোটি দতিে দরেি হওয়ায় কোন কোন বন্ধু তো নতুন ঝামলো পাকানোর পায়তারা করছ। ে আমার নাকি মড-নাইটি সান-টুতে দুপুররে খাবার খাওয়াতে হবে সবাইক।

ে এ জন্য ওরা সময় সীমা ও বঁধেে দলি এক সপ্তাহ। অগত্যা আমার পকটে বাঁচাতে বাংলাদশরেে অন্যসব তদন্ত কমটরিি মতো র্দায়সারা গোছর একটো রপোটি দবোর জন্য আমি যখন খুব মরয়া,ি তখন একদনি ক্লাস ফাঁকি দয়িে এক অলস দুপুরে চুপসারিে বাসায় হাজরি হলাম। নজি চোখে যা দখলোম তাকি প্রমোস্ফতিি নাকি পরকীয়া-স্ফত?িি নাকি মাথা ব্যথা নাশফত!িি দোষ ¯ী^কার করলে নাকি স্বয়ং ভগবানও সব অন্যায় মাপ করে দন। ে দোষরে মধ্যে যা করছলামিে তা একটু এখানে বল। ি সবার অলক্ষ্যে আমাদরে কমোন বাথরুমরে দরজায় একটি ছোট্ট ছদ্রি করছলাম।

েি যা খালি চোখে হঠাৎ কারো নজরে আসবে না। আর দনরেি বলোয় ডাইনংি স্পসরেে বাতি নভোনো থাকে বলে সখোন থকেে ওৎ পাততওে অনকটো সুবধা। ি দুপুরে মাস্টার সাহবে লান্সরে পর যখন ক্লাসে চলে যান, তখনই খুব চুপসারিে কোন ধরণরে শব্দ না করে বাসায় ঢুকে দখেি কউে নই। ে লালুও নই,ে ভাবীও নই। ে শুধু তপু একা ওদরে ঘরে বঘোরেে ঘুমোচ্ছ।

ে অথচ বাথরুমে আলো জ্বলছ। ে সন্দহে আরো তীব্রতর হল। বড়ালরেি মত আস্তে আস্তে হঁটেে সইে ছদ্রমুখেি চোখ রাখতইে আমার তদন্ত কাজরে সবটুকুই একসাথে ধরা পরল। কাউকে কছুি বুঝতে না দয়িে চুপসারইেি আবার গৃহত্যাগ করলাম। এবার সাক্ষ্যপ্রমাণরে পালা।

ব্যাপরটায় বন্ধুরা সবাই খুব মজা পাচ্ছ। ে ওদকিে ধরা খলেে আমাদরে বাসস্থান হারানোর ভয়। তাই সদ্ধান্তি হল, যে যে বষয়টরিি সত্যাসত্য যাছাই করতে চায়, তারা আমার শখোনো মন্ত্রে সইে ছদ্রপথিে লালুর মাথা ব্যথা আবস্কারি করতে যনে উঁকঝুঁকিি মার। ে পালা করে প্রকাশ, লনন,েি ফয়জে নূররা দুপুররে অবসরে হানা দলি সইে ছদ্রমুখ। িে গোপনে র্ওৎ পতেে কারো প্রমলীলো পযবক্ষণকোরীদরে কী বল?ে লালুর বন্ধুরা কি সবাই তাহলে ভোয়ার? একদনি আড্ডায় বষয়টিি তোলা হলে লালুর ঠকি আগরে মতোই জবাব।

সে নাকি ভাঁজা মাছটি উল্টে খতইেে জানে না। আর আমরা হসেে তখন এ ওর গায়ে গড়াগড়। ি ভোম ভোম শংকর। ভোম ভোম শংকর। ভোম ভোম শংকর।

দড়ে বছর পর। পরকীয়া প্রমরেে ফলন যত বশেি ধরা পরার আশঙ্কাও নাকি তত র্বশ। িে ভাগ্যস ব্যাপারটি মতুজাি দখছল। িেে মাস্টার সাহবরেে দখলেে অন্য কতো কছুইি না ঘর্টত পোরত। বষয়টর্ মতুজািি আমার সঙ্গ পরোমশ করইে একদনি প্রকাশ করল যভোবÑে সকাল বলো নাস্তার টবলেেি মাস্টার সাহবে পরীক্ষার খাতা দখছন।

েে আমরা নাস্তা করছি আর পত্রকাি পড়ছ। ি ভাবীর্ তপুক খোওয়াত ব্যস্ত। ে মতুজা প্রসঙ্গরে সূচনা করল। Ñ বাবরদরে পাশরে রুমটা ১ তারখিে খালি হচ্ছ। ে পত্রকাি আর খাতার ওপরর্ থকেে সবার চোখ এবার মতুজার দক।

েি আমি জানতে চাইলামÑ ভাড়া কত র?ে Ñ ভাড়া চব্বশি শ’ Ñ কন,ে বাবররা কি চলে যাচ্ছ?ে ভাবীর প্রশ্ন। Ñ না, র্ফজলু আর কামাল যাচ্ছ। মতুজোর জবাব। Ñ তাহলে ওই রুমটা আমরা নয়িে নই। ে কি বলস?ি আমার প্রস্তাব।

Ñ ভাড়াটা একটু বশেি হয়ে যায় না? লালুর আতঙ্ক। Ñ বশেি হলওে র্আম ওইি রুমটা নচ্ছ। িি মতুজার আবদার। Ñ তাহলে আমওি যাবো। Ñ আর আম?ি লালুর হতাশা।

Ñ তাহলে আমাদরে কি হব?ে মাস্টার সাহবরেে চোখ চশমার ওপর। ে Ñ কন,ে রহমত ভাই ভাবীকে নয়িে র্আসব। আমোর প্রস্তাব। মাচ মাসরে এক তারখ। ি আমরা যখন বাসা ছড়েে চলে যাচ্ছি তখন দু’জন লোকরে কী খুব মন খারাপ! যে আনন্দদায়ী কক্ষটায় আমরা প্রায় দুই বছর ছলাম,ি হুট করে সইে ঘরটা আমরা এভাবে ছড়েে দয়োয় মাস্টার সাহবরওেে কী হসাবিে কছুটাি গণ্ডগোল হচ্ছ?ে নইলে সাজ সকালে নতুন একটা ব্যাচ প্রাইভটে পড়তে আসবে কন?ে বাসাটরি মোট ভাড়া যদি আঠাশ’শ টাকা হয়, প্রয়ি পাঠক বলুন তো আমাদরে কক্ষটার আয়রে হসাবিে মুদ্রাস্ফীতি তখন কতো ছলি ? ভোম ভোম শংকর।

লালু ভুলুর ট্রান্সফার। ভোম ভোম শংকর। ভোম ভোম শংকর। রজো ঘটক ফোন: ০১৬৭৪১৮০১৬৩ ঊ-সধরষ: ৎবুধমযধঃড়শ@মসধরষ.পড়স

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।